Saturday, August 15, 2020

বাঙ্গালীর স্বপ্নকে ‍তুমি

----------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

বাঙ্গালীর স্বপ্নকে তুমি রাত্রিদিন এমনভাবে লালন করেছিলে

মনে হচ্ছে এই চেতনার গভীরতা দেখে তারা অধিক চিন্তিত

শলা-পরামর্শে ব্যস্ত,বুলেট কামানের চেয়েও বেশি ভীত

তোমার দেশপ্রেম নিয়ে;তোমার জয় বাংলা শ্লোগান নিয়ে

 

এই চেতনার চেয়ে বেশি শক্তিধর কোন পারমানবিক বোমা নেই,নেই কোন প্রেমের ডালপালা

তাই তারা সর্বদা শঙ্কিত তোমার বীরত্ব দেখে,তোমার বজ্র কন্ঠ শুনে

তারা জানে তুমি যদি একবার গর্জে উঠো ঘুর্ণি তুফানের মতো

বঙ্গ বুকে উড়বেই একটি পতাকা,স্বাধীন পতাকা-

চেতনার গভীরে আঁকবেই লাল-সবুজের রক্ত টিপ

শত্রুর বাঙ্কারে রক্তশ্মাত গঙ্গা বয়ে দিবে মুক্তি যুদ্ধের প্লাবনে প্লাবনে

বিশ্ববুকে উড়বেই বাঙ্গালীর  বিজয় কেতন! অনায়াসে রচিত হবে

অমর কবিতা-

                    বঙ্গ বন্ধুর বাংলাদেশ

                    জয় বাংলার বাংলাদেশ

                    মুক্তি যুদ্ধের বাংলাদেশ!

                     লাল সবুজের বাংলাদেশ

তাই রাত্রিদিন তারা তোমাকে ঘিরে ছক এঁকেছে,তুমি বুঝনি কিংবা

শোষিত বঞ্চিতের প্রেমে বিভোরছিলে অবিরত

যখন তখন তুমি মুক্তির প্রশ্নে চড়াও হয়েছো শত্রুর বিপক্ষে,করেছো প্রবল আক্রমন

মাতা নত করোনি মৃত্যেুর উপত্যাকয়,

আজ সেই বাঙ্গালীই এক রক্তাক্ত কবর রচনা করেছে তোমার স্বপ্নের বুকে

রচনা করেছে এক ঘৃণিত ইতিহাস-১৫ ই আগষ্ট,১৯৭৫ ইং

জিন্দাবাদ কি জানতো এই চেতনার ভেতরেই এক স্থপতির মৃত্যু লুকায়িত

আছে ?

 

বাঙ্গালীর স্বপ্নকে ‍তুমি আজন্ম লালন করেছিলে – এ বুকে!

মনে হচ্ছে এই চেতনার গভীরতা দেখে তারা অধিক চিন্তিত

শলা-পরামর্শে ব্যস্ত,বুলেট কামানের চেয়েও বেশি ভীত

তোমার দেশপ্রেম নিয়ে;তোমার জয় বাংলা শ্লোগান নিয়ে

তারা তোমার স্বপ্নের ভিতরে জ্যোতিময় মুক্তি

দেখেছিলো বাঙ্গালীর।

-------------------------১৫-০৮-২০২০ ইং, রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজী

Monday, August 10, 2020

স্থপতির সমাধি

 ------------------------ কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

রক্ত দিয়েই তুমি স্বাধীনতা দিবে বলে

বার বার গর্জে উঠেছিলে বঞ্চিত বাঙ্গালীর পক্ষে,শ্লোগানে শ্লোগানে কম্পিত করেছিলে পিছঢালা রাজপথ!

দিয়েছিলে অকোতভয় হুঙ্কার বিদ্রোহীদের সমরে

মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে বজ্র কন্ঠে ঘোষনা দিয়েছিলে বাংলার স্বাধীনতা

বিশ্বকে জানিয়েছিলে লক্ষ জনতার উত্তালে

এবারের সংগ্রাম , মুক্তির সংগ্রাম

এবারের সংগ্রাম স্বাধীতার সংগ্রাম।.

 

রক্ত দিয়েই তুমি স্বাধীনতা দিবে বলে

প্রতিদিন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছিলে

ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়েছিলে সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর  পক্ষে!

জীবনকে বাঁজি রেখেই,

তুমি এঁকেছিলে মুক্তিযুদ্ধের পতাকা ত্রিশ লক্ষ শহীদের রাঙা কালিতে

সাজিয়েছিলে দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের আঁচলে

রূপসী বাংলাদেশ! স্বাধীন বাংলাদেশ!!

