Monday, June 22, 2020

প্রেমের চিঠি


মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা 
প্রিয়ার প্রাণে প্রেমের ছুঁয়া খুব বেশী দেখিনা
প্রেমের কাব্য ইথারে ইথারে বন্ধী অসভ্য ভাষায়
প্রিয়া একাকি বসে নিখুঁত মেসেঞ্জারে কল্প বিভোরে
প্রিয়র আলিঙ্গনে মাতোয়ারা-

আজ হারিয়ে গেছে সেইসব রোমাঞ্চিত প্রেমের চিঠি
প্রেমের সাহিত্যে খুঁজে পাই না অনুভূতির তরঙ্গগুলো
অসহ্য মনে হয় অপ্রিয় কোন প্রেমিকার মতো-
মনে হয় বেশ্যা পল্লীর কোন এইডস কিংবা মরণ ব্যাধি-

দু’টো উম্মাদ পাগল ঘুড়ে বেড়াচ্ছে ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেঞ্জারে
ক্রমশ বাড়াচ্ছে তাদের ওইসব পরিধি-
প্রেমের চিঠি আজ লেখে না, প্রেমের সাহিত্য বুঝে না।
বুঝে শুধু আউল ফাউল-

প্রেমের সাহিত্যে ঘন কুঁয়াশা. বড্ডো ঝাপসা দেখি
প্রেমের কাব্য ইথারে ইথারে বন্ধী অসভ্য ভাষায়
প্রেমের প্রতিটি জানালা যেন এক বেশ্যা পল্লী!!
এক পরাজয় ঘুরছে প্রেমিক –প্রেমিকার নিখুত ম্যাসেঞ্জারে-

তবে কি প্রেমের সাহিত্য অথৈ জলে ডুবে যাবে?
সেই চিঠি কি আর কোনদিন ফিরে আসবে না?
-----------------------------------------১৯-০৬-২০২০ ইং,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

স্বাস্থ্য বিধির সনদে


মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা 
যদি স্বাস্থ্য বিধি মান, আমি লক ডাউন ছাড়া আর সব দেবো
এই মন চাই না আর স্থবির হয়ে আসুক তোমাদের পথ চলা।
আমি চাই অর্থনৈতিক মুক্তি ফিরে আসুক কৃষক শ্রমিক মজুরে
কল কারখানা চলুক হরদমে

যদি স্বাস্থ্য বিধি মান, আমি খুলে দিবো অফিস আদালত গাড়ী ঘোড়া
ফিরে পাবে জীবনের চঞ্চলতা-
মুক্তি পাবে গৃহ বন্ধী হতে
যদি চাও দিয়ে দিবো নির্বাসন করোনার ভীতি মালা

শুধু চাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চল জীবন জীবিকায় ঘরে বাইরে-
আমি খুলে দেবো, সব খুলে দেবো তোমাদের অভিসারে
যদি চাও, সাড়া বাংলা খুলে দেবো স্বাস্থ্য বিধির সনদে
যদি পাশ করো, করোনার ভীতি স্তব্দ হবে ফুলের সৌরভে
বাঙ্গালী জেগে ওঠবে স্বগৌরবে-

তুমি বাংকার হবে, স্বাস্থ্যবিধি হবে সুরক্ষা, মুক্ত জীবন
যদি চাও, খুলে দোবো- শুধু অবরুদ্ধ লক ডাউন দেবো না।
বিজয় কেতন উড়ে দেবো পিচ ঢালা শহরে
লাল-সবুজ প্রান্তরে-
খুলে দেবো, লক ডাউন খুলে দেবো স্বাস্থ্য বিধির সনদে ।
--------------------------------------------১৯-০৬-২০২০ ইং, রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

প্রিয়জন সাহিত্য পরিষদ


মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা 
আমাকে কবিতা আবৃত্তির মূর্ছ্নায় কে ভাসাবে?
আমাকে সুখ দুঃখের সাহিত্য কে শোনাবে?
অধীর আগ্রহে চেয়ে থাকি তোমার পানে হে প্রিয়জন
যদি তুমি না আস, আমি ব্যাকুল হয়ে যাই বিরহ ব্যাদনায়
দিবা নিশি!

অন লাইন পর্দায় চেয়ে থাকি, অবিরত চেয়ে থাকি কবিদের আড্ডায়.
কে আর শুনাবে এমন কবিতা আবৃত্তি?
স্বপ্ন তো আমার সেই জন্ম থেকে জীবনের
প্রিয়জন সাহিত্য পরিষদের মধুময় আড্ডায় ।

আমার কবিতা বলে কিছু নেই
আমার সাহিত্য বলে কিছু নেই
আছে শুধু কবিতার প্রতি বিস্তর প্রেম ।
কবিতা তো আমার প্রেম ভালবাসা জীবনের আলিঙ্গন।
তুমি তো নিখঁত স্পর্শ্ আমার আপাদমস্তক- হে প্রিয়জন সাহিত্য পরিষদ।
তোমাকে সেভ করে রেখেছি হৃদয়ের এ্যালবামে।
---------------------------------------২০-০৬-২০২০ ইং,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

করোনার নিষ্ঠুর হাতে পড়াবো শিকল


মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা -
আমি আর আতংকিত হবো না
ভয় পাবো না, কোন কিছুইতেই শুধু আর ভয় পাবো না ।

যে করোনার ছোবলে বিশ্ব মানুষেরা মৃত্যে ভয়ে - মৃত্যেুর প্রহর গুনে
এখন সম্মুখ যোদ্ধারা এসে গেছে করোনা যুদ্ধে
কেভিড-১৯ দুর্বার হুঙ্কারে আমি আর আতংকিত হবো না।

মৃত্যু ভয়কে তুচ্ছ করে আমার দ্বারে দ্বারে
ডাক্তার , সেবক- সেবিকা, পুলিশ –আর্মি, রাষ্ট্র নায়ক, সমাজ নায়ক
শিল্পপতি, গায়ক- গায়িকা, কবি- সাহিত্যক, বুদ্ধিজিবী, সাংবাদিক
কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কে নেই পাশে !

