Wednesday, July 23, 2025

বাঁচতে দেওনি

 

বাঁচতে দেওনি

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা

তারিখঃ ২৩-৭-২০২৫ ইং

রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

-----------------------------------

শুনেছি মানুষেরাই মানবতার দীপ্ত এক নাম,

তাই মানুষই হয়েছে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি এই ধরাধাম।

 

আজ সেই মানুষেরাই ক্ষত বিক্ষত দেহে বঙ্গ ভূমি,

অদ্ভুদ নিঃশব্দে ছুটেছে ঝলসানো শরীরে,তবু তুমি!

শরীরের অস্থি মজ্জা গুলো খসে পড়ছে তপ্ত জমিনে,

দিক বেদিক ছুটেছে তো ছুটেছে মৃত্যু প্রায় স্পন্দনে।

 

কি নিষ্ঠুর পৃথিবী, কি যন্ত্রানাদায়ক দৃশ্য- বুঝেনি মানুষ!

কেউ এগিয়ে আসেনি! একটুকু জলও দেয়নি দগ্ধ নিবাস ।

শুনেছি মানুষেরাই মানবিক চেতনার দীপ্ত প্রাণ,

আজ সেই মানুষেরাই নির্দ্য় হিংস্র চিত্তের অগ্নিবান।

 

মৃত্যু সম্মুখে তবু  বাঁচতে চেয়েছিল অদম্য সাহসে,

মানুষ তাকে আশ্রয় দেয়নি,সাহায্য করেনি উল্লাসে!

তপ্ত রাস্তায় ঝলসানো শরীরে এই পৃথিবীকে বলেগেছে,

আমি যদি হেরে যাই কি জবাব দিবে বিধাতার কাছে?

 

মানুষ তুমি শ্রেষ্ঠ মানুষ হতে পারনি সভ্যতার চিত্র এঁকে,

এই দেখ তোমাদের বর্বর চিহ্ন শরীরের বাঁকে বাঁকে।

আমি বাঁচতে চেয়েছি তোমাদের মাঝে ভয়হারা উদ্দাম,

তোমরা বুঝলে না, তোমরা দিলে না এ মিনতির দাম।

 

বিদায়, বিদায় হে পৃথিবী, মানুষ পেয়েছো,মানবতা পাওনি,

ব্যাকুল ছুটে গিয়েছি, এই দেখ ঝলসানো শরীর,বাঁচতে দেওনি।

-----------------------------------------------------

 

রাজনীতির হিংসা বোমারু

 

রাজনীতির হিংসা বোমারু

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা

তারিখঃ ২৩-৭-২০২৫ ইং

রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

-----------------------------------

রাজ্যের নীতি আজ সংক্রামক রোগে,

আই সি ও তে মৃত্যুর মুখে একযোগে।

 

দিকে দিকে এখন যমদূতের পূর্বাভাস,

প্রাণগুলো ভয়ে কম্পিত ঘূর্ণি-বাতাস!!

কোন মহাবীর নেই যে ধরবে জাতির হাল,

হিংস্র হায়েনা ঘামছে ধরেছে স্বাধীনতার পাল।

 

গোপনে গোপনে দিচ্ছে আগুন বাংলাতে,

এই খবর দিয়েছে দেশপ্রেমিক অশ্রুতে !

সভা সেমিনার শ্লোগানে কি বার্তা দিচ্ছ নিশীদিন,

জাতি যে আজ স্বপ্নহীন-অজানা পথে দিনদিন।

 

সেই যুদ্ধের যোদ্ধারা রুদ্ধ অবরুদ্ধ দেশ জুড়ে,

ছদ্মবেশী দেশপ্রেমিকেরা উদিত ভুঁই ফুড়ে!

মীরজাফেরেরা গর্জেছে রন্ধে রন্ধে বীর মদে,

এই স্বাধীন মাতৃকা কি নিরাপাদ ওদের কাঁধে?

 

জনতার ভাষা কেউ বুঝেনা এই স্বাধীন মাতৃকায়,

রাজ্যের নীতি আজ সংক্রামক রোগে মৃত্যু প্রায়!

