Thursday, November 27, 2025

প্রেমের আসামী

 প্রেমের আসামী

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
**********************************************

দোষ যদি হয়ে থাকে, সে দোষ আমার নয়—
সে দোষ কেবল অবুঝ হৃদয়ের;
আমি তো চেয়েছিলাম দূরে থাকতে,
কিন্তু হৃদয়–
এই উন্মাদ সত্তা—
বারবার ছুটে গেছে তোমার দিকে
ঝড়ের ভেলায় ভেসে যাওয়া পাতার মতো।

আমি কখনো চাইনি তোমাকে ছুঁতে,
চাইনি দেহের গরম নিশ্বাস,
চাইনি যৌবনের আগুনে পুড়তে—
আমি শুধু চাইছিলাম
তোমার হৃদয়ের জানালায়
একটুখানি আলো হয়ে থাকতে,
তোমার নিঃশ্বাসের ভিতরে
একটি কবিতা হয়ে বেজে উঠতে।

তুমি কিন্তু শুনলে না
হৃদয়ের মহাকাব্য,
দেখলে না
তার গোপন অলংকার,
তোমার কান পৌঁছায়নি সেই সুরে
যেখানে আমি নাম ধরে ডেকেছিলাম
শুধু অনুভবে,
শুধু ব্যথায়,
শুধু অবুঝ ভালবাসায়।

আর তুমি?
না বুঝেই দোষারোপ করেছ আমাকে—
যেন প্রেম করা অপরাধ,
যেন ভালোবাসা এক দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া।
তাই বলো—
এখানে আমার দোষটা ঠিক কোথায়?

যদি শাস্তি দিতেই চাও,
আমার হৃদয়কে দিও—
ভালোবেসে, গভীর করে,
যেন সে বুঝতে পারে
এ দুনিয়ায় সবচেয়ে মধুর দণ্ড
হলো তোমার প্রেমের কারাগার।

আমি কিছু চাইনি—
শুধু তোমার হৃদয়ের ভেতর
একটি খালি আসন,
একটি নরম অন্ধকার
যেখানে আমি বন্দী হতে পারি
তোমার স্মৃতির সশ্রম কারাদণ্ডে।

আমি হতে চাই
তোমার হৃদয়ের আসামী,
প্রেমের আজীবন সাজাপ্রাপ্ত—
যার শেকল শুধু তোমার নাম,
আর মুক্তির চাবি
তোমার একটুখানি হাসি।

প্রেম যদি অপরাধ হয়—
তবে আমাকে দাও সেই অপরাধে ডুবতে,
আমাকে বানাও তোমার
চিরন্তন প্রেমের আসামি।
-------------------------------------------------------


২৭-১১-২০২৫

প্রেমের কি এক শিহরণ!

 প্রেমের কি এক শিহরণ!

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
**************************************

ওই ফুল–কাননের নরম বুকে আজ
গোলাপের ছোট্ট ডালে ফুটেছে দুটি নবীণ কলি—
মনে হলো দু’টি চোখ, অপলক চেয়ে আছে
আমারই দিকে, নিঃশব্দে, নিঃস্পন্দে,
এক আশ্চর্য প্রেম-দর্শনের মুগ্ধতায়।

আমিও হারালাম সেদিকে,
সুহাসিনী সেই কলির গভীরে—
ঠিক যেন হৃৎসিন্ধু বেয়ে মধুর নহর
ঝর্ণার মতো ঝরে পড়ছে অশব্দ সুরে।
গোলাপের পাপড়ি বুঝি আজই ফুঁটে যাবে,
তার আগে চাই ছুঁয়ে দেখতে—
মন চায় ছিঁড়ে নিয়ে রাখি
হৃদয়ের গোপন ফুলদানিতে,
যেখানে যুগ যুগ ধরে জমে থাকে
অস্পর্শিত প্রেমের রক্তিম দ্যুতি।

শরীর জুড়ে কি এক উথাল–পাতাল ঢেউ!
রোমান্টিক দর্শনের সব আলো যেন
একত্রে নেমে এলো এ মুহূর্তে—

সব মিলেমিশে আজ বুকের ভেতর
এক দুরন্ত ঝড়—
কলি দুটো ডাকছে যেন ফিসফিস সুরে:
“এসো, আমাদের মধুর ঝর্ণাধারা বেয়ে
ডুবে যাও গভীর নদীর অতলে—
উত্তাল স্রোতধারার সঙ্গী হয়ে।”