করোনার নিষ্ঠুর হাতে আজি পড়াবো শিকলের কড়া
আবার আসবে- ফিরে আসবেই নির্ভ্য় বাংলার বুকে বুকে
আজ সেই দিন ক্ষণ,
ছুঁড়ে ফেলো জীর্ণ্ জড়তা সম্মুখ যোদ্ধাদের অকোতভয় বীরত্ত্ব দেখে
আমি আর আতংকিত হবো না

ভয় আতংকে হারাবে প্রাণের স্পন্দন,পৃথিবী হারাবে তোমাকে
স্বাস্থ্যবিধিই হবে পুস্পিত বাগান, আমি আর ভয় পাবো না-
প্রকৃতির প্রতিশোধে- ইনশাআল্লাহ-
করোনার নিষ্ঠুর হাতে পড়াবো শিকল, তুমি ভয় পেও না-
-------------------------------------২০-০৬-২০২০ ইং,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুল।

এ হৃদয় ছিনিয়ে নিয়েছো তুমি


মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা 
হে প্রিয়া, তুমি জানতে যদি আমার হৃদয়
ক্ষতবিক্ষত কতোখানি,
ব্যাকুল হয়ে উঠতো তোমার দেমাক প্রাণ
আমার যন্ত্রনায় বাজত আপন যন্ত্রনার ধ্বনি।

স্পন্দিত প্রাণের রক্ত কণিকারা জানতো যদি
তবে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতো কিংবা স্তম্ভিত হতো
আমার যন্ত্রনা কতোখানি- কতোদুর,
রক্ত প্রবাহে প্রবাহে গর্জে উঠত সুপ্ত তরঙ্গেরা
আর অনুভূতিরা আলিঙ্গনে আলিঙ্গনে বলতো
হে প্রিয়, আমি ভালবাসি, শুধু তোমাকেই ভালবাসি৥!

শুভ্র হৃদয় খুলে কখনো ভাবতে যদি-
প্রাণের গভীরে ক্ষত বিক্ষত দাগগুলো-
তবে ফিরে আসতে, তুমি ফিরে আসতে
আমার শিয়রে, আমার ফুল সজ্জার বাসরে-

আমি জানি, তুমি আসবে না, তুমি বুঝবে না- এ যন্ত্রনা
শুধু জানি, আমি জানি- এক অহংকারের আড়ালে-
তুমি আজ বিরহের চাঁদরে ঢাকা।

জেনে রেখো, এ হৃদয় ছিনিয়ে নিয়েছো তুমি
আবার যন্ত্রনাও দিয়েছো অবিরত!
তবু বলি, ভালবাসি ,শুধু তোমাকেই ভালবাসি ।
---------------------------২০-০৬-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
এ হৃদয় ছিনিয়ে নিয়েছো তুমি
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা - বিজয়
হে প্রিয়া, তুমি জানতে যদি আমার হৃদয়
ক্ষতবিক্ষত কতোখানি,
ব্যাকুল হয়ে উঠতো তোমার দেমাক প্রাণ
আমার যন্ত্রনায় বাজত আপন যন্ত্রনার ধ্বনি।

স্পন্দিত প্রাণের রক্ত কণিকারা জানতো যদি
তবে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতো কিংবা স্তম্ভিত হতো
আমার যন্ত্রনা কতোখানি- কতোদুর,
রক্ত প্রবাহে প্রবাহে গর্জে উঠত সুপ্ত তরঙ্গেরা
আর অনুভূতিরা আলিঙ্গনে আলিঙ্গনে বলতো
হে প্রিয়, আমি ভালবাসি, শুধু তোমাকেই ভালবাসি৥!

শুভ্র হৃদয় খুলে কখনো ভাবতে যদি-
প্রাণের গভীরে ক্ষত বিক্ষত দাগগুলো-
তবে ফিরে আসতে, তুমি ফিরে আসতে
আমার শিয়রে, আমার ফুল সজ্জার বাসরে-

আমি জানি, তুমি আসবে না, তুমি বুঝবে না- এ যন্ত্রনা
শুধু জানি, আমি জানি- এক অহংকারের আড়ালে-
তুমি আজ বিরহের চাঁদরে ঢাকা।

জেনে রেখো, এ হৃদয় ছিনিয়ে নিয়েছো তুমি
আবার যন্ত্রনাও দিয়েছো অবিরত!
তবু বলি, ভালবাসি ,শুধু তোমাকেই ভালবাসি ।
---------------------------২০-০৬-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

এই হাতে কবিতা দাও


মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা 
কবিতার অতন্দ্র প্রেম জেগে আছে অপার মহিমায়-
কবিতায় কবিতায় রেখেছি তোমায় হৃদয়ের আঙ্গিনায়
পূর্ণিমার শুভ্র আলোয় বিনিদ্র নিশিথ!
যতোটুকু চেয়েছি তার চেয়ে বেশী ছুঁয়েছি তোমাকে-
কবিতার উৎসবে ডাক দিয়েছো আমায়, আসবো না কেন?
এই হাতে কবিতা দাও, কবিতার মোহনায় আমি হারাবো-
আমি খুঁজে নিবো প্রিয়জন সাহিত্য পরিষদ।

পরাজায় ! কভূ অবিনশ্বর পরাজয় নয়


মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
তুমি এক অদৃশ্য ক্ষেপণাস্র কিংবা মিসাইল
দানবীয় শত্রু বিশ্ব মানবের কাছে
প্রস্তুত হওয়ার আগেই হানা দিয়েছো নিখিলের দূর্গে দূর্গে-
তুমি এক কা-যোদ্ধো-তুমি ভেঙ্গেছো সমর নিয়ম

এ পৃথিবীর রণ রক্ত কেবল দিয়েছে মানুষ সম্মুখ যুদ্ধে
এনেছে বহু বিজয়!
পরাজায় ! কভূ অবিনশ্বর পরাজয় নয়
তুমি একদিন এই মানুষের কাছেই নতশির হবে;
তবু বলি যদি যোদ্ধা হও সম্মুখে এসো-

আজকে অনেক প্রাণকে কেড়ে নিয়েছো নিরব ঘাতকের মতো-
পৃথিবীর মানুষকে মানুষের মতো বাঁচতে দেওনি
ছোবল দিয়েছো কেবল রাতের অন্ধকারে, বুকে চেপে
নির্দ্য় হত্যা করেছো লক্ষ লক্ষ প্রাণ!