 

মুক্তি যোদ্ধাদের স্পন্দিত লোহিত কণিকা দিয়ে তুমি এঁকেছিলে

সবুজের কপালে রাঙা টিপ!

 

ওই লাল-সবুজ নিশানা এখনো আকাশে উড়ে

চোখ দু’টো চেয়ে থাকে অপলক!

কি এক বিজয়ের গর্ব্ বুকে নিয়ে ফিরে যাই ঘরে!

পেয়েছি স্বাধীনতার নব সূর্য্ ; তবু প্রাণ গোধূলিময়।

হন্য  হয়ে খুঁজি তোমারে  প্রতিটি প্রভাতের সূর্য্দয়

যে শুন্যতা সারাটি বুকে- বুকের পরে বুকে যন্ত্রনাময়—

 

একটি পতাকা পেয়েছি, একটি স্বাধীনতা পেয়েছি

পেয়েছি বঙ্গ বন্ধু- শেখ মুজিবর রহমান-

তবু রক্ত চোষে নিয়েছি বুলেটের আঘাতে আঘাতে-

যে মাটির প্রেমে গর্জে উঠেছিলো বার বার- সে মাটিতেই

বুলেটের আঘাতে আঘাতে গড়েছি স্থপতির সমাধি!!

১৫ আগষ্ট,১৯৭৫ ইং

সারা বিশ্ব দেখলো এক নিখুঁত নিটোল স্ট্র্যাটেজী!

-----------------------------------------------১০-১০-২০২০ইং রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

 

Saturday, August 8, 2020

তবু ভাল থেকো

 -------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

প্রেমের পৃথিবীটা  কেঁপে  উঠলো দুপুর বেলা

কেঁপে উঠলো, বেজে উঠেলো মৃত্যু ঘন্টা

চুতুর্দিকে কম্পিত প্রতিধ্বনি,তুমি বিদায়

তুমি বিদায়, তুমি বিদায়!

 

রৌদ্র জ্বলে, গাছের ছায়ায় সুনিবিড় ধরাধম,অসংখ্য মানুষের কোলাহল

শুধু তুমি নেই ! শুধু তুমি নেই!

হঠাৎ যেন এই পৃথিবী ছেড়ে অন্য কোথাও

রক্ত ঝরা ব্যথিত বুকে

তুমি চলে গেলে এক রূপান্তরে ,তুমি হয়ে গেলে পৃথিবীর স্মৃতি

অন্তরে শোক লুকানো একটি বিরহের কবিতা

 

হঠান যেন যমদূতের করাল গ্রাসের কষাঘাত! পৃথিবীর অনাবিল বন্ধন হতে

 তোমাকে তুলে নিলো! হৃদয়ের ঐ বাড়িটা আজ  শূন্য

অগণিত বেদনার বসবাস!

জেগে উঠে হাজারো স্মৃতির মুখ, হারানো বেদনায় ব্যাথিত প্রেমের শোভা

তবু ভাল থেকো, তবু ভালো থেকো-

তোমায় চিরকালের বিদায় দিলাম, চিরকালের বিদায় দিলাম,

বিদায় হে প্রাণ প্রিয় যুবক!

---------------------------০৮-০৮-২০২০ই, রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

,

 

 

Monday, August 3, 2020

কবিরা অপদস্ত হলে

                          -----কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

 কবিরা অপদস্ত হলে, ভেঙ্গে গেলে কবিতার তরী

সামাজের উলঙ্গেরা নিত্য উল্লাসে যাবে সবই করি

কবি ও কবিতার উত্তালে শুধু ঈর্ষা করা চলে

তুবও কবিতা রচিত হবে কাব্যের পাতা খুলে।

 

হিংসুকের হিংসে অনেক দূর, কবিদের ধারে-কাছে নেই

তাই তো রক্ত পুঁজে মাখামাখি সুস্থতার দাম নেই

জগতের চৌদিকে অগভীর অস্বচ্ছ মলিন জলরাশি

সেখান থেকে পথ দেখায় কবিরা আমাদের ভালবাসি ।

 

কিছুতে প্রশান্তি তুমি -জীবনে কখনো পাবে না

কবিরা অপদস্ত হলে, ভেঙ্গে গেলে কবিতার ঠিকানা

প্রতিবাদহীন তুমি নিস্পেসিত হবে জুলুমের তরবারি

তাই তো কবিরা জাগিয়ে দেয় সমাজের আয়না

সম্মুখে ধরি-

 

