Wednesday, April 30, 2025

দালালের যৌবন-গর্জন

 

দালালের যৌবন-গর্জন

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

তারিখঃ ৩০-০৪-২০২৫ খ্রিঃ

স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

-----------------------------------

আঠারো কোটি জনতার চাওয়া, অগাধের সাধ,

আর যেন পেতে না হয় অধিকারে লজ্জা অবসাদ!

 

দালালের দৌরত্ম্য হেনেছে আঘাত তোরণের তীরে

মেডিকেলের দ্বারে- সিন্ডিকেটের প্রামোদ-মন্দিরে।

সেবক-বিক্রয় প্রতিনিধির ‍নৃত্য গীত হাসি দুষ্টের ফাঁদে

শুনো হে কান্ডারী, অসহায় রোগী শুধু কাঁদে শুধু কাঁদে।

 

সেবক-প্রতিনিধি-ব্যবসায়ী গড়িয়াছে নিষ্ঠুর বেষ্টন,

মেডিকেলে মেডিকেলে অসাধু দালালের যৌবন-গর্জন।

ওরে কারে ঠকিয়ে তুমি হতে চাও বীর-শের!

টাইফুন-ডঙ্কার হর্যে তুমি থেমে যাবে নিকট-আখের।

 

হে প্রজ্ঞাময়ী- অসহায় রোগীর সেবক-সেবিকা- ডাক্তার,

তুমি নও কেন উদায়াস্ত আকাশের মানবিক রত্নচূড়?

ওগো, কোন সে দূরে দারুচিনি লবঙ্গের সুবাসিত দ্বীপ!

কোন দালাল চক্রের ভীড়ে তুমি হারিয়ছো শুভ্র প্রদীপ?

 

হে কান্ডারী! মানবতার ডাকে জেগে উঠাও হে- তোমারে

মেডিকেলে মেডিকেলে চাই না দালাল- তোরণের দ্বারে।

--------------------------------------------------

 

 

 

ওরা যেন আসিয়াছে

 

ওরা যেন আসিয়াছে

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

তারিখঃ ৩০-০৪-২০২৫ খ্রিঃ

স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

-----------------------------------

ওরা যেন আসিয়াছে দখল করিতে খাল- বিল -নদী,

রবিও কেড়ে নিতে চায় সাগর- সমুদ্রের সুনীল জলধি !

 

কি এক বিলাসিতায় নেচে উঠিল দুরন্ত যৌবন!

ওরা নিত্য বুক চেপে ধরে জনতার স্পন্দিত প্রাণ।

ফকির হতে বাদশাহী শৃঙ্খলিত মনোভাব,

কি এমন আছে এখানে গর্জন- উত্তাপ-প্রতাপ?

 

যাদের নিষ্ঠুর স্বৈরতন্ত্রে আহত হয় স্বাধীন আকাশ,

ওরা কিভাবে হয় মুক্ত বলাকার সেবক- দাস?

ওরা যেন আসিয়াছে লুণ্ঠন করিতে স্বাধীন মৃত্তিকার রাজকোষ,

দিকে দিকে দোসরের অঙ্গুলিতর্জন নিত্য তুলিছে দুঃসাহস!

 

ওরা যেন সব গ্রাসিয়াছে রাজনীতির আদর্শ্ ন্যায়-নীতি,

পঞ্জর তলে টগবগ করে যায় খুন-দুরন্ত লুটেরাজপ্রীতি।

ওরা পদাঘাতে ভাঙ্গিতে চায় বিজয়ী মাতৃকার দ্বার,

ওরা যেন ভাবিয়াছে তরঙ্গের তুঙ্গ গিরি এই বসূধার।

 

আজ জনতা বলিয়াছে রাঙা- চোখ- মুখ তুলি !

ওরা যেন আসিয়াছে দিতে ধরণীর শুন্য ভিক্ষাঝুলি!