ভাই বোন বন্ধু পরিজনকে নিয়েছো মৃত্যেুর মিছিলে
পৃথিবী জুড়ে গভীর থেকে গভীতর নিষ্ঠুর অগ্রাসন করেছো
মানুষ তবুও বাঁচার স্বপ্ন দেখে- মানুষ জিতবেই
পরাজায় ! কভূ অবিনশ্বর পরাজয় নয়--
-------------------------------------------২১-০৬-২০২০ ইং,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

এতো বেশী কল্পনা করতে বলো না


মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা -
এতো বেশী কল্পনা করতে বলো না, তুমি ঢুকে যাবে
কিছুটা আড়ালে থেকো, কিছুটা দুরত্বে থেকো মঙ্গল হবে

অদৃশ্য স্পন্দনের দু’টি অনুভব
অজান্তেই যদি এক হয়ে যায়!
তাই বলি এতো বেশী কল্পনা করতে বলো না-
তুমি ঠিক ততোখানি নেগেটিভ যতোখানি পজেটিভ আমি -
ভয় তো এখানেই---

তড়িৎ প্রবাহ জ্বলে উঠবে এর বেশী ভাবতে বলো না।
কবি তো ভুলে যাবে কবিতার মৌল উপাদান
দেহের ভেতরে শিরহণ জেগে উঠবে তড়িৎ প্রবাহে প্রবাহে, তখন তুমি নেই
কবিতায় তুমি নেই, তুমি আছো ঠিক ওইখানে--
এতো বেশী কল্পনা করতে বলো না, তুমি ঢুকে যাবে—

তুমি তো কবিতার মৌল উপাদান! তুমি তো এমনিতেই
ঢুকে আছো ঠিক ওইখানে—
যেমনটি দু’জনার চাওয়া ।
এতো বেশী কল্পনা করতে বলো না, তুমি ঢুকে যাবে—
------------------------------------২১-০৬-২০২০ ইং,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

উজ্জ্বল নক্ষত্রের অবসান


মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাত্রির অন্ধকার আকাশে দেখেছি আমি তোমাকে
কত দেখেছি শুভ্র আলোয় তুমি হাসতে, তুমি জ্বলতে
তোমার পথ পানে অপলক চেয়ে থাকি- যদি একটু আসতে !
গোঢ় অন্ধকার হতে তুমি নিরন্তর উৎসর্গ্ করেছো আপনাকে
এই নিখিলের কল্যাণে-

কি এক ঝড় তুফান তোমাকে ঢেকে দিলো বিয়োগের চাঁদরে!
খুঁজে ফিরি তোমার মুখখানি এই বিস্তৃত আকাশে
এ যেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের অবসান-

এই প্রাণ আকুল হয়ে ওঠে তোমার শূন্যতায়-
কোন অনন্যোপায় হয়ে তুমি চলে গেলে আমায় ছেড়ে
পৃথিবীর এই মৃত সভ্যতায় কে আলো দিবে এখন?
যে আলোয় পথ চিনে যেতাম সাগরের স্নিগ্ধ কলরবে।

কি এক ব্যাদনা অক্লান্ত আগুন!
পৃথিবীর নিবিড় কালো সভ্যতার ভিতরে
তবু
তোমার আলো রেখা মৃত সভ্যতায় পথ দেখায়-
অন্ধকার থেকে এসে নব সূর্য উদয়ের মতো
তুমি আছো- তবু কত দূরে !

রাত্রির অন্ধকার আকাশে দেখেছি আমি তোমাকে
কত দেখেছি শুভ্র আলোয় তুমি হাসতে, তুমি জ্বলতে
আজ তুমি নেই,!আজ তুমি নেই!
খুঁজে ফিরি তোমার মুখখানি এই বিস্তৃত আকাশে
এ যেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের অবসান-
-------------------------------------২১-০২-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

রাঙা জলে ভেসে আমি


মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা 
সেদিন আমার বাবা হেসেছিল
যেদিন মার বুকে আমি এসেছিলাম উতরোল তরঙ্গের ভিড়
বাবার চোখ জেগে জেগে ধীরে ধীরে কালো হল
আকাশে ভেসে ওঠা কালো মেঘের মতো-

তবু থামেনি আমাকে নিয়ে আদর সোহাগের কোলাহল।
বাবার রাঙা জলে ভেসে আমি- আজ এতো দূর!

জীবনের শূন্যতা -হৃদয়ের ব্যথা একাকারে ভেঙ্গে
বুক চেপে সহে গেছে আপনার হাহাকার
আমার নিত্য অভিসারে বিনিদ্র রাত-
অতন্ত্র প্রহরীর মতো অভয় দিয়েছে তপ্ত বালুচর
তবু বুঝিনি অন্তর স্মরলিপি-

তুমি আমার শুভ কামনায় অতুল্য ছায়ার মতো
শিরে্ উপশিরে জাগ্রত আছো- রোজ প্রার্থ্নায়
কান পেতে শুনো তুমি হৃদয়ের গভীর ক্রন্দন-
উদয় করো সোনলী সূর্য্ আমার অন্ধকার গগণ-

তোমার রাঙা জলে ভেসে আমি- আজ এতো দূর!
জীবন পথে তুমিই আলো, সূর্য্ যেথায় উঠে-
জানি আমি শোধাবে না কভূ, এই ঋণ মোটে ।
আল্লাহ তোমার সহায় হউন এপার-ওপার ঘাটে।
-------------------------------২১-০৬-২০২০ ইং,রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর।

