কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
তারিখঃ১৩-০২-২০২৩ ইং
******************
শিমুল পলাশে ভরে গেছে
বসন্ত কাল,
হুলুদ ফুলেরা মেলেছে ডানা
দলে দল।
অঙ্গে লেগেছে দোলা সবুজ
শ্যামল বাঁকে,
প্রাণ বৃক্ষের ভাঁজে ভাঁজে
কল্প ছবি এঁকে ।
উড়ায়ে দিয়েছে কত শত যৌবন
ডানা
ঝাঁকে ঝাঁকে এসেছে মৌ- কে
করে তারে মানা?
কত রূপ লাবণ্যে ভরা এ
চঞ্চলা পথ
এ রূপসী বাংলায় তরুণ
তরুণীর মনোরথ।
সব অঙ্গে লেগেছে দোলা-
বসন্তের এই মধুময় পথ চলা।
যত প্রেম -যত ভালবাসা
ফুলে ফলে ভরে যাক হৃদয়ের
প্রতি ঊষা।
------------------------------------
উড়িয়ে তুমি দিও না মা ছিঁড়তে গিয়ে ফল,
দিদি যখন শুনবে এসে বলবি কি মা বল্ |
বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
লেবুর তলে পুকুর পাড়ে
ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতো জেগে রই,---
রাত্রি হোল মাগো, আমার কাজলা দিদি কই?
তারি মায়ায় থোকা থোকা দোলে ধানের
ছড়া,
মার আঁচলের পরশ যেন সকল
অভাব-হরা।
সেই ফসলে আসমানীদের নেইকো
অধিকার,
জীর্ণ পাঁজর বুকের হাড়ে জ্বলছে
হাহাকার।
---------------------------------------------
বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মাগো আমার শোলক্-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে লেবুর তলে,
থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই,
মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?
সেদিন হতে কেন মা আর দিদিরে না ডাকো;
দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
খাবার খেতে আসি যখন
দিদি বলে ডাকি তখন,
ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো?
আমি ডাকি, তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
বল্ মা দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল বিয়ে হবে!
দিদির মত ফাঁকি দিয়ে
আমিও যদি লুকাই গিয়ে
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন ক'রে রবে?
আমিও নাই---দিদিও নাই---কেমন মজা হবে!
ভূঁই-চাঁপাতে ভরে গেছে শিউলী গাছের তল,
মাড়াস্ নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল |
ডালিম গাছের ফাঁকে ফাঁকে
বুলবুলিটা লুকিয়ে থাকে,
উড়িয়ে তুমি দিও না মা ছিঁড়তে গিয়ে ফল,
দিদি যখন শুনবে এসে বলবি কি মা বল্ |
বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
লেবুর তলে পুকুর পাড়ে
ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতো জেগে রই,---
রাত্রি হোল মাগো, আমার কাজলা দিদি কই?
তারি মায়ায় থোকা থোকা দোলে ধানের
ছড়া,
মার আঁচলের পরশ যেন সকল
অভাব-হরা।
সেই ফসলে আসমানীদের নেইকো
অধিকার,
জীর্ণ পাঁজর বুকের হাড়ে জ্বলছে
হাহাকার।
বনের পরে বন চলেছে বনের নাহি
শেষ,
ফুলের ফলের সুবাস ভরা এ কোন্
পরীর দেশ?
নিবিড় ছায়ায় আঁধার করা পাতার
পারাবার,
রবির আলো খন্ড হয়ে নাচছে পায়ে
তার।
সুবাস ফুলের বুনোট করা বনের
লিপিখানি,
ডালের থেকে ডালের পরে ফিরছে পাখি
টানি।
কচি কচি বনের পাতা কাঁপছে তারি
সুরে,
ছোট ছোট রোদের গুড়ো তলায় নাচে
ঘুরে,
--------------------------------------------
সাপুড়ের ঝাঁপি খুলতেই বেরিয়ে
পড়ল একমুঠো জোনাকী
পুজো সংখ্যা খুলতেই বেরিয়ে পড়ল
একমুঠো জোনাকী।
একমুঠো জোনাকীর আলো নিয়ে
ফাঁকা মাঠে ম্যাজিক দেখাচ্ছে
অন্ধকার।
ময়দানের মঞ্চে একমুঠো জোনাকী
উড়িয়ে
জয়ধ্বনি দিয়ে উঠল যেন কারা।
রবীন্দ্রসদনে তিরিশজন কবি
তিরিশদিন ধরে আউড়ে গেল
একমুঠো জোনাকীর সঙ্গে তাদের
ভাব-ভালোবাসা।
ইউনেসকোর গোল টেবিল ঘিরে বসে
গেছে মহামান্যদের সভা
একমুঠো জোনাকীর আলোয়
আফ্রিকা থেকে আসমুদ্র হিমাচল
সমস্ত হোগলা বন আর ফাটা দেয়ালে
সাজিয়ে দেবে কোনারক কিংবা
এথেন্সের ভাস্কর্য।
সাত শতাব্দীর অন্ধকার এইভাবে
ফাঁকা মাঠে ম্যাজি দেখিয়ে চলেছে
একমুঠো জোনাকীর আলোয়।
No comments:
Post a Comment