নেতা দেখেছি নেতৃত্ব দেখেনি রাজনীতির বহরে,

স্বার্থের মহরায় প্রহরী হতে দেখেছি প্রতিটা প্রহরে।

 

রাজনীতির হিংসা বোমারু মাতৃকার রক্ত পান করে,

রাজ্যের নীতি আজ সংক্রামক রোগে মুক্তিরে মারে।

--------------------------------------------

 

যদি এখনি শপথ না করো

 

যদি এখনি শপথ না করো

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা

তারিখঃ ২৩-৭-২০২৫ ইং

রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

-----------------------------------

সহনাভূতি- সহমর্মিতা –ঐক্য ক্রমে ক্রমে ছিন্ন,

বাংলা যেন উম্মোচন করেছে ভয়নাক যত ঘৃণ্য।

 

বাঙালির সুরগুলো বেসুর বেতাল ব্যাকরণহীন কৃষ্টি,

সাধুতার ভিতরে অসাধুরা ক্রমশ দিতেছে কু-দৃষ্টি।

শৃঙ্খলের তাবুতে বিশৃঙ্খলেরা নিয়ত করেছে ভ্রান্ত,

শুভ্র প্রাণেরাও হারাচ্ছে পথ তাগুতের নির্দয় চক্রান্ত।

 

দেশদ্রোহীর ছুরিকা নিয়ত আঘাত হানে ফুলের বৃন্তে,

অপসংস্কৃতির ধারক বাহক শত্রুদের পারেনি চিনতে।

ঘাতক চরিত্রের সংমিশ্রণে জাতি হারিয়েছে চৈতন্য,

রক্তে ঝরা স্বাধীনতা পেয়েও স্বাধীনতার মর্ম নগন্য।

 

নিছক ব্যক্তি স্বার্থে ভুলেছে জাতি সভ্যতার দৃঢ় মন্ত্র,

নিয়ত হত্যা করেছে মানুষের ঐশ্বর্য্ মানবতার তন্ত্র।

মিথ্যে আর মিথ্যের সন্ধি বন্ধনে করেছে ঘৃণ্য যুদ্ধ,

অপতন্ত্রে- ভয়তন্ত্রে সভ্যতার দিশারী আজ অবরুদ্ধ।

 

শুধুই ব্যক্তি স্বার্থে সত্যকে আড়াল করেছে কান্ডারী,

কেন স্বাধীন জাতির গভীরে এত ‍কু-তন্ত্র এত বৈরী?

যা কিছু দেখছি যা কিছু ঘটছে দেশদ্রোহীদের তৈরী,

যদি এখনি শপথ না করো সমুদ্রে পথ হারাবে তরী।

----------------------------------------------

 

Tuesday, July 22, 2025

শিক্ষার্থীর মানবিক মা

 

শিক্ষার্থীর মানবিক মা

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা

তারিখঃ ২১-৭-২০২৫ ইং

রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

-----------------------------------

আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে,

বাঁচাও বাঁচাও চিৎকারে কম্পন শুরু হল ভূলোকে!

 

পৃথিবী যখন নিশ্চুপ তন্দ্রায় তখন জেগেছিল এক প্রহরী,

অতুল্য শিক্ষার্থীর মানবিক মা শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরী।

নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও মৃত্যুকে করেনি পরোয়া,

শরীরের ভাঁজে ভাঁজে ঝলসে গেছে বেপরোয়া।

 

কি হবে আর বেঁচে! আমার সন্তানই যদি না থাকে স্কুলে,

মায়ের এমন প্রতীজ্ঞা হতেই বেঁচেছিল বিশটি প্রাণ নিখিলে।

মাহরীন চৌধুরী পুড়ছে তো পুড়ছে অস্থি- মজ্জা হাড়ে,

তবু দমেনি তার হার না মান যুদ্ধ অগ্নি শিখার সমরে।

 

হে মাহরীন চৌধুরী তুমি নও শুধু দীপ্ত শিক্ষিকা,

তুমি মৃত্যুঞ্জয়ী মা,মানবিক যুগের অদম্য প্রবেশিকা।

মৃত্যুর কোলে ধুঁকে ধুঁকে মত্যুকে করেছো তুমি জয়,

তুমিই শিক্ষার্থীর মানবিক মা! বিপদে সন্তানের আশ্রয়।

 

শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে আপনার প্রাণকে করছো উসর্গ্,

এমন মানবিক মা কি দেখেছে বিশ্ব? প্রভূ দিও তারে স্বর্গ্।

------------------------------------------------

 

 

 

অমানবিক দৃশ্য

 

অমানবিক দৃশ্য

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা

তারিখঃ ২১-৭-২০২৫ ইং

রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

-----------------------------------

কি অমানবিক দৃশ্য ভেসে উঠল নেপথ্য পৃথিবীতে!

ছেলেটির সমস্ত শরীর ঝলসে গেছে ভয়ানক অগ্নিতে।

 

বাঁচার কি আকুতি তবু কেউ শুনল না,কেউ দেখল না,

এদিক সেদিক পাগলের মত ছুটল, কেউ বুঝল না।

আগুনের লেলিহান শিখার শত্রু প্রচ্ছন্ন জোয়ারে,

পোড়া চামড়াগুলো খসে পড়ছিল ক্ষয়িষ্ণু খোয়াড়ে।

 

ছেলেটি বিপন্নর দিকে তবু নিশ্বাঃস নিতে নিতে,

যমদূতের শব্দ যখন শুনছিল তপ্ত ধূলো-বালিতে।

তখনও বজ্র স্বরে উপস্থিত জনতারা নগ্ন পরিহাসে,

ভিতর মানবতাকে জাগাতে পারেনি কোষে কোষে।

 

এ কোন অমানবিক বীজ বুঁনেছে আয়ূতে আয়ূতে,

মৃত্যুর কোলে তবু মানবতা সুপ্ত স্নায়ুতে স্নায়ুতে!

ঝলসানো শরীরে! এদিক সেদি ছুটেছে দীর্ঘ্ নিঃশ্বাসে!

ভয়ঙ্কর অমানবিক দৃশ্য! মানবতার নক্ষত্র গেছে খসে,

 

মাইলস্টোনের ট্রাজেডী যেন অমানবিক দৃশ্য মিলাল,

এমন নিষ্ঠুর মানবতা আজ মানবিক বিশ্বকে কাঁদাল!

হে মানবতা জেগে উঠ স্তব্দ দিনের পরে চুতুর্দিক,

প্রাণে প্রাণে মৃত্যুতাড়িত আজো -বেঁচে আছি ঠিক!

 

-----------------------------------------------

 

মাইলষ্টোন ট্রাজেডী

মাইলষ্টোন ট্রাজেডী

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা

তারিখঃ ২১-৭-২০২৫ ইং

রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

-----------------------------------

একুশে জুলাই মাইলষ্টোন ট্রাজেডী,মৃত্যুর দূত!

আগুনের লেলিহান শিখা দেখেছে বিশ্বে অদ্ভূদ!

 

দুরন্ত শিশুদের প্রাবন্ত শরীরে মৃত্যুর শূল,

কি নির্ম্ম ভয়ানক দৃশ্যে ফুটেছে দেহ কূল!

ঝলসানো শরীরে ক্ষত বিক্ষত রক্তে রচে গেল,

এ পৃথিবীর বুকে ব্যদনাতুর কবিতা অশ্রুজল।

 

কি নিষ্ঠুর মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করেছে অধিশ্বর,

গগণ বিদারী কান্নার রোল শুনেছে কি নশ্বর!

জ্বলন্ত শরীরে কত অসহায় প্রাণ অপলক দৃষ্টিতে,

বিধাতার করুণা খুঁজেছিল তারই মানবিক সৃষ্টিতে।

 

মানবের কোন ভুল কিংবা নিষ্ঠুর কারুকার্যে তপ্ত গলিত,

সতেজ দেহ প্রাণে রচিত হল মৃত্যুর কবিতা অকম্মাৎ!