নদীর বুকও আজ ফুলে ওঠে অশান্তভাবে—
রঙিন ঢেউয়ে দোলে প্রেমের কাব্য,
আর আমি—
সেই ঢেউয়ের তৃষ্ণার্ত যাত্রী,
নেমে যাই অন্তহীন রোমান্টিক স্রোতে,
যেখানে তুমি, গোলাপকলি—
আমার সমস্ত জাগ্রত স্বপ্নের একমাত্র বসন্ত।
-----------------------------------------------------


২৭-১১-২০২৫

আজকের পরাজয় আগামীর বিজয়

 আজকের পরাজয় আগামীর বিজয়

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর
*********************************************
ওহে শুনো!
আজকের পরাজয় নহে আগামীর অন্ধকার—
এই ক্ষতই হবে আগামী যুদ্ধের অগ্নিরণঙিন সোপান,
আজকের হেরে যাওয়া তলোয়ারেই
আগামীর বজ্র-প্রতিশোধী শাণ।

তোমাদের বিজয়-উল্লাস
হয়তো থেমে যেতে পারে উগ্রবাদের মদিরায়,
যেখানে মানুষ ভুলে যায় মানুষকে—
হিংস্রতা উঠে দাঁড়ায় রাজার বেশে,
স্বাধীনতার নামে জেগে ওঠে শৃঙ্খল-ছায়া।

বিজয় মানে উগ্রতা নয়—
বিজয় মানে প্রতিশোধের আগুন নয়,
অধিকার কেড়ে নেওয়ার পাষাণ নয়,
ফ্যাসিবাদের রক্ত-বাষ্প নয়,
স্বৈরাচারের লোহার নখর নয়,
অপমান-অপদস্তের বিষধর নয়,
ক্ষমতার পেশী প্রদর্শনের গর্জন নয়—
বিজয় হলো পুষ্পের মতো ছড়িয়ে পড়া সুবাস,
নিঃস্বার্থ পাপড়ির নরম ঘ্রাণ,
মানুষের হৃদয়ে মুক্তির বাতাস।

বিজয় হলো জনতার উৎসব—
যেখানে শিশুর হাতে থাকে আলো,
বৃদ্ধের কণ্ঠে শান্তির দোয়া,
নারীর হাসিতে স্বপ্নের শহর জ্বলে।

যদি সে বিজয় হয় স্বেচ্ছাচারের অশ্বত্থ তলায়
ছায়া-কুয়াশা হয়ে দাঁড়ানো অত্যাচারের বৃক্ষ—
তবে সে বিজয় নয়,
আগামী পরাজয়ের ভয়ঙ্কর অমঙ্গলের ফাঁদ।

আজকের উন্মাদনা যদি হিংসার উল্কি আঁকে,
তবে তা আগামী ধ্বংসের বিলাসিতা—
যেখানে শহর ভাঙে, মানুষ ভাঙে,
আর ইতিহাস কাঁদে
মানুষের ভুলে লেখা মানুষের শোকগাথা।

ওহে শুনো!
পরাজয় আজ কেবল ক্ষণিকের ঝড়—
এই ঝড়ের ভেতরেই জমে ওঠে
নতুন দিনের শক্তি, বীজ, আর আলো।
আজ যাকে বলো পরাজয়—
কাল সে-ই হবে বিজয়ের সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রভাত,
যদি হৃদয় থাকে শুদ্ধ,
আর বিজয় হয় মানুষের—
মানুষের মুক্তির,
মানুষের সুবাসের মতো।
-----------------------------------------------


২৭-১১-২০২৫

ভয়ানক ভাইরাল সংস্কৃতি

 ভয়ানক ভাইরাল সংস্কৃতি

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
****************************************

দিক–দিক ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাল অগ্নিকুণ্ড,
মানুষ হয়ে গেছে মাগল উম্মাদ।
ফেসবুকের ঝলক, ইউটিউবের ঝলমলে ফ্ল্যাশ,
টিকটকের নাচে নৃত্য, ইন্ট্রোগ্রামের ফিল্টার—
সব ফাঁদ, সব কৌতুক, সব উলঙ্গতা।