একজন আমানত হোসেন খাঁন

মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা 
অতুল্য উপমা
তুমি সৃষ্টি করো প্রতিদিন!
আমি অপলক দেখি একজন নিরহঙ্কার মানুষ- যার মাঝে নেই ধণী গরীবের কোন ব্যাবধান
খররৌদ্রে তুমি ছুটে চল ক্ষুধার্ত্ মানুষের দ্বারে দ্বারে, তুমি ছুটে চল তুমুল ঘূর্ণি তুফানে
মানুষের নিদান প্রহরে ডানা মেলে দাও উড়ন্ত পাখির মতো
জোয়ারের মতো ফিরে আসো বার বার খরা নদীর বুকে
দুয়ারে দুয়ারে অনেক ক্ষণ ধরে কথা বলো
পৃথিবীর দুঃখকে পাঠিয়ে দাও ভাটার পাদদেশে
তারপর
কাছে
অনেক কাছে
এমন ব্যবহার করো- আমি বিষ্ময়ে দেখি
এক মানবতার জনক যেন অন্ধকার গগণে জ্বলে আছে
পূণিমার মতো-
যে আচার আচরণ একটা আদর্শ্ জবীন প্রবাহের উপমা!
মানবতার দুর্ভিক্ষে;
তুমি বট বৃক্ষের মতো ছায়া হয়ে আছো
নির্লোভ, নিরহঙ্কার, দুর্বার যুদ্ধজয়ী সমর সেনার মতো-
সেবার ভ্রতে
নিখিলের বঞ্চিত মানুষের দ্বারে দ্বারে
দৃঢ় প্রতীজ্ঞ গণ মানুষের নেতা – একজন আমানত হোসেন খাঁন ।
-------------------------------------------২২-০৬-২০২০ ইং,রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Friday, June 12, 2020

এ পৃথিবী ভুলে যাবে তোমাকে


প্রাণের সূর্য্টা ধীরে ধীরে হেলে যাচ্ছে অন্ধকার দিকে;
আপ্রাণ ছুটেছে মানুষ মুক্তির সন্ধানে ক্ষণিক ভূ-লোকে!
কি এক অদৃশ্যেভয় ঘিরে আছে পৃথিবীর প্রাণে প্রাণে;
কে বাঁচবে! কে মরবে! এ হিসেব কষে জনে জনে!

চৌদিকে মৃত্যেুর মিছিলে মিছিলে উত্তাল ধরাধম!
রক্ত রক্তকে ভুলেগেছে, প্রিয় ভুলেগেছে প্রিয়াকে
আমি বাঁচবো, আমিই বাঁচবো প্রথম!

সন্তান চিনেনা পিতা-মাতাকে! পিতা মাতা চিনেনা সন্তানকে
ডাক্তার চিননো রোগী,
আজ সবাই যেন বৈরাগী!
ইমাম চিনে না মুসল্লী, প্রতীবেশী বুঝেনা লাশ!
রাষ্ট্র বুঝে না ধণী দরিদ্রের ব্যবধান,সমাজ বুঝেনা সামাজিক বসবাস
এক অদৃশ্যের ছোবলে পৃথিবী জুড়ে শুধু পরিহাস, শুধু পরিহাস!
মিথ্যের পিছনে ছুটেছে মানুষ-
মানুষেরা বেহুশ! বড় বেশী বেহুশ!

ভুলেগেছে মানুষ, মৃত্যুকে ভুলেগেছে, ভুলেগেছে স্রষ্টাকে-
এ পৃথিবী ক্ষণিকের ! এ পৃথিবী ভুলে যাবে তোমাকে ।
আসুক না পরীক্ষা! স্মরণ করো তোমার আল্লাহকে ।
-----------------------------------------১১-০৬-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর-


Wednesday, June 10, 2020

কেভিড-১৯



দিয়েছে ভেঙ্গে রতি মহারতিদের দূর্গের সব দিক!
সে এসেছে, কেড়ে নিতে এসেছে ধরণীর সব সুখ;

পৃথিবী ধুঁকিছে মরণের সঙ্কাতে-ধরার চঞ্চলতা যেন বড় ম্লান;
কেভিড-১৯ পণ করিছে কেড়ে নিতে মানুষের শান্ত প্রাণ!
সাদা-কালো চিনে না সে প্রভাত সন্ধ্যা আপনার গান গেয়ে;
এই দিবা রাতি আকাশ বাতাসে ছুটিছে মৃত্যের পরোয়ানা লয়ে।

কোন কৌশলে সে হারায় না তার মনোবল;
আতঙ্ক ছড়ায়ে ছুটিছে সে মানুষের দেহ কল!

আজ ক্ষুধার্ত্ পৃথিবীর হাজার লক্ষ কোটি জনতার প্রাণ!
দরিদ্র, হত দরিদ্র লক্ষপতি কোটিপতি কেউ নেই পরিত্রাণ
সকলে এতে আতঙ্কিত সমহার,
কেউ যেন নেই ফিরে দিবে বাঁচিবার অধিকার।

অসংখ্য দুঃখ ঘিরে আছে মানবে,নেই তবু অবসাদ
কেভিড-১৯ উল্লাসে করিছে প্রাণঘাতী যত অপরাধ!!
সে দৃশ্যে নাই,তবু আছে বিপুল প্রতাপে-
ছড়াবেই মহামারি মৃত্যু ভয় এই অন্তর দ্বীপে!