মাইলষ্টোন ট্রাজেডীর কাব্য মেনে নিয়েছে ইতিহাস,

এ শুধু নয় নিয়তির শাস্তি, কান্ডারীদের নগ্ন পরিহাস।

 

যেখানে জ্ঞানের আলো ছিল উজ্জ্বল প্রদীপের মত,

সেখানে কেন আঁচরে পড়লো যুদ্ধ বিমান শির নত?

কে দিবে ফিরিয়ে এই সব কঁচি কাঁচা শিক্ষার মঞ্জরী?

নিষ্ঠুর অনলে বিচ্ছিন্ন হল দেহ প্রাণ মৃত্যু সহচরী!

 

নেই নেই  কোথাও নেই সোনামণিদের সেই হাসিমুখ,

প্রাণে প্রাণে বসত গড়েছে আজ হৃদয় ভরা নব নব দুঃখ।

একুশে জুলাই মাইলষ্টোন ট্রাজেডী আঘাত দিল বুকে,

হে প্রভূ দয়ার হাত বাড়াও,রক্ষা করো হে –সভ্যতাকে।

-------------------------------------------------


Monday, July 21, 2025

টুটি ধরো চেঁপে

 

টুটি ধরো চেঁপে

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা

তারিখঃ ২১-৭-২০২৫ ইং

রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

-----------------------------------

চির সত্যের দৈন্যতা এসেছে আজকে বঙ্গ মাতায়,

বীরে বীরে চেতনার বিপুল ব্যবসা দেখি উচ্ছলায়।

 

সেই শুকুনেরা আবার এসেছে নিষ্ঠুর রাঙা চোখে,

ক্ষত বিক্ষত করেছে স্বাধীন শরীর এ মাতৃলোকে!

চেতনার যে মূল ভিত্তি সেখানে এখন দ্বন্দ্ব আগুন,

বিশ্বাস ঘাতকের নমুনা,ঘৃণিত মীরজাফের সুরতান।

 

সত্যের মাঝেও চির সত্যের দৈন্যতা দৃশ্য আজ,

রক্তে পাওয়া লাল সবুজেও দেখি ‍ঘৃণ্য কারুকাজ!

নির্বোধ চেতনাধারীরা নিলর্জ্জ হয়ে উঠেছে অধীর,

চেনতার কোণে আস্তানা গড়েছে দেশদ্রোহী শিবির।

 

শুব্রতার আড়ালে এখনো সেই কালো ধারা মতবাদ,

এখনো দেশদ্রোহী তন্ত্রের ফুল ফুটে নিয়ত উগ্রবাদ।

চেতনা চেতনা করতে গিয়ে সত্যেরা আজ নির্বাসনে,

অশুভ মতবাদ দিয়েছে চাপায়ে ছলনার আয়োজনে।

 

হুজুগে- গুজবের অগ্রাসনে বীরেরা ছুটেছে আত্মসমর্পণে,

আর মূল চেতনার গভীরে সত্যের দৈন্যতা দেখি বহুগুনে।

এইভাবে চলতে থাকলে স্বাধীনতার সমাধি হবে দ্রুত!

কালো শক্তিরা ধূ্র্তের মতো শক্তিশেলে জাগবে সতত।

 

হে বীর সর্ত্ক হও এখনো তুমি লক্ষ শহীদের ঋণে,

কালো শক্তির টুটি ধরো চেঁপে বিপ্লবী মন উদ্ধোধনে।

----------------------------------------------

 

Sunday, July 20, 2025

যুদ্ধ করে যা আরেকবার

 

যুদ্ধ করে যা আরেকবার

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা

তারিখঃ ২০-৭-২০২৫ ইং

রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

-----------------------------------

দৃঢ় শপথে যুদ্ধে করে যারা যুদ্ধের ‍ উদ্যান,

বিজয় পতাকা তুলেছে তারা উঁচু শির গর্দান।

যে যোদ্ধা বীর সেনানী জাতিরে করে মুক্তি,

সে হারে না কভূ যুদ্ধের আগে অসুর শক্তি।

 

যোদ্ধা থাকে সম্মুখে ওই যুদ্ধ রণের প্রান্তর,

শহীদ নয় গাজী তবু সে উচুঁ শির মহাবীর।

তবু ভয়! তবু শঙ্কা হায় স্বাধীনতার দিবাকর,,

মীরজাফর এখনো নিভেছে সে রবি বারবার!!

