-কবি মোঃ
আমিনুল এহছান মোল্লা।
ওহে কান্ডারী, দিশারীদের কান্না শুন
না কেন?
তাদের কেন নিঃশেষ করো ঠকিয়ে?
কেন এত ধূসর শিক্ষকদের জীবন জীবিকা?
কেন এত বৈষম্য-ওহে কান্ডারী ?
মানবতার কোন দোহাই দাঁড় করাবে এখানে!
তাদের মর্যাদা বড় বেশী রুগ্ন তোমার এ সংসারে
তোমার শিক্ষক বলে কি তাদের বঞ্চিত
করো?
নাকি ভদ্র, সম্মানিত, ন্যায়ের প্রতীক
বলে!
ওরা তো পারে না হিংস্র জানোয়ারের মত
হতে
ওরা শিক্ষিত মার্জিত আঁধারে মুক্তির পাঞ্জেরী.
জাতির আলোকবর্তিকা ।
আজ দেখ ,ওরা শহীদ মিনারে-চোখের জলে!
এ কি শুভনীয়- হে কান্ডারী?
ওদের ন্যায্য অধিকার আজি দাও ছড়িয়ে..
এ বৈষম্যের জাতা কলে ওরা যেন নিঃশেষ
না হয়
ওদের প্রাপ্য মর্যাদা দাও এক নবীণ
উত্তাপে ।
ওদের মর্যাদাকর জীবন জীবিকা-জাতির
সম্মান।
ওহে কান্ডারী – ওদের কান্না আর কতকাল?
আমি ছাত্র চাই না দেখি ওগো
আমার শিক্ষকদের চোখে জল !
আর কতকাল শিক্ষকেরা নিরবে নিভৃতে
কাঁদবে?
এক অমানবিক বৈষম্যের তিল তিল অপঘাতে!
বেতনে বৈষম্য, পদ মর্যাদায় বৈষম্য ক্রমাগত
চলতে থাকলে
একদিন হয়তো ছিকটে পড়বে জাতির
আলোকবর্তিকাগুলো
তুমি কি বলতে পারো ওরা কেন নিম্ন
শ্রেনীর হবে?
ওরা দিবার সূর্য্, নিশির চন্দ্র ,সকলের
উর্ধ্বে।
শিক্ষকদের চোখে জল! -ওহে কান্ডারী -
এখনি দাও মুছে, এখনি দাও ছুটি।
------------------------------------------------রাওনাট,
কাপাসিয়া,গাজীপুর।
No comments:
Post a Comment