যুবক–যুবতী, বৃদ্ধ–বৃদ্ধা,
সবাই লিপ্সায় আবদ্ধ,
অসীম প্রতিযোগীতায় হারিয়েছে মানবিকতা।
গুজবের বন্যা, মিথ্যার ঝড়,
ফটকাবাজির ছায়া সবখানে—
সত্যের মুখে দাঁড়াতে নেই কেউ।

বেহায়াপনা ছড়ায় চুপিচুপি,
ডিজিটাল নোংরামি ভর করে মন।
হাসি আড়াল করে ক্ষুদ্র অহংকার,
“ভাইরাল হলেই আমি বড়”—
কেউ বোঝে না, অন্তর শূন্য।

ডিজিটাল সন্ত্রাসের ছায়া পড়ে ঘর-বাড়ি,
স্মৃতিশক্তি মলিন, হৃদয় হিমশীতল।
ফেসবুকের চ্যাটে, টিকটকের কমেন্টে
নিন্দা আর বিদ্রূপ—সবার খেলা।
মুখে হাসি, অন্তরে ব্যাধি,
নৈতিকতার মৃত্যু হয়ে গেছে ভীষণ সাধারণ।

এই ভাইরাল সংস্কৃতির চক্রে আমরা বন্দী,
বুকের ভেতর ক্ষুদ্রতম আনন্দও নষ্ট।
দিক–দিক তাকাও, চোখ মেলে দেখো,
ভাইরাল পৃথিবীর নোংরামি—
কতোটা ভয়ানক, কতোটা মর্মান্তিক!

মানুষ একে বলে “মজা”, আমি দেখি সন্ত্রাস।
হৃদয় খোঁচা খায়, চিৎকার করে,
কেউ শোনে না—সব ভেসে যায় ভাইরালের ঢেউয়ে।
------------------------------------------------


২৭-১১-২০২৫

সুবোধ তুই পালিয়ে যা

 সুবোধ তুই পালিয়ে যা

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
*******************************************

সুবোধ! তুই পালিয়ে যা,
নদীর মতো সত্যও আজ চিত্তরক্ত,
রাজনীতির খাঁচায় চেঁচামেচি,
হিংসা-মিথ্যার আগুন জ্বলে চারিদিকে।

বাজারে হাসে লোভের মুখোশ,
শিক্ষার ক্লাসরুমে শোনা যায় শুধু কাগজের কথা,
শুধু নোটের দাম,
কাগজে লেখা মরীচিকা!

দুর্নীতি শপথে লুকিয়ে আছে,
মিথ্যা মামলার ছায়ায় ভেঙে পড়ে সাহস।
অত্যাচারের পা চেপে ধরে হৃদয়,
অনাচারের জলে ভেসে যায় মানবতার আশা।

সমাজে তোর স্থান নেই, সুবোধ!
যেখানে সত্য বললে শাস্তি,
যেখানে ন্যায়ের কণ্ঠস্বরে আঘাত,
তোমার চুপ থাকা বাঁচায়,
চুপ থাকা বাঁচায়, চুপ থাকা বাঁচায়।

পালিয়ে যা, সুবোধ! পালিয়ে যা!
নিজের ভিতরে আলো ধর—
যেন অন্ধকারের গহ্বরেও
উজ্জ্বল হয় ন্যায়ের দীপ।

হ্যাঁ! সময় আসবে, সত্য নদী বয়ে যাবে,
হ্যাঁ! সূর্য উঠবে ন্যায়ের কিরণে,
তুই ফিরে আসবি,
তোর অস্তিত্বের দীপ্তিতে
সমাজের চোখে জ্বালাবে আগুন!
---------------------------------------------------


২৭-১১-২০২৫

নদীতে জন্ম নদীতেই মৃত্যু

 নদীতে জন্ম নদীতেই মৃত্যু

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
********************************************

নদীতে জন্ম, নদীতেই মৃত্যু,
বিয়ে হয় আজব রীতিতে,
নৌকা ভাসে ঢেউয়ের তলে,
হাওয়ায় গল্প ভেসে আসে পলকে।

স্থায়ী ঘর নয়, শুধু জল আর বাতাস,
জীবন কাটে ঢেউয়ের ছন্দে, ছায়ার সাথে।
মাছ ধরা, জাল আঁকা, হালকা জামা-ধুতি,
বাঁশের ঘর, নৌকা—হাতের শিল্পে রঙের ছবি।