-------------------------------------------------

ঐশ্বর্যবেশে জাগাও

 

ঐশ্বর্যবেশে জাগাও

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

তারিখঃ ৩০-০৪-২০২৫ খ্রিঃ

স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

-----------------------------------

হে মা, অপার ঐশ্বর্যবেশে জাগাও বিজয় কেতন নশ্বর,

বজ্র হুঙ্কারে হও ঘূর্ণি ঝড় মীর জাফরের বুকে বারে বার।

 

তোমার আকাশে সদা যেন দেখি রৌদ্র ঝিলমিল,

কভূ যেন না হও তুমি নতশির দোসরের শৃঙ্খল।

এখনো তোমার আঁচলে উদ্বেলিছে গাঢ় ধূম্রের কুন্ডলী,

বিদ্রোহীর চুল্লিবহ্নি দিকে দিকে উঠিতেছে জ্বলি।

 

এখনো শহীদের রক্ত শুকায়নি মরুভূর তপ্তশ্বাস মাখা,

এখনো স্বাধীনতা বিশ্বাস ঘাতকতার মরিচিকায় ঢাকা!

হে মা, তুমি এসেছিলে অগণন সম্ভ্রম হারা ব্যথিত প্রাণ,

ভালবাসি অনিবার তবু কেন শুন্যতা, তবু কেন সন্ধান!

 

এই আঁচলে লুকাইয়াছে বিশ্বাস ঘাতকের কঠিন দলবল,

ওরা দেখতে চায় তোমার পরাজয় স্বাধীন পতাকা তল।

ওগো মা, তোমার মায়াবী কোলে মাথা রেখে ভাবি,

তুমি এতো ক্ষমাশীল কেন! কেন এতো উদার-মায়াবী?

 

তুমি কেন বুঝনা ওই তারা দোসরের ইন্দ্রজাল মাখি,

বুক চিরে তোমার তটে আসি ষড়জালের নকশা আঁকি!!

ওগো মা, জ্বলে উঠ অন্তহারা আকাশের গৌরী দীপশিখা,

রুখে দাও অসূর নিশান বাংলার রুধির- রঞ্জিত- লিপিকা।

------------------------------------------------

 

 

 

 

Tuesday, April 29, 2025

বসন্তকেও ছেড়ে দিতে হয়

 

বসন্তকেও ছেড়ে দিতে হয়

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

তারিখঃ ২৯-০৪-২০২৫ খ্রিঃ

স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

-----------------------------------

শুনেছি প্রকৃতিও নাকি বসন্তকালে অহংকারী হয়!

ফুলে ফুলে সাজিয়ে রাখে ডানা সূরভী –সু-গন্ধময়!

 

কিন্তু সে বলে না ফাল্গুন -চৈত্রে খরতাপের যন্ত্রণা,

বলে না সে যে শাখে শাখে পল্বব শুন্য হয় কত না!

অথচ সম্মুখেই ভয়ঙ্কর কাল বৈশাখী ঝড়!

বজ্র কণ্ঠে ডাকিছে বিজলীর চমক বসন্তের পর।

 

বসন্তেই গুটি বসন্ত হয়,কলেরা হয় কুষ্ঠ কাঠিন্য হয়,

পৃথিবী হারা হয় কত প্রাণ!  নদী গিরি পর্ব্ত হয় তপ্ত র্নিদয়!

কুহু কুহু ডাকেও কলঙ্কের দাগ দিয়ে যায় সুরেলা কোকিল,

কাকের রাজ্য দখল নেয় গুপ্তসারে ঋতু রাজের কোলাহল।

 

এই দেখ, এই বসন্তেই লুঠ হয়েছে গোলা,বারুদ,অস্রাগার

ঘষা মাজা হয়েছে চেতনার প্রতিক, ফুলের পরাগ -রেণু বিস্তর।

বসন্তকেও ছেড়ে দিতে হয় সুরভী- সুগন্ধময় বাসস্থান!

অহংকারীকেও একদিন পরাজয়ের দিকে করতে হয়- প্রস্থান।

---------------------------------------------

বন্ধু যখন শত্রু হয়

 

বন্ধু যখন শত্রু  হয়  

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

তারিখঃ ২৯-০৪-২০২৫ খ্রিঃ

স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

-----------------------------------

বন্ধুত্ব, তুমি যেন আজ মৌসুমী বায়ূর মতন!