আজ থমকে গেছে পৃথিবী, থমকে গেছে বিধি বিধান!
কেভিড-১৯ তবু ছুটিছে ধরণী মানবেরে করে অপমান।

হে মানব, তুমি কি পেরেছো আপনাকে শুধরাতে এই ধূলা- মাটি?
আপনার ভুলে আপনি মরিছো গায়ে গড়িছো করোনা ঘাঁটি!
বিধি ভাঙ্গিয়া উড়িছো তুমি ডানা মেলিয়া
তাইতো কেভিড-১৯ নেচে ওঠে তোমায় ঘেরিয়া।

কেউ ধরাধমে সুখী নয়, মৃত্যু ভয় বড় শক্তিমান!
কেভিড-১৯ এসে গড়ে দিলো অর্থনৈতিক ব্যবধান।..
হে মেহেরবান! হে মেহেরবান!
তোমার সমীপে আর্জি করি পেশ অবনতশিরে এই প্রাণ খুলে
ক্ষমা করো হে, ক্ষমা করো হে, মানবের সীমাহীন অপরাধ ভুলে।

হে মানব, কেন তুমি আজ চিন্তিত বসিয়া?
নব জাগরণে জাগি ওঠ স্বাস্থ্য বিধি মানিয়া।
তোমার সচেতনে কেভিড-১৯ আসন ধসিয়া চলিবে গোরস্থান;
তুমি হাসিবে, আবার হাসিবে এই ধরণী -ওহে পালোয়ান।
-----------------------------------------------০১-০৬-২০২০ ইং রাওনাট কাপাসিয়া, গাজীপুর।

আঁধার শিয়রে বসি


মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা - বিজয়
এই ধরণীর বদ্ধ্ জানালা খুলেছা তুমি হে মহিয়ান;
আঁধারকে দিয়েছো ধিক্কার, গড়েছো আলোর ঐক্যতান ।
খোঁজেনি তোমায় আমি জগত ব্যাপিয়া;
তবু জেগে আছো তুমি সাম্যের দীপ নিয়া।
তোমার জাগরণে বিষ্ময়ে মরি,ভরে ওঠে এ দেহ প্রাণ!
তুমি প্রেমের কান্ডারী!তুমি হৃদয়ের প্রহরী!তুমি দূর্গের জয়গান!
হে মহিয়ান! হে মহিয়ান!
তোমার চেতনা এত সুন্দর, এত মহৎ হে পাঞ্জেরী!
আঁধার শিয়রে বসি আলোর স্বপ্ন দেখ তন্দ্রা ছাড়ি।
------------------------------০১-০৬-২০২০ ইং ,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

পরচর্চা চেপে ধরেছে গলা



শান্তি আজ চুপি চুপি কান্না করে ভঙ্গুর বুকে,
পরচর্চা অবিরত সহচর হয়ে প্রাণে প্রাণে ডোকে।

জগতের সংসার তরী কোনমতে হয় সিন্ধু পার
আজ ব্যস্ত অহেতুক পর চর্চায় মানুষেরা অধীর।

পরচর্চার ধূর্তেরা কেড়েছে সুখের শেষ গ্রাস
ডেকেছে অশান্তি,ডেকেছে শান্তির সর্বনাশ।

স্বর্গ্ ক্ষেতের শস্য্
হত্যা করে নিন্দুকেরা অগ্নি চুল্লিতে জ্বালায়;
সামাজের প্রতিটি পরতে পরতে দুঃসহ সন্ত্রনায়।

শান্তির দূর্গ্ গম্বুজ ও প্রসাদের মিনারে-
পরচর্চা চেপে ধরেছে গলা,বিবেকেরা মুখ লুকে বারে বারে
এক অভিশাপ যেন ধেয়ে আসে বারংবার নিস্ফল-
পরচর্চা অন্যায় যেনেও মানুষেরা তাই করে প্রবল।
----২৪-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

নিষেধ সত্ত্বেও



হে বিবেক! হে বিবেকহীন! কে এসেছো ফিরে?
এতো করে নিষেধ সত্তেও ছুটিছো বাইরে বাইরে!

হে বিবেক!এবার ঘরে এসো ফিরে
একবার চোখ মেলো দেখো সারা বিশ্ব্ জুড়ে
ঘাতক করোনা ভাইরাস গ্রাম নগরের ভিড়ে!

যে প্রকাশ্যে মৃত্যু হানা দেয় বারবার,
জনতার ঝটলায় পথে ঘাটে ট্রেন বাস লঞ্চে কিংবা ষ্টীমার
এই যে আকাশ, দিগন্ত মাঠ স্বপ্নের সবুজ মাটি
আজ মৃত্যুপরী গড়িছে এখানে ঘাঁটি।

কোথাও নেইকো ছাড় !
এবার এসো ফিরে আপনার ঘরে জাতিকে বাঁচিবার।
ভয়ঙ্কর করোনা ভাইরাস দিগন্ত থেকে দিগন্ত পেরিয়ে তুলিছে হুঙ্কার।
করোনা ভাইরাসে আতংকিত বিশ্ব্ প্রাণ দলে বল
ওরে তোরা ঘরে চল, ওরে তোরা ঘরে চল,

নিজে বাঁচ, জাতিকে বাঁচাও নির্জনতায় থেকে থেকে-
দেশ প্রেম জাগিয়ে তুল হে আপনার ভিতর দিকে দিকে
হে বিবেক! হে বিবেকহীন!চেতনার শিখরে আগুন জ্বালো
পুড়িয়ে দাও অনিষ্টের সব কালো।

হে বিবেক! হে বিবেকহীন! কে এসেছো ফিরে?
এতো করে নিষেধ সত্তেও ছুটিছো বাইরে বাইরে!
----২৪-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

আঁধারের মাঝে দেখেছি আমি


আঁধারের মাঝে দেখেছি আমি এক আলোর ঝলক!
ওরে পেরেসানী, ওরে ভীতু- খুলে দে গহিন পলক।

ওরে অজ্ঞ যত প্রাণ!ছুটেছিস তুই কোন পথে ?
চেয়ে দেখ জ্বলিছে আলো এক অদৃশ্য্ হতে।

অন্ধকার বুক জাগি উঠিছে শুভ্রতার মালা পড়ি;
পথিকের পথ হল চেনা আঁধার পথ হেরি
ওরে বিজয় কেতন উড়ি!