লোকগানের ছন্দ, ঢোল-বাদ্যের তালে,
নদী ভেসে যায় জীবনের কাব্যে।
উৎসব, বিবাহ, শোক—সব জলই সাক্ষ্য,
নদীর তীরে লেখা জীবনের স্বাক্ষর অমলিন।

খাবার—মাছ, শাক-সবজি, শস্য—
নদীর উপহার, সরাসরি রান্না।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাজার—চ্যালেঞ্জের ঢেউ,
তবু নদীর সঙ্গে সম্পর্ক অটুট, ছন্দে ভরা।

পুরুষের হালকা জামা, মহিলার রঙিন শাড়ি,
উৎসবের সাজে হালকা গহনা, নদীকে নमन করি।
নৌকা-উৎসব, মৌসুমি উৎসব, মাছধরার খেলা,
প্রতিটি ঢেউয়ে লেখা—জীবন, সংস্কৃতি, আচার-বেলা।

বেদেরা শুধু মানুষ নয়, নদীর সন্তান,
জল, স্বাধীনতা, ঐতিহ্যের চিরন্তন প্রতীক।
নদীর গল্প, নৌকা, গান, হস্তশিল্প, আচার, জীবন—
সব ভেসে চলে, ছন্দে ছন্দে, আজও।
----------------------------------------------


২৭-১১-২০২৫

সুপ্ত প্রেম

 সুপ্ত প্রেম

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা

রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
******************************************

আমার হৃদয় জ্বলছে।
নিঃশব্দে, অবিরত।
তোমার নাম লুকিয়ে রেখেছি চোখের জলেতে।

কেউ বুঝবে না।
কেউ জানবে না।
কতবার আমি চুরি করেছি আমার অস্তিত্ব তোমার জন্য।

প্রতিটি নিঃশ্বাসে তুমি।
প্রতিটি ব্যথায় তুমি।
অগ্নিকুণ্ডের ভিতরে জ্বলছি,
পুড়ে ছাই হয়ে যাই, নিঃশেষে।

বলতে পারিনি।
ভালোবাসা চুরমার হয়ে গেছে অন্তরে।
প্রতিটি রাত, প্রতিটি ঘুম—
অশ্রুজলে ভাসে তোমার অভাব।

একদিন পৃথিবী জানবে, হয়তো কেউ জানবে।
এই প্রাণ ভালোবেসেছিল কাউকে।
কিন্তু বলা হয়নি।
শুধু একজল ফুলে থাকবে আমার শ্রদ্ধা।

আমার প্রেম—
নীরব, অদৃশ্য,
অশ্রুজলে লেখা মহাকাব্য।
দ্বন্দ্বহীন, পবিত্র।
চির অবিনশ্বর।
মৃত্যুঞ্জয়ী।

একদিন কেউ এসে বলবে—
“আমিও তোমাকে ভালোবেসেছিলাম। কেন তুমি বলনি?”
এভাবেই তুমি হয়ে যাবে আমার জীবনের একমাত্র গোপন আগুন।
--------------------------------------------------


২৭-১১-২০২৫

পাগলেরাই সভ্যতার স্থপতি

 পাগলেরাই সভ্যতার স্থপতি

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর
****************************************

পৃথিবী চিৎকার করছে—
“পাগল! উম্মাদ! কাফের! বিদ্রোহী!”
কিন্তু তারা জানে না, তারা দেখেনি,

পৃথিবীর রঙিন চশমা ধরে
যারা দেখেছে অদ্ভুত দিক, অজানা আলো,
তাদেরই মানুষ বলেছে পাগল, উম্মাদ, কাফের।
যারা স্বপ্নের খনি খুঁড়েছে,
তারা শুধু রঙিন ধোঁয়া পেয়েছে,
কেউ দেখেনি তাদের হাতে জ্বলন্ত দীপ,
যা অন্ধকারে আলো ছড়ায়।

নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, বডলার, থোরো—
ওদের কবিতার শব্দে, বিজ্ঞানী ও দার্শনিকের খুঁটিনাটি খুঁজে
প্রকৃতি, জ্ঞানের সেতু, নক্ষত্রের নাচ—
পৃথিবী পেয়েছে আলোক বিন্দু।

অসভ্য নিন্দুকেরা
শুধু দিতে পেরেছে পাগল, উম্মাদ, কাফের।
ওরা দিল না সৃজনের চাবি,
দিল না উন্মাদ আত্মার মুকুল।