কখনো আলো ,কখনো আঁধারে থাকো গগণ।

 

বন্ধুত্বের সেই সোনালী সূর্যটা, সেই পূর্ণিমার শুভ্রতা,

আজ যেন স্বার্থের মিছিলে ছুটিয়াছে বিপুল উগ্রতা।

তীর ধণুকের মতো বিঁধিয়াছে বিশ্বস্ততার শরীরে,

রূঢ় আচরণ ক্ষণে ক্ষণে আঘাত হানিয়াছে গভীরে!

 

প্রচুর রক্ত ক্ষরণে মুর্ছিত হচ্ছে বন্ধুত্বের প্রাণ - অকালে!

বন্ধুত্বের সেই মর্ম্ বাণী যেন বন্ধু গিয়াছে ভুলে।

এখন বন্ধুর দিকে তাকালে মনে হয় ঘাতক ঈগল!

আঁতকে উঠে প্রাণ! কেঁপে উঠে শান্ত নিবিড় নিখিল।

 

বন্ধুত্বের যে স্বর্গিয় অনুভভ! সে যেন আজ পৃথিবীর ক্রন্দন,

ভয়ঙ্কর গুপ্ত ঘাতক! পশ্চাতে লেগে থাকা অসূর ছায়া- সবক্ষণ।

বন্ধু শব্দটিই যেন আজ ফিকে হয়েগেছে স্বার্থের আড়ালে,

ঠিক যেন অনিষ্ট-দৈত্য- দানবের খেলা  বিপুল চঞ্চলে--

 

বন্ধু যখন শত্রু  হয়  তখন আর কিছু থাকে না- বিজয় !

দূরন্ত বেড়ে চলে, বিশ্বাসে চির ধরে আসন্ন দিন-সময়।

---------------------------------------------

 

 

স্বপ্ন এখন ধূঁ ধূঁ বালুচরে

 
স্বপ্ন এখন ধূঁ ধূঁ বালুচরে
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
তারিখঃ ২৯-০৪-২০২৫ খ্রিঃ
স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
-----------------------------------
হে কান্ডারী, তোমার তরঙ্গ এখন বড় এলমেলো,
ঠিক যেন হিংস্র জাহেলী যুগের মতন ধূসর কালো!
 
অথৈ জলে জাহাজ ছুটিছে কান্ডারী বিহীন আঁকা-বাঁকা,
পাঞ্জেরী বিহীন যাত্রীরা হারিয়েছে স্বপ্নের দিগন্ত রেখা।
জাহাজ এখন লোকালয় হতে লোকালয়ে করিছে নোঙ্গর,
যুবকের দল মেতে উঠিছে দস্যু –ডাকাতে দুরন্ত-দুর্বার।
 
সুদূর স্বপ্ন এখন ধূঁ ধূঁ বালুচরে প্রখর উত্তাপে গলিত,
অশ্রুজলও শুকিয়েগেছে বুকফাটা কান্নায় অবিরত!
কেউ শুনেনা, কেউ বুঝেনা এই রাজনীতি অসূরের মন্ত্র,
এখানে শুধু দাঙ্গা-হাঙ্গামা- বিভেদ -লুটতরাজের ভয়তন্ত্র।
 
গোন্ডামী মাস্তানীর প্রতিযোগীয় মত্ত পথ হারা কান্ডারী,
দেশপ্রেমের চেতনা এখন অবনতশির ছুটিছে মরি মরি!
কলমযোদ্ধারা ভুলে গেছে যুদ্ধে পাওয়া স্বাধীনতার বাণী,
নির্বোধ দলেরা এখানে উজ্জ্বল! এর চেয়ে লজ্জা কি শুনি?
 