ওরে পথিক! তুই তো পরীক্ষার অভিযাত্রী ক্ষণিকায়-
তুই পড়িবে আযাব গজবে সময়ে অসময়ে বসুধায়।

তাতে তোর কি ওরে মুমিনের তরী?
দে পাল উড়িয়ে আল্লাহ’র দরিয়ায় ওরে পাঞ্জেরী।

ওরে মুমিন! তোর বিজয় নহে দূরে, বহুদূরে-
তুই নিকটে, খুব নিকটে আল্লাহ’র রহমত শিয়রে।

তোর বিজয় লুকে আছে বুঝেছিস যদি আল্লাহ’রে
করোনা ভাইরাস নহে অভিশাপ মুমিনের তরে
এ যে আল্লাহ-বান্দার প্রেম নিকটে যাবার ওরে।

আঁধারের মাঝে দেখেছি আমি এক আলোর ঝলক!
ওরে পেরেসানী, ওরে ভীতু- খুলে দে গহিন পলক।
----২৪-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

আমিও মানুষ,তুইও মানুষ


হে মানুষেরা তোরা কোন পথ ধরি?
তোরা কোন দূর ঘাটে ছাড়িলি জীবনের তরী!

এ ক্ষণিকায় তুই মানুষ, তুই সাম্যের চির প্রাণ-
তবে কেন আজিকে গেয়ে চলিস বৈষম্যের গান।

মানবের শিরে উপশিরে প্রবাহে একই রাঙা জল
যা তোর ভিতরে, আমার ভিতরেও করে কলকল।

তবু দেখি মানুষে মানুষে বিভেদের প্রণয়-
এ কেমন বিচার করিস হে মানুষ ধরাময়?
এ পৃথিবী নহে তোর চিরময়-
আমিও মানুষ,তুইও মানুষ এটাই পরিচয়।

পাপ পূণ্যের বিচার করিবে আল্লাহ তুই নহে বিধান,
তবে কেন যুদ্ধে যুদ্ধে হচ্ছিস আগোয়ান ওহে নজোয়ান।
----২৪-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

আমি আছি


কোথায় পালালে তুমি হে প্রেম?
রক্ত কণিকায়, শিরা-উপশিরায়! কই নেইতো
হৃদয় থেকে হৃদয়ে কিংবা মানুষ থেকে মানুষে
প্রেমিক প্রেমিকার অভিসারে,
সংসারে বা সমাজে, পরিবারে
রাষ্ট্র যন্ত্রে কিংবা বিশ্বের বক্ষে কোথাও নেই তো!
আমি খুঁজেছি, অনেক খুঁজেছি আমার মাঝে খুঁজেছি-
তোমার মাঝে খুজেছি, এমন কেউ নেই
যার মাঝে খুঁজিনি-
কই, কোথাও নেই তো!
আমি কি ভুল করেছি? দুঃখেও খুঁজেছি, নেই তো!

হে প্রেম! এসো না ফিরে আবার হৃদয় থেকে হৃদয়ে
এ পৃথিবী চেয়ে আছে তোমার পানে নির্ভয়ে
খুলে দাও দ্বার হে প্রেম তুমি থেকে আমি
আমি থেকে তুমি!
প্রেম নামক মহান অনুভূতি জাগাও হে জাগাও, জাগাবে তো!
আমি আছি----
----২৩-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

এর পরেও



সেদিন যদি তোমাকে না দেখতাম নশ্বরে;
হয়তো তুমি ঢুকতে না আমার অন্তরে।

আজ দেখি বারে বারে তোমার হচ্ছে উত্থান;
আর আমি নিরবে নিরবে হচ্ছি খানখান।

অজান্তেই হৃদয়ের গভীরে উড়াচ্ছি ধুলোবালি?
পথ থেকে পথে পথে উড়ে যাচ্ছি ডানা মেলি।

হৃদয় থেকে হৃদয়ের জ্বালা
আজও হয়নি খোলামেলা-

এ কথাটি হয়নি এখনও বলা যারে ভালবাসি-
আজ বলি কবিতার চরণে চরণে ওহে প্রেয়সী।

এর পরেও অব্যক্ত অনেক কথা-
যাও, আজীবন ভালো থেকো সেথা।
----২৩-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

মৃত্যু আতঙ্ক ধরিছে ঘেরিয়া



প্রাণে প্রাণে বাসা বাঁধিছে এক আতঙ্ক ভাইরাস!
আজ ছুটিছে প্রাণেরা করোনার ভয়ে উদাস।
এতো ভয় ভাইরাসের!
নেই কোন ভয় আল্লাহ’র।

মৃত্যু আতঙ্ক ধরিছে ঘেরিয়া মানুষের প্রাণে প্রাণে-
তবু নাহি বুঝে মানুষ আল্লাহ হইতে আসিছে ভুবনে।
অন্তর আকাশে জাগিয়া তুলিছে ইয়ানাফসি ইয়ানাফসি!
কেউ কাউকে নিয়ে নাহি ভাবে আর এই ধরাধমে
আপনারে ভালবাসি।

ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িছে চৌদিকে আল্লাহ’কে ভুলে ভুলে
মৃত্যু ধরিবে বুঝি এখনই এসে মানুষেরে দলে দলে ।
হায় আফসোস! হায় আফসোস!
কবে আসিবে ফিরে মানুষের হুশ?

মানুষ তো ক্ষণিকের মেহমান এই ধরাধমে-
ওহে মানুষেরা, আল্লাহ’র দিকে ফিরে এসো প্রথমে
তারপর পানা চাও হে ব্যাথা যত বুকে বহি,
আসিবে ফিরে প্রশান্তি প্রাণে ওহে বিরোহী।

মৃত্যু আতঙ্ক ধরিছে ঘেরিয়া মানুষের প্রাণে প্রাণে-
তবু নাহি বুঝে মানুষ আল্লাহ হইতে আসিছে ভুবনে।
----২৩-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

কি এক দুর্ভাগা জাতি মোরা


কি এক দুর্ভাগা জাতি মোরা প্রদীপে দেখিনা আলো!
আঁচিল উঠিছে জাগি নেতৃত্বের গায় কালো কালো।

কণ্ঠে কণ্ঠে আছে তোষামোদি লাগি
তাগুদের প্রদীপে জ্বলিয়া জাতির নেতৃত্ব রয়েছে জাগি!
ব্যর্থ নেতৃত্ব বজ্র বিজলীতে গর্জিছে সত্যের বাঁধ ভেঙে
নব আযাব গজবের ঢেউ তুলিছে ভ্রান্ত জাহেলী রাঙে।

বঙ্গ বুকে বাতিল বিধান আনিছে নব ভিক্ষা মেগে
কারো তুষ্টে নেতৃত্ব বলিছে আবোল তাবল বজ্র বেগে!