তোমার ধ্বংসের আগে সাইরেন কেউ বাজাবে না,

কবিরা অপদস্ত হলে, ভেঙ্গে গেলে কেউ কথা বলবে না

 

বিশ্বস্ত প্রহরীর মতো জেগে আছে কবিদের প্রতিভা।

---------------------০৩-০৮-২০২০ ইং,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

 


প্রেমের কারখানায়

--------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

মুক্ত পাখির মতো অনায়াসে উড়বে ভেবেছিলে

প্রেমিকের হাত ধরে

ভেবেছিলে স্বপ্নের বাসর সজাবে প্রেমিকার চুম্বনে

ভেবেছিলে সব প্রতিবন্ধকতা ধূলিসাৎ করে তুলোর মতো উড়ে দিবে

উড়ে যাবে আপন মনে দিগ থেকে দিগন্তে,সবকিছু ছাড়িয়ে!

ভেবেছিলে বিরহের স্পর্শ্ ছোঁবে না কখনো

আজ এমন বিরহ তুমি জাগালে

সারা বিশ্বকে কাঁদিয়ে

সাড়া শরীরে ক্ষত বিক্ষতের দাগ,গলায় ফাঁসির দড়ি!

ভেবেছিলে পরকালে মিলন হবে দু’জনার স্বর্গ্ মঞ্চে

মিথ্যে, সব মিথ্যে-

আজীবন নরকে পুড়ালে দু’জনার আত্ত্বাকে

প্রেমের কারখানায় কেবলই বিরহের আগুন! কেবলই আগুন

তার মানে এই নয়, আত্নহত্যা করতে হবে—

এইটুকু জেনে রাখা ভালো।

--------------০৩-০৮-২০২০ ইং,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

 


সে কি তোমাকে চিনে?

-------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

যে প্রেমিকের বাড়ীতে বিষ হাতে বসে আছো তুমি!

সে কি তোমাকে চিনে?

যে স্বপ্নের পালঙ্গে শুয়ে স্বামী ভাবো যারে

সে কি তোমাকে চিনে?

যে স্পর্শের টানে শরীরের সব তিল, সর্বস্ব খোয়ালে

সে কি তোমাকে চিনে?

যে আবেগে ডাকে, প্রেমিকের বাড়ী স্বামীর দাবী নিয়ে

বসে থাকা

ও কি তোমাকে চেনে?

এ  বিষ যে প্রেমিককে আহত করে না, ব্যাথিত করেনা-

কেননা, সে তো আগেই …

এখন তোমার দাবী শূন্য!

বিষাক্ত বিষে মৃত্যুটুকু ছাড়া আর কি আছে বাকী?

প্রকৃত প্রেমের রক্ত প্রবাহ আর যাই হউক

বেঈমানী করে না—

যে প্রেমিকের বাড়ীতে বিষ হাতে বসে আছো তুমি!

সে কি তোমাকে চিনে?

--------------------------০৩-০৮-২০২০ইং,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

কে তোমাকে রাঙালো ?

---------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

তোমার আঁচল ছায়ায় বসে বহুদিন কাটিয়েছি

কোনদিন স্মরণও করেনি তোমাকে,কে

তোমাকে রাঙালো লাল-সবুজ রঙে- এই বঙ্গ বুকে?

এমন একটা বিজয় নিশানা কে দিলো আমাকে!

কার কাছে এসব কৃতজ্ঞতা

সমীপেষু করা যায়?

ভেবেছি খোঁজে নিবো তারে আঠার কোটি বাঙ্গালীর মাঝে ,যেখানে

সমস্তক্ষণ ছায়া হয়ে থাকবে

আজ এখানে ছায়ার জন্য কৃতজ্ঞতা নেই

যে রক্তিম আলো অন্ধকার ভেদ করে উদিত হয় সবুজ সমারোহে

আজ শুধুই তাকেই দেখি, স্রষ্টাকে দেখিনা !

মুহূর্তে নেপথ্য থেকে ছুটে আসে বুলেট কামানের হিংস্রতা

কেড়ে নেয় পিতার প্রাণ!

এক কলংকের কালিমা লেপন হলো যুদ্ধজয়ী বাঙ্গালীর রক্তে রক্তে

যে লাল-সবুজের ছায়ায় কেটেছে এ জীবন-

তার স্রষ্টাকে ভুলেগেছি-

কি অসভ্য চেতনা নিয়ে বেঁচে আছি আমরা ঘূর্ণি দুনিয়ায়

অন্তরে অশুভ শব্দ!