শহর –গঞ্জ- গাঁও ডুকে গেছে জাহাজের বিষাক্ত ধূলো-বালি,
হে কান্ডারী, তুমি নিজে এলোমেলো ঘূর্ণি হাওয়া- শুন্য থলি।
তোমার এই দৈন্যদশা জাতির সমুদ্রে ব্যদনার নীল!
রূঢ় রৌদ্রে পুড়ে যাওয়া স্বাধীন কাননের ফুল -ফসল।
-----------------------------------------------------
 
x

Monday, April 28, 2025

ঐক্যবিহীন এই স্বাধীনতা

 ঐক্যবিহীন এই স্বাধীনতা

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
তারিখঃ ২৮-০৪-২০২৫ খ্রিঃ
স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
-----------------------------------
ওরে, গুজব -হুজুগের খেলা শেষ হয়ে যদি-
কোন দিন শুভ বুদ্ধির চেতনা জাগে
এই দেশে কোন দিন কোন ক্ষণে কাঁদতো না প্রাণ
হতো না বিভক্তির খেলা, বৈষম্যের উঁচু- নীঁচু পাহাড়।
হতো না এতো অসন্তোষ,এতো অরাজকতা,এতো লুটতরাজ!
এখনো দেশ চেতনায় নিস্প্রভ কোটি কোটি প্রাণ
এখনো বিদ্রোহী দোসরের ‍উম্মাদনায় তছনছ হচ্ছে বিজয় কেতন!
এই দৈন্যদশার খেলা শেষ হয়ে যদি-
বিবেক জেগে উঠত তবে থাকতো না কোন দীনতা-হীনতা
এখানে দেশ প্রেম বড় বেশী মৌসুমী ঋতুর মত
কখনো ঋতুরাজ বসন্তের সমীরণে কুহু কুহু সুর তুলে
কখনো কাল বৈশাখী ঝড়ের মতো ভয়ঙ্কর ঘূর্ণির তুফান!
রঙ ধণুর মতো হরেক রঙে সাজে দেশ চেতনার চিত্র!
অযূত বৈচিত্রের খেলা চলে স্বার্থের আড়ালে
এইসব ছলনার খেলা শেষ হয়ে যদি, কোন দিন
দেশ প্রেমের হৃদয় জেগে উঠত-
লাল-সবুজের পতাকা উঁচু শিরে দাঁড়াতো বিশ্ব মঞ্জিলে।
শুভ্রতায়, স্নিগ্ধতায় সমুজ্জল হতো স্বাধীন বাংলার মানুষ
যদি প্রেমের ভিক্তিতে মত পথ আদর্শের হতো যোগাযোগ
কতই না স্বর্গিয় হতো গণতন্ত্রের এই চারনভূমি
ওরে-জাতি-ধর্ম্-বর্ণ্- নির্বিশেষে
লক্ষ শহীদের রক্তে পাওয়া মুক্তি যুদ্ধের অর্জিত ফসল
আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা-
ঐক্যবিহীন এই স্বাধীনতা- চেতনার স্বাধীনতা নয়
------------------------------------------------

দিকে দিকে অগ্নি বরষণ

 

দিকে দিকে অগ্নি বরষণ

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

তারিখঃ ২৮-০৪-২০২৫ খ্রিঃ

স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

-----------------------------------

হে মনুষ্যত্ব, তুমিই মানুষেরে করেছা মহিয়ান,

তুমিই দিয়েছো আনিয়া শ্রেষ্ঠেত্বের চির সম্মান!

 

এতো সুন্দর! এতো শোভা কেহ আর হয়নি সৃষ্টিকূল!

তুমি জ্ঞান তপস্সী দুরন্ত সাহসী সত্য ন্যায়ের মহিপাল।

তুমি নও কোন উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি- অনিষ্ট তরবার,

কেন  হারিয়েছো সত্যের পথ এই পৃথিবীর প্রান্তর?

 

দুঃসহ দাহনে তব কেন রৌদ্রে শুকালে রূপ রস প্রাণ!

কেন তুমি হারালে মনুষ্যত্ত্বের শোভা সুন্দরের সুর তান ?

শুধু চেয়েছিলাম, মানবতা চেয়েছিলাম তোমারি সুন্দরে,

এখন  দিকে দিকে অগ্নি বরষণ! তপ্ত মরুভূমি বিস্তরে!!