কি এক দুর্ভাগা জাতি মোরা নেতৃত্বের কণ্ঠে নেই আল্লাহ’র নাম!
তাগুদের কণ্ঠে গর্জিছে মঞ্চে মঞ্চে বিদ্বেষী মনোভাবে অবিরাম ।
সব কাজেই খোঁজে ফিরে রাজনীতি আর বিদ্রোহের গন্ধ;
ও করিছে, সে করিছে এই দোষে বাঁধিছে অহেতুক দ্বন্ধ।

চৌদিকে ঘিরে আছে তোষামোদের প্রাচীর,তাগুদের কেতন!
কারো তুষ্ট্ করিবার অভিষ্টে নেতৃত্ব গর্জিছে বাংলার জমিন।

কে সাজাবে বাংলারে বজ্র কঠোরে সত্যর পাল তুলি?
আজিকায় ছড়ায়ে গেছে পাহাড় সম কীট পতঙ্গ ডানা মেলি!
তাগুদের চন্দ্র নিভায়ে কে জাগাবে পূর্ণিমারে আঁধার ঠেলি?
লাল-সবুজের পতাকায় কখনো কি নেতৃত্ব যাবে না গাই।

কে আছে ঘুমিয়ে গোমরাহী অন্তরে?
ওরে নেতৃত্ব, ডাক না আল্লাহ’রে!
সকল বিপদ আপদে যুদ্ধের সমরে ।

কি এক দুর্ভাগা জাতি মোরা প্রদীপে দেখিনা আলো!
আঁচিল উঠিছে জাগি নেতৃত্বের গায় কালো কালো।
----২৩-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

কবিরা সুখে দুঃখে



কবিরা সুখে দুঃখে হাসি ও ক্রন্দনে-
জীবনের গল্প্ রচে কবিতার বন্ধনে,
কত ক্ষ্তচিহ্ন পড়ে যায় গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে
তবু কবিরা গর্জে উঠে সমুদ্র মন্থিতে ।

আপনার ভাগ্যকে ভুলে করে কোলাহল
জানে না কেন এতসব!তবু রচে নিষ্ফল!
কোন সে প্রদীপে জ্বলবে সে জানে না নশ্বর
সম্মুখে অন্ধকার জেনেও কবিরা দুর্বার।
কবিরা স্বার্থহীন এক অভিসার-
অনিবার্ণ্ শিখা নিখিল দুঃখের।

নাই কিছু চির আশা,আছে কিছু আলো
চরনে চরনে রচে যায় সমাজের কালো।
গর্জে উঠে কলমের হুঙ্কারে বিশ্ব্ ডোর,
বঞ্চিতের কণ্ঠে তুলে প্রতিবাদের সুর।
----২২-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

চিতচরে


প্রেমের জানালাটি কে দিবে আজ খুলে
মনের দিক থেকে?
কি এক মোহের দোলায় মানুষেরা প্রেম ভুলে
ছুটেছে ক্ষণিক নিখিলে।
আপনার ভাল মন্দ এই জগৎ সংসারে
অজ্ঞ্ দোষে ভুলে গেছে মানুষেরা চিতচরে।
----২২-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

মৃত্যু ভয়

বাঁচিতে হবে চিরঅবদি ধরণীর বাঁকে বাঁকে;
এ অভিলাসে ছুটিছে মানুষ জগতের চৌদিকে।
জম্মিলে মরিতে হবে পৃথিবীর সব প্রাণ!
এ কে না জানে তবু মানুষেরা পেরেষাণ!

কি এক কোলাহল বাঁধিছে সারা দুনিয়ায় মানুষের!
ভয়! শুধু ভয়! মৃত্যু ভয়! ঘিরে আছে বাঁচিবার।
কণ্ঠে কণ্ঠে একই রব উঠিছে জগতের পানে;
করোনার ক্ষীপ্ত যে স্বর এখন তীব্র আঘাত হানে।

ওহে মুমিনেরা প্রস্তুত থেকো মৃত্যুর জন্য্ নশ্বরে,
তবে কেন ভয় হে মুমিন! ভয়কে রেখেছো ধরে?
ওহে মুমিন! যথাসময়ে তুমি যাবে অনন্তের দিন
চিরতরে মুছে দাও মৃত্যু ভয় এই ক্ষণিকের প্রাণ।
----২২-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

সাধুতার আবরণে কালো বিড়াল



কি করে বুঝাবো আপনার প্রাণ? নানা সন্দেহ ভার,
গুজবে গুজবে তীর ছুড়ে হানিছে আঘাত বঙ্গতর!

কে যেন উড়িছে আকাশ বাতাস সবাইকে তুচ্ছ্ করি,
আঁধার পথে নিয়ে গেছে ছদ্মবেশী মিথ্যের হাত ধরি।
বাহ্যিক দেখে তারে সন্দেহ হয়,সে কি মহিয়ান?
তার চরিত্র দেখিলেই শিহরায় উঠে এ প্রাণ!

সাধুবেশী হয়ে সে নারে;বাতিলের কর্ম্ দলে বলে,
মুনাফিকের পাল দেয় উড়ায় মুমিনের চাল চলে।
রাষ্ট্রের বিপদে স্বার্থের কপাট খুলে দেয় চারি ধারে;
কৃত্রিম সংকট ডেকে আনে জনতাকে অবরুদ্ধ করে-

জনতাও বিনিদ্র রজনী কাটায়, ঘুম নাই তার রাতে
কোথাও একটু গুজব উঠিলে জেগে উঠে বাতাসের সাথে
হুজুগে হুজুগে বাঙ্গালী ডুবিছে টাইটানিকের মত!
লোভের চক্রে জাতি দিশেহারা চলিবে আর কত?