একাত্তরের মতো বঙ্গ-বন্ধু বলে ডাকো

অথচ রক্ত কেড়ে নাও শেষ প্রহরের আগে।

এমন একটা বিজয় নিশানা কে দিলো আমাকে!

কে তোমাকে রাঙালো লাল-সবুজ রঙে- এই বঙ্গ বুকে?

-------------------------০৩-০৮-২০২০ ইং, রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুল

-


আমি ভুল বুঝতে পারি

-----------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

কবি ও কবিতার মর্ম্ মখোমুখি দাঁড়ালে

আমি ভুল বুঝতে পারি

আমার ক্ষামা চাইতে ইচ্ছে হয়

আজ মানবতার বুকে হিংস্র জন্তুর হানায়,মানুষেরা রক্ত চোষা

কবিতার চরণে কিংবা বক্তৃতার মঞ্চে গর্জে উঠে মানবতা,

সভা সেমিনারে পত্র পত্রিকায় জার্নালে কিংবা পুস্তুকে অসংখ্য  পন্থি

আমি ভুল বুঝতে পারি-

আমরা তমস্বান হয়ে ছুটে গেছি লোক দেখানো তপস্যায়

কতবার মনে করেছি শুধু কবিতা শুধু বক্তৃতা সভা সেমিনার

তার হিসেব নেই-

মানবতার পাশে এসে থমকে দাঁড়িয়েছে ব্যক্তি স্বার্থ্ লোভ লালসা

মানুষের প্রাণের ভিতরে অপরাহ্নের মতন উদসীনতা

প্রেমের মাঝেও স্রোতহীন প্রখরতা

হৃদয় থেকে উড়ে গেছে মানবতার সৌন্দর্য্য

আমি ভুল বুঝতে পারি

আমার ক্ষমা চাইতে ইচ্ছে হয়!

কবি ও কবিতার মর্ম্ মখোমুখি দাঁড়ালে, সেই মুহূর্তের

যাবতীয় চিন্ত চেতনা পার্থিব ম্যাজিকের

মতো বদলে যায় মানুষের মানবতা।

বেদনার টিপ

মুছে গিয়েছিল মানবতায়, এখন মুছেনা-

আমরা হিংস্র প্রাণীর মতো নির্দ্য়,গোখরা সাপের মতো বিষাক্ত

আমি ভুল বুঝতে পারি

আমার ক্ষমা চাইতে ইচ্ছে হয়।

-----------------------------০৩-০৮-২০২০ইং ,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

 


সব দৃশ্যই এখন যন্ত্রনার অনল

-----------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

সুখের দিনগুলোতে দাঁড়িয়ে মনে হয়েছিল

আমি এই পৃথিবীকে পদতলে রেখেছি

এই আক্ষরিক সত্যের কছে যুক্তি মূর্ছা যায়

কেভিড-১৯ মহামারির মধ্যে বুক টনটন করে উঠে

কেউ কারো নয় এই উপত্যকায় একটি দুঃখের দিন

চিরচেনা মানুষের বন্ধনকে ধূসর হতে ডাকে

দিগন্ত থেকে দিগন্তে বিচ্ছেদের টুকরো ছড়ানো মানুষ থেকে মানুষে

ভেসে যায় অনৈতিক হাওয়া

প্রাণ বুঝে না প্রেমের কিংবা সাম্যের কস্তরী ঘ্রাণ

চৌদিকে অমানবিক রক্তাক্ত রুমাল উড়ে গিয়ে পড়ে

ক্ষত বিক্ষত বুকে

নিঃশব্দে কেঁদে যায় অগণিত মানুষের প্রাণ, কেউ শুনে না

এই যে মুহূর্ত্, এই যে বেঁচে থাকা- এর কোন অর্থ্ নেই

গঙ্গার জলে ভেসে যায় মানুষের মনুষ্যত্ত্ব

সব দৃশ্যই এখন যন্ত্রনার অনল!

আমি জয়ী নই! মানুষও জয়ী নয়! পরাজিত মানবতা!

পরাজিত মানুষের সভ্যতা ।

সুখের দিনে পৃথিবীকে পদতলে রেখে, মানুষের নাভিমূল

থেকে উঠে আসে মনুষ্যত্ত্বের পরাজয়

মানবতাই মানুষের পরিচয়, অশ্রুমোচনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত ।

----------------------০৩-০৮-২০২০ইং,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।