 

হে মনুষ্যত্ব! কোন বেদনার হলুদ বৃন্ত ঘিরিয়াছে তোমারে,

শেফালির  শুভ্র সুরভি বিথার বিকশি হয় না আর নশ্বরে!

ওগো-তুমি যে নির্মম দলবৃন্ত ভাঙ পুস্পের কাঠুরিয়া সম

আজ পৃথিবীর মানুষ অশ্রু জলে ছলছল হে প্রিয়-প্রিয়তম।

 

মানুষের মনুষ্যত্ব তব অগ্নি তাপে শুকাইয়া গেছে বসূধায়!

মানুষও হারায়াছে মুক্তি অযূত লোভ -লালসার সাধনায়।

-------------------------------------------------------

 

 

Thursday, April 24, 2025

আশাহীন পথ চলা

 

আশাহীন পথ চলা

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

তারিখঃ ২৩-০৪-২০২৫ খ্রিঃ

স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

-----------------------------------

হে তরুণ নেতৃত্ব, কোথায় হারালি সত্যের দীপালি?

সূর্য্ উদয়ের আগেই বিদায় জানালি কদম- শেফালি!

 

ওরে, শাখে শাখে এখন ফাল্গুনের ঝরা পাতার গান,

কোকিলের কুহু কুহু সুর থেমেগেছে তুমুল ঝড় তুফান!

অতন্দ্রা নয়নে কারে খোঁজে ফিরিস- ওরে ছিন্ন তরুণ দল?

উত্তাল যৌবনের এ কি বেহাল দশায় ঝরে অশ্রুজল!

 

তোরে ঘিরে অনেক স্বপ্ন বুঁনেছিলাম এই বিরহ অথির,

এখন দিকে দিকে তপ্ত বায়ু বয়ে যায় ছায়া-কুহেলির।

স্বপ্নে স্বপ্নে শুন্যতার ভয়,কাননে কাননে ফুল –খসা,

ঠিক যেন শিশির- তিমির- রাত্রি!বুকে বুকে নিরাশা!

 

হে তরুণ নেতৃত্ত্ব, যুবক তব নতশির তুই রক্তে রাঙা,

আশাহীন পথ চলা, পরাজয়ের কান্না শুনি অশ্রু-ভাঙা।

সম্মুখে তোর বিচ্ছেদ রাত্রি ডাকিছে অজানা গহনে,

ওরে, নীতি নাই, আদর্শ্ নাই তোর নেতৃত্বের গর্জনে।

 

তোর এ যাত্রা অশুভ! তব তুই বড় বেশী উদাসী !

ওরে, কোন অসুর ডাকে বাজিয়েছিস বেসুরা বাঁশী?

এ তন্ত্র, মন্ত্র- বড় অন্ধকার, বড় বেশী জটিল পথখানি

শুভ্রতার আলোকে আয় ফিরে আয় হে তরুণ- হীরে-মণি!!

--------------------------------------------------

 

Wednesday, April 23, 2025

এই মুল্লুকে

 

এই মুল্লুকে

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

তারিখঃ ২২-০৪-২০২৫ খ্রিঃ

স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

-----------------------------------

ওরে শোন, এখানে আলাউদ্দিনের চেরাগের আলো ভাই!!

যত অন্ধকার, যত পাপ, অর্থ্ বৈভব ক্ষমতা সবই দেখতে পাই।

 

এই মুল্লুকে পাপ করেনি নাই কোন এমন নর-নারী,

এখানে সিন্ডিকেট, অত্যাচার,দস্যু- ডাকাত পাপীদের কান্ডারী।

গুটি কয়েক দুষ্টের পাপে আঠারো কোটি জনতা- সে টলমল,

রাজ্যদ্রোহী চোরদের পথ দিয়া কত শত আসে অসুর দল।

 

এখানে চোরে চোরে সন্ধি, দিনে- রাতে রক্ত স্রোতের প্লাবণ,

ওরে শোন, ওরা  একই মঞ্চে নিজ স্বার্থে প্রকাশ্যে-গোপন।

আর তোমরা মুক্তি খোঁজ !মুক্তির চৌধারে গ্রাসিয়াছে পাপ,

যারে ভাবো এতো সুন্দর! সে তো মানবতাদ্রোহী অভিশাপ!