পাগলদের হাতে রচিত পৃথিবী
একটি নদীর মতো প্রবাহিত,
যেখানে প্রতিটি ঢেউ
ধ্বংসকে পরিণত করেছে সৃজনের সিঁড়িতে।
একটি আগুনের মতো জ্বলছে
যা ছড়িয়ে দিচ্ছে অজানা আলো।

তারা হেঁটেছে অনির্ধারিত পথে,
মেঘের ভেতর দিয়ে, ঝড়ের মাঝখান দিয়ে,
তাদের পিছু নিয়েছে শুধুই বাতাসের ফিসফিস।
পৃথিবী আজ তাদের গল্পে জেগে আছে,
নিন্দুকেরা আজও বাইরে দাঁড়িয়ে চুপচাপ।

পাগলেরাই সভ্যতার স্থপতি,
যার কল্পনায় জন্ম নিয়েছে শহর, গান, নক্ষত্র, বিজ্ঞান।
যাদের পৃথিবীকে মানুষ জানে শুধু অদ্ভুত নাম দিয়ে,
তাদেরই হাতে লেখা ইতিহাস,
যা অজানা নদী হয়ে ছুটে চলে কালজয়ী।

পৃথিবী বলে পাগল,
কিন্তু পাগলই আনে আলো, আলো,
পাগলই বানায় পথ, পথ, পথ,
যেখানে নিন্দুকেরা কেবল ছায়া, ছায়া,
পাগলই অগ্নিস্ফুলিঙ্গে ছেঁড়ে দেয়
নতুন দিগন্ত!
জ্বলুক আগুন! শিহরণ ছড়াক! বজ্রপাত হোক প্রতিটি পদে!
---------------------------------------------------------


২৭-১১-২০২৫

নগ্নতার চর্চা

 নগ্নতার চর্চা

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
**************************************
আমি বিদ্রোহী কণ্ঠ!
আজ আবার ঝড় তুলে বলি—
হে পাষাণ যুগের নতুন সন্তানেরা,
এ কোন উলঙ্গতার নগরী গড়লে?
যেখানে মানুষ নয়,
দেহের চামড়া রাজা—
নৈতিকতা সেখানে ভিখারি হয়ে
দরজায় দরজায় কাঁদে!

হে যুগ! তুমি কি অন্ধ হলে?
অশ্লীলতার আগুনে পুড়িয়ে দিলে
লজ্জার শেষ পাতাটুকুও?
মানবতার বুকে আজ
শৃঙ্খল নয়—
গলিত লোভের আগুন ঝরছে,
মানুষের চোখ হয়ে উঠছে
হিংস্র নেকড়ের নখ!

নারী—
যে ছিল মমতার মন্দির,
সংস্কৃতির গর্ভ—
তাকে আজ বানালে তোমরা
মঞ্চের প্রদীপ,
দেহের নেশা-বাজারের
চকচকে চামড়ার ক্যানভাস!
শাপ তোমাদের আধুনিকতার—
যা নারীর মর্যাদাকে
উন্মোচন করে
জন্তুদের উল্লাসে নিক্ষেপ করে।

আর পুরুষ!
যে ছিল রক্ষক,
সে-ও আজ অভিযুক্ত,
কারণ তোমাদের উন্মাদ যুগ
নারীকে পণ্যে নামালে—
আর পুরুষকে
ধর্ষকের মুখোশে!

এই যে সভ্যতার পোড়া শহর—
এখানে মানুষ পোশাক পরে না,
পরিধান করে
লোভের চামড়া,
লজ্জাহীনতার বিষদাঁত!

আমি বজ্র!
আজ চিৎকার করে ঘোষণা করি—
যে সমাজ দেহ দেখিয়ে বাঁচে,
সে সমাজ আত্মা হারিয়ে মরে!
যে জাতির চোখে
লজ্জার আলো নিভে যায়—
সে জাতিরাই একদিন
নিজেদেরই হাত ধরে
অবনত হয় জাহান্নমের সিঁড়িতে!