এই দেশে আজ মোহ আর মোহ,নাই কেহ পাশে!
সাধুতার আবরণে কালো বিড়াল লুকে আছে দীন বেশে।
----২১-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

তারাও অট্টহাসে


মানবের এ প্রাণ গড়েছে যেবা,মানব তারে করেছে পর,
মন চিত্তে আঁকড়ে ধরেছে সে, যে ধ্বংস করেছে তার।
যে তারে করেছে তাগুদের বিলাসী-
সে আজ তারই সুরে বাজায় বাঁশী!

বিনিদ্র রজনী তার চৌদিকে ঘিরে আছে তবু নাহি বুঝে-
ভ্রান্ত লোভ লালসায় মানুষেরা ছুটেছে পৃথিবীর ভাঁজে ।

এ ছোবল আজ বঙ্গ বুকে ঢের বেশী জাগে প্রাণে প্রাণে-
নীতি নৈতিকতা, আদর্শ্ ভুলে,গাইছে বেসুর গানে গানে।
সে তুলছে, শুধু তুলছে বিষাদের তুফান
বঙ্গ জনতায় শুধু বাজে, শুধু বাজে বুকফাটা গান।

কে ধরবে এ অসাধু সেন্ডিকেট বিচারিক এজলাসে ?
যে পিতা !যে মাতা! তারাও অট্টহাসে জনতার সর্বনাশে।
----২১-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

তুই স্রষ্টার, নহে সৃষ্টির

হে বন্ধু!
তুই যারে ভালবাসিলে প্রাণে!সে কি তোর আপন?
সে তো তোরি তরে অভিশাপ হয়ে জাগিবে ভুবন।

হে বন্ধু!
যারে তুই ভয় করিলি জগত সংসারে দিনভর,
সে তো তোর পর, সে তো তোর পর,
তুই গোমরা হয়ে ছুটেছিস তাগুদের পথে পথে নশ্বর।

হে বন্ধু!
স্রষ্টা ভুলে সৃষ্টির ভয়ে কোথায় দিয়েছিস তোর প্রাণ!
যে আতংকে পড়েছিস তুই, এতো নহে তোর পরিত্রাণ।

হে বন্ধু!
তুই যে পথে চলেছিস, সে পথে যে গজবের কপাট ঝুলে
যে স্রষ্টা তোরে সৃজন করিছে সৃষ্টির উর্ধ্ব দলে
তবে কেন সৃষ্টিকে ভয় করিস স্রষ্টা ভুলে?

হে বন্ধু!
করোনা ভাইরাস! সেতো স্রষ্টার সৃষ্টি নহে তোর ভয়!
তুই স্রষ্টার সর্বশ্রেষ্ঠ্ সৃষ্টি করিস তারে প্রাণময়
হইবে না , হইবে না তোর কোন ক্ষয়।

হে বন্ধু!
আযাব গজব যদি এসে যায়,ধৈর্য্যের পাল দিস উড়ায়;
তুই স্রষ্টার, নহে সৃষ্টির- ওহে মানব ক্ষণিকের ধরায়।
----২১-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

তোমার পরাজয় শুনিয়া


হে পৃথিবীর মানুষেরা শোন,
তোমার পরাজয় শুনিয়া কাঁদিবে না কেহ নিষ্ঠুর ভুবন!
প্রকাশ্যে ভুলে যাবে তোমায় পরাজয় দিনে পর-আপন।

মানুষ মানুষের জন্যে ভুলে গেছে আজ ক্ষণিকের লোভে
যে যেবা পারে পাকড়াও করে মানবতারে ভবে।

ধরণী পার হয়ে গেছে যারা পর হয়েছে যবে,
কেউ রাখেনি মনে আপন করে তারে কবরের পরে ।
এখনো যারা বেঁচে আছে ওরাও পর হয়েছে বিস্তরে।

শুধু জেগে রবে প্রদীপের আলোয় কর্ম্ তোমার
প্রতিদিন তাই জ্বলে যাও দীপ শিখা ভীষণতর।
রাত্রি দিনে অন্তর শাখায় লিখে যাও প্রভূর কবিতা
দেখবে উদিবে রবি ইহ পর জগতে আলোক ছাতা!

হে পৃথিবীর মানুষেরা শোন,
তোমার পরাজয় শুনিয়া কাঁদিবে না কেহ নিষ্ঠুর ভুবন ।
----১৮-০৩-২০২০ ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

কেউ আসে না,কাছে আসে না

অনেক বদলে গেছে পৃথিবী এখন আর আগের মত নয়;
কেউ আসে না,কাছে আসে না অন্তরে করোনা ভয় !
মানুষ তার আপনত্ত্ব ভুলে গেছে বদলেছে ধরন
কি ঈদ! কি পূজা! পথে ঘাটে কোলাকোলি মুছাবায় নেই মন।

যার যত দূরত্বে বসবাস আজ সে তত বলবান;
স্বাস্থ্য্ বিধি যেন নব জাগরনে নব হরষে নব প্রাণ।
বিধি ভাঙ্গে যারা যত করোনা ভয় তত ওদের অতি;
হে মহারথী, হে উঁচু-নীচু শৃঙ্খলা মানিয়া চল হে জাতি।

মানুষের শত্রুরা চৌদিকে গর্জিছে আজ-
রোগ ব্যাধি মহামারি নব সাজে ভাঙ্গিছে লাজ!
কিসের ভয় হে মানব! সও কেন এতসব অপমান?
এত পরীক্ষা সয়ে যাও তুমি,তুমিই মহা বলবান।

অনেক বদলে গেছে পৃথিবী এখন আর আগের মত নয়;
কেউ আসে না,কাছে আসে না অন্তরে করোনা ভয় !
মানুষ তার আপনত্ত্ব ভুলে গেছে বদলেছে ধরন
কি ঈদ! কি পূজা! পথে ঘাটে কোলাকোলি মুছাবায় নেই মন।

--------------------------------------------০২-০৬-২০২০ ইং রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর।