Wednesday, December 3, 2025

পশু-ঘাতক নারী

 পশু-ঘাতক নারী

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর
****************************************
হে মানব! আজ আকাশ কেন এত কালো?
কেন বাতাস কাঁপে? কেন নদীর ঢেউ থরথর?
কার আর্তনাদ ছুঁয়ে গেল আরশে-মুয়াল্লা পর্যন্ত?
কেন ফেরেশতারা বিস্ময়ে থেমে গেল মুহূর্তভর?

কারণ,—
এক নারী, এক প্রতীক—অন্ধকারে গড়া,
হৃদয়হীন ছায়া,
মমতাহীন বরফের বাতাস
যে নিজের হাতে ডুবিয়ে দিল
আটটি কচি প্রাণ—
আটটি সদ্যোজাত, কাঁপতে থাকা আল্লাহর রহমতের ফুল।

হে মানব!
এ দৃশ্য শুধু নদীতে ডোবা নয়—
এ যেন ডোবে দয়া, ডোবে আদর,
ডুবে যায় মানবতার আলো।

একটি অবলা মায়ের বুক ছিঁড়ে গিয়েছে—
যে কুকুর-জননী দাঁড়িয়ে কাঁদছিল কেবল,
তার চোখে ছিল—
“হে আল্লাহ, আমার সন্তানের কী দোষ ছিল?”
তার কান্না চলে যায় আসমান ভেদ করে—
আরশ কেঁপে ওঠে সন্তানের এমন নিঃশব্দ শোকে।

হে নারী-প্রতীক!
তুমি কি জানো মাতৃত্ব কী?
মায়ের বুকের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক কী?
যদি তোমার শিশুটিকে কেউ
বস্তায় ভরে ঠাণ্ডা মৃত্যুজলে ছুড়ে ফেলত—
তবে কি তুমি এই আকাশটাকে ক্ষমা করতে?
এই পৃথিবীকে মাফ করতে?
নিজেকে মানুষ বলতে পারতে?

কোরআন তো বলে—
“যে একটি প্রাণ হত্যা করে,
সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করে।”
তাহলে বলো—
তোমার অন্তর কত পাথর হলে
তুমি পারলে আল্লাহর সৃষ্টি—
নবজাত ক্ষুদ্রতম প্রাণের নরম শ্বাস
এভাবে নিভিয়ে দিতে?

রাসূল (সা.)-এর বাণী আজ
রক্তের মতো হৃদয়ে জ্বলে—
“রহমত করো জীবে, তোমার প্রতি রহমত বর্ষিত হবে।”
কিন্তু তুমি তো রহমতের পথ ছাড়লে,
বেছে নিলে কঠিন, অন্ধকার মৃত্যুর গলি।

হে মানব!
দেখো এখন নদীর জলে ভাসছে যে নীরবতা—
ওই নীরবতার প্রতিটি ফোঁটায় লেখা আছে—
“আমাদের বিচার চাই, হে রব!”
আটটি অপলক চোখের আর্জি
আজ ঘুরে বেড়ায় দুনিয়া-আখেরাতের সীমানায়।

মানবতা আজ কাঁদছে,
দয়া আজ নিঃশ্বাস ফেলছে কষ্টে,
ইসলাম আজ তলোয়ার তুলে বলছে—
“অন্যায়কে রুখো!
কারণ দয়া ছাড়া মানুষ—মানুষ নয়,
দয়া ছাড়া হৃদয়—হৃদয় নয়!”

হে মানব!
ফিরে এসো আল্লাহর নির্দেশে—
জীবে দয়া করো,
প্রাণকে ভালোবাসো,
আর নিষ্ঠুরতার আগুন নিভিয়ে দাও
তোমার অন্তরের গভীরতম অন্ধকারে।
-----------------------------------------------------------------


০৩-১২-২০২৫

No comments:

Post a Comment