উঠো মানুষ!
তুলে ধরো সত্যের তরবারি,
কেটে ফেলে দাও নোংরা আধুনিকতার শিকল—
যে শিকল মানুষকে টেনে নিয়ে যায়
অন্ধকারের অগ্নিখাদে।

আমি বলি—
ফিরে আনো লজ্জা—
ফিরে আনো মানবতার পবিত্র আবরণ!
নইলে পৃথিবী
আর মানুষ থাকবে না—
থাকবে শুধু ধ্বংসের পোড়া ছাই,
যার নাম হবে—
নগ্নতার মহামৃত্যু।
-------------------------------------------


২৭-১১-২০২৫

Wednesday, November 26, 2025

হে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম

 হে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
****************************************

হে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম!
পড় হে তোমার প্রভুর নামে,
যিনি তোমায় রচনা করেছেন মহাশক্তিতে,
তোমার রক্তে লিখেছেন স্বাধীনতার গান!

জ্ঞান অন্বেষণে ছুটে যাও,
দিগন্ত ছুঁয়ে দিগন্তে,
মন তোমার হোক অটল, অদম্য,
সমুদ্রের মতো উচ্ছ্বসিত, অশেষ, অবিনাশী!

আলো হোন, হে জাগ্রত প্রজন্ম!
জ্ঞানালোকের প্রতিটি কণায় নিজেকে পবিত্র করো,
অন্ধকার ভাঙো,
অগ্নি হয়ে জ্বালো অন্তরের প্রদীপ,
মশাল হয়ে ছড়িয়ে দাও সত্যের দীপ্তি!

ছুঁড়ে ফেলো মিথ্যার শৃঙ্খল,
বলো—হে তুমি বীর!
মানবতার দূত তুমি,
পিতামাতার অহংকার,
স্বদেশের রক্তবিন্দু হয়ে জ্বলো তুমি!

মাথা নত করো না জুলুমের সামনে,
চোর, বাটপার, নেশাগ্রস্ত—তুমি নও।
তুমি বিপ্লবী, প্রতিবাদী,
হৃদয়ে আগুন, চোখে অগ্নি,
তুমি আশার প্রদীপ,
নতুন দিনের সূর্যসন্তান!

হে প্রজন্ম!
তুমি নতুন দিগন্তের স্রষ্টা,
স্বপ্নের পথে অপ্রতিহত সাহসের বাণী,
নতুন যুগের গান, নতুন পৃথিবীর আলো!

বলো! বলো! চিৎকার করো!
হে তুমি, মাথা নত করো না!
হে তুমি, অন্ধকার ভাঙো!
হে তুমি, আলো হও এই ভূমণ্ডলে!

উঠো! লড়ো! জাগো!
তুমি নবপ্রভাতের জ্যোতি,
তুমি স্বাধীনতার ডাক,
তুমি—হে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম—অমর!
---------------------------------------


২৬-১১-২০২৫

সেই প্রথম দেখা

 সেই প্রথম দেখা

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
***********************************

পথের ধুলোয় ভেজা দুপুর—
হঠাৎই থমকে দাঁড়ানো আমার;
প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়েই
অদ্ভুত এক আলো নেমে এলো অন্তরে—
ফুলবাগানের কোণে লুকিয়ে থাকা
দুটি সতেজ কলি
হৃদয়ের ভেতর এক ঝড় তুলল নিঃশব্দে।

যেন প্রথম দেখায় জন্ম নিল
অচেনা এক শিহরণ,
আঙুলের ডগায় কাঁপতে থাকা
অদৃশ্য কোনো স্পর্শ—
যদিও ছুঁতে পারিনি,
তবুও কল্পনায় তাদের রূপ
নরম বাতাসের মতো এসে
গায়ে লাগল, মন ভিজল,
স্বপ্নে ফুটল আলোর রেখা।

সেই কলিদুটি ছিল
বৃষ্টিভেজা ভোরের মতো সতেজ,
চৈত্রের রোদে জন্মানো
দু’ফোটা কিশোর রঙের মতো কোমল।
আজো ভাবি—
আছে কি তারা আগের মতো?
না কি পূর্ণতা পেয়ে
ফুল হয়ে ঝরে গেছে
কোনো অচেনা বাতাসের বুকে?

মৌমাছিরা কি আজো
তাদের সুবাসে মাতাল হয়ে নাচে?
না কি আমিই শুধু—
সেই প্রথম দেখা কল্পনার রঙে
বেঁধে রেখেছি নিজেকে?