 

এদের তাড়াতে না পারিলে তুমি স্বপ্ন দেখিবে মিছে মিছে,

সমাজে বিভক্তির পর  বিভক্তি দেখিবে লাল-সবুজের নীচে।

এই মুল্লুকে নাই কোন ন্যায়-নীতি ,জ্ঞানী- গুনি- ঋষি- যোগী,

হৃদয় তাদের জল্লাদী তপস্বী,দেহ মন তাহাদের অবৈধ ভোগী।

 

এই মুল্লক যেন দুনিয়ার- ব্যাভিচার- অত্যাচার- লুণ্ঠনশালা,

সত্য -মিথ্যার পৃষ্ঠে এখানে শুন্যতার মহাবৃত্তে  উজালা।

ওদের পাপে জাতি উড়ে বিভক্তের ডানা ছাড়ি নরক সভায়,

এর চেয়ে পরাজয় আর কি আছে রক্তে পাওয়া স্বাধীনতায়?

 

যে যায় -যে আসে সে-ই করে যেন জনতার অধিকার গুম,

এই মুল্লক যেন বিশ্বাস ঘাতকের রক্তে মেশা নিষ্ঠুর ধরাধাম।

-----------------------------------------------------

রক্ত দিয়ে কিনেছি

 

রক্ত দিয়ে কিনেছি

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

তারিখঃ ২২-০৪-২০২৫ খ্রিঃ

স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

-----------------------------------

ওরে ভয় নাই, ওরে ভয় নাই চেতনা উঠিছে জাগিয়া,

হে বঙ্গ বীর ,জেগে উঠ তোরা অনিষ্ট আঁধার ভেদিয়া!

 

 বাংলার মহাবীর ডাকে, ওরে ডাকে-আমি আসিয়াছি,

যুদ্ধে নেমেছি মৃত্যু’রে ঠেলিয়া হিমালয়- চাপা প্রাচী।

আয় তোরা আয়, ওরে আয়, তন্দ্রা ভাঙ্গিয়া ওরে বীর সেনা

চৌদিক তোরে গ্রাসিয়াছে দৈত্য –দানব কত লেনা-দেনা।

 

স্বাধীন দেশ তবু স্বাধীনতা মুত্যুর দিকে ছুটিছে রাগ-অনুরাগে,

মসনদে বসিয়া ব্যঙ্গ হাসিছে স্বৈরাচার –ফ্যাসিষ্ট-অগ্রভাগে।

যুগে ‍যুগে লুটিয়াছে রাজ্যকোষ,গ্রাসিয়াছে ন্যায়-বিচার-অধিকার,

আর কতকাল দেখবি তোরা, আয় তোরা আয় যুদ্ধের প্রান্তর!

 

আমি আসিয়াছি ডর ভয়হীন! ওরে তোরা আয় দুর্বার সেনা,

ডান্ডা ভেড়ি পরা, ভাঙ্গিয়া দে- দুঃশাসনের আড্ডাখানা।

চিনে নে, চিনে নে দুষ্ট চক্রের বক্রগতি-ঘুরিতেছে অবিরত,

আমি আসিয়াছি,ওরে আসিয়াছি,ওরা হবেই আজ পদানত।

 

ওরে আয়- তোরা আয়- ওই বাজিছে যুদ্ধের ডঙ্কা

আসুক ওরা যুগে যুগে নবরূপে- কিসের ভয় শঙ্কা?

নবীণ মন্ত্রে দানিতে দীক্ষা আমি আসিয়াছি ধরণী,

মানব মুক্তির রাহে দিকে দিকে মানবতার জাল বুনি।

 

রক্ত দিয়ে কিনেছি,ন্যায্য হিস্যা চাই,অধিকার চাই গুনি গুনি,

আর চাই না বক্রচক্রের টানাটানি, চাই না কোন প্রাণহানি।

-----------------------------------------------------