 

দেশ প্রেমে সংকট,ঘাতকেরা সজাগ মুনাফিকে আজ,

বিবেক সে ভুলেছে পথ, স্বার্থেরা জেগেছে বুকের মাঝ!

মুক্তির পরেও মুক্তি কি থাকে-

যদি না দেশপ্রেমিকেরা লাল সবুজের ছবি আঁকে!!

 

বীরের জাতি তবু অশ্রুজল তবু মাথা নত যোদ্ধার,

শক্রুরা বুক চেপে ধরেছে,লুটেছে স্বীধনতা মাতৃকার।

বাঙালি না বাংলাদেশী তাহা জিজ্ঞাসে কোন জন?

আমরা মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরী একই মায়ের সন্তান।

 

দিকে দিকে তিমির রাত্রি, বুকে বুকে সঞ্চিত ব্যথার উথরোল,

দেশদ্রোহীরা বিনিদ্র বুনেছে ষড়জাল দুষিত মন্ত্রের কল্লোল!!

হে যোদ্ধা, চেয়ে দেখ ওরা মারছে স্বাধীনতা লক্ষ শহীদের,

দৃঢ় শপথে গর্জে উঠ, যুদ্ধ করে যা আরেকবার, আরেকবার!!

----------------------------------------------

 

মুক্তি যুদ্ধের মন্ত্র নিয়ে

 মুক্তি যুদ্ধের মন্ত্র নিয়ে

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা

তারিখঃ ২০-৭-২০২৫ ইং

রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

-----------------------------------

মুক্তি যুদ্ধের মন্ত্র নিয়ে,জাগরে আবার নতুন করে,

লাল সবুজকে ধররে তোরা দেশ প্রেমের মন্ত্র পড়ে।

 

আয় তোরা আয়রে সবে দিকে দিকে যারে ছুটে,

কল্লা ধরে হেচকা টানে মাররে তোরা তীব্র চোটে!

থাকিস না আর চুপটি করে, দেখরে মায়ের অশ্রু ঝরে,

শত্রুরা ওই আসছে ফিরে আকাশ বাতাস পাহাড়- চুঁড়ে!

 

কেমন করে মায়ের বুকে জ্বলছে ওই দোসর জ্যোতি!

ওদের মন্ত্র তোদের বুকে কেমনে ছড়ায় রাতারাতি?

থাকিস না আর চুপটি করে, জাগরে এবার মায়ের বুকে

মুক্তি যুদ্ধের মন্ত্র নিয়ে তুমুল ঝড়ের ঘূর্ণিপাকে।

 

তোদের জন্যে মুক্তিযুদ্ধে মরছে যে বীর লাখে লাখে,

কিসের আশায় ছুটছিস তোরা দেশদ্রোহীদের শাখে শাখে?

কেমনে তোরা ভুলিস ভাইরে রক্তে লেখা বিজয় গান,

সম্ভ্রম হারা অশ্রুজলে আসছে তোদের মায়ের নিশান!

 

মুক্তি যুদ্ধের মন্ত্র নিয়ে,জাগরে আবার বহ্নিবান!

শত্রুরা ওই আসছে ফিরে লক্ষ শহীদের রক্তবান।

থাকিস না আর চুপটি করে টানছে ওরা শিকড় ধরে,

রূপটি ওদের ছদ্মবেশী মীরজাফরের ডানায় উড়ে।

 

জাগরে তোরা জাগরে ভাই মুক্তি যুদ্ধের মন্ত্র নিয়ে,

পরিচয় তোদের বীর বাঙালি, যুদ্ধ রণের যুদ্ধ জয়ে!!

লাল সবুজের সোনার বাংলা রক্তে লেখা অমর গান,

শহীদ মিনার -স্মৃতি সৌধ- স্বাধীন বাংলার ঐক্যতান।

 

মুক্তি যুদ্ধের মন্ত্র নিয়ে,জাগরে আবার নতুন করে,

লাল সবুজকে ধররে তোরা দেশ প্রেমের মন্ত্র পড়ে।

 

-----------------------------------------------