যা-ই হোক, সত্যি একটাই—
সেই প্রথম দেখা কলিদুটির আকুলতা
আজো বুকের ভেতর ছোটে
উন্মনার মতো।
হয়তো কোনোদিন—
হয়তো কখনো,
আমার হাতের মুঠোয়
লেগে যাবে তাদের গন্ধ;
মেটে যাবে এই দীর্ঘদিনের সাধ,
শান্ত হবে অনন্ত দহন—
হয়তো, অথবা কখনোই নয়।

তবু মনে হয়,
যদি আবার সেই পথে যাই—
প্রকৃতি হঠাৎই
তোমাকেই আবার দেখাবে,
সেই প্রথম দেখা
সতেজ কলির রূপে।
-------------------------------------------------------


২৬-১১-২০২৫

প্রেমের কলি

 প্রেমের কলি

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
*************************************************

অজান্তেই হৃদয়ের বাগিচায়
উঁকি দিল লাজুক এক কলি—
হালকা অভাবের ঢেউ উঠত মনে,
কি অদ্ভুত অনুভূতি, নামহীন, ধরা-না-পড়া চলি।

সে কে? তখনো জানা হয়নি,
তবু শূন্যতার মতো কেউ যেন পাশে হাঁটত ধীরে…
ষষ্ঠ শ্রেণীর সিঁড়ি পেরিয়ে
জীবন উঠছিল ক্লাসের পর ক্লাস—
হঠাৎ একদিন দেখি,
সে নেই!
দূর অচেনার পথে মিলিয়ে গেছে নিঃশব্দ বাতাস।

ঠিক তখনই রাঙা ঠোঁটের
সেই দিনের মুসকি-হাসি
মনে বাজাল আলো-ছায়ার সুর—
তাকে না দেখার ব্যথায়
বারবার বুকের ভেতর কেঁপে উঠল নীরব পূর।

সেইদিনই বুঝলাম—
বুকের গভীরে কোনও কথা
নিঃশব্দ আগুন হয়ে জ্বলে…
বলতে চেয়েছি হাজারবার,
কিন্তু শব্দগুলো আটকে থাকত শিমুল-ফুলের ডালে।

হৃদয়ের বাগানে প্রেমের সেই কলি
দু’চোখ বন্ধ করলেই
পাপড়ি ছড়াতে ছড়াতে ধীরে ধীরে ফুটত—
হঠাৎ যেন
একদিন পূর্ণতা পেল!
একটি পূর্ণ-ফুল হয়ে সুবাসে আকাশ জুড়ে ছুটত।

এই প্রেমের ফুলটি দিতে চেয়েছিলাম তাকে—
সে নিয়েছিল কি না,
আজও রহস্যের মতন লুকানো থাকে বাতাসে।
সে আজ বহু দূরে—
তবু ফুলটি এখনো ফুটে আছে
মৃত্যুঞ্জয়ীর মতন, নির্ভীক উষ্ণ ভালবাসায় ভাসে।

একদিন হয়তো ঝরে পড়বে ফুল,
হয়তো মুছে যাবে পৃথিবীর মাটি ছুঁয়ে—
তবু সুবাসটা রয়ে যাবে
তার নামের স্মৃতিতে,
চিরন্তন প্রেমের প্রতিটি নি:শ্বাসে,
বিরহের কাঁপা বুকে,
অশ্রুর নীরব ঢেউয়ে।

এই প্রেম— কলি থেকে ফুল,
আর ফুল থেকে চিরস্মরণীয় সুবাসে—
আজও বেঁচে আছে
তোমার নাম লেখা হাওয়ায়,
আমার অশান্ত হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে।
---------------------------------------------------


২৬-১১-২০২৫

রাজনীতির ভণ্ডামী

 রাজনীতির ভণ্ডামী

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
************************************

দেখ, দেখ, দিকে দিকে ছড়িয়েছে ভণ্ডামী,
রাজনীতির মঞ্চে মঞ্চে আজ শয়তান নামি।
ছদ্মবেশী নেতা, সুন্নাতি পোশাকে মোড়া,
ওয়াজে দেয় তফসির, অথচ মিথ্যা তোড়া।

মসজিদের পথে কখনো পা রাখেনি,
নামাজ পড়া মনে নেই, মুখ ভরলে কথার ত্রুটি।
হক কথা কখনো বলেনি,
ভোটের লোভে লেপে রাখে মুখোশে অন্তর তার চুপি।

মঞ্চে নাটক, অভিনয়, সবই খালি কাগজে,
মিথ্যে বয়ান, মিথ্যে আশ্বাস, জনতার চোখে ধূসর ধোঁয়া।
ভোট আসলেই সে ছদ্মবেশে ধরা দেয়,
কী দরকার, বল, এত অভিনয়ের খেলা?

জনতা দেখে, বুঝে, আর বিশ্বাসে না,
ভোটের মঞ্চে নয়, চরিত্রই সত্যের ল্যাম্প।
রাজনীতির ভণ্ড, ছদ্মবেশী, মিথ্যাবাদী,
অভিনয়ের অজস্র খেলা, অন্ধকারের ছায়া।

নিজের চরিত্রে থাকলেই শ্রেয়,
ভোটের লোভে নাটক কেন, মুখোশে আড়াই হেসে?
দুনিয়ার নজর এড়াতে পারেনি কেউ,
ভণ্ডামীর মুখোশ ফেটে যায় সত্যের ঝড়েতে।
----------------------------------------------


২৬-১১-২০২৫

চারিদিকে শত্রু

 চারিদিকে শত্রু

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর
**********************************
জাগো হে, জাগো বাঙালি!
চেয়ে দেখা আবার এসেছে ফিরে,
সেই পুরানো শত্রু—
যে ধ্বংস করেছিল হৃদয়,
যে চেপে ধরেছিল গলাগুলো স্বাধীনতার।

শকুনের ডানা মেলে
মাতৃকার প্রান্তরে,
স্বাধীন পতাকা আজ রক্তাক্ত,
রক্তে রঙিন, তবু না মরুক আশা।

জাগো হে, জাগো!
চারিদিকে শত্রুর মেলা,
যে সত্য বললেই আসে অত্যাচার,
যে প্রতিবাদ করলেই ভাঙে জেলরুমের দরজা,
দোসরের তকমা খাপ খায় মুখে,
কবির কলম স্তব্দ,
সাংবাদিক নিশ্চুপ,
বিশ্লেষক পক্ষপাতী,
রাজনীতিবিদ হিংসার মহড়া।

অপমান আর অপদস্তের খেলা,
একেকজন অন্যেক ধ্বংসের পায়তারা,
গালি গালাজে তৃষ্ণার্ত,
ইতিহাস কিবৃতির মহউৎসব।

মুক্তিযোদ্ধাদের পদধূলি,
বাঙালি সংস্কৃতির মৃত্যু সন্নিকটে,
দেশবিরোধী উত্থান,
উগ্রবাদের ছাপ,
দিকের দিকে শত্রুর মহড়া।

হে বাঙালি!
তুমি যদি না জাগো,
তুমি যদি না প্রতিবাদ করো,
তাহলে স্বাধীনতার রক্তমাখা পতাকা
মাটির সঙ্গে মিলিয়ে যাবে,
তোমার বুকের মধ্যে শত্রুর চিত্র হোক না ম্লান।

জাগো!
উঠো!
কলম, কণ্ঠ, হাত—
সব শক্তি মিলিয়ে ধ্বংস করো শত্রুর ছায়া,
স্বাধীন মাতৃকার বুকে ছড়িয়ে দাও
নব জাগরণ, নব বিদ্রোহ,
নব বিপ্লবের বাতাস।
----------------------------------------


২৬-১১-২০২৫

আমি বাংলার বজ্র-চিৎকার

 আমি বাংলার বজ্র-চিৎকার

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
***********************************************

আমি বাংলার বজ্র-চিৎকার—
আমি বিদ্রোহী রণচণ্ডী, অগ্নি-শিখা বিক্রম!
অন্যায়ের মন্দিরে আজ আমি
ধূমকেতু হয়ে পতন-ঘণ্টা বাজাই রণমুখর!

হে শাসকচক্র!
শুনো আমার কণ্ঠের ঝড়,
আমার রক্তের আগুনে জ্বলে ওঠে
সত্যের সিংহবাহিনী!
তোমাদের মিথ্যার দেয়াল আজ
মরুভূমির খড়ের ঘর—
এক চোটে ভেঙে দেব,
এক নিশ্বাসে উড়িয়ে দেব
অযাচার, জুলুম, দুঃশাসনের কালো লেলিহান!

আমি সেই জাতির সন্তান—
যারা রক্ত দিয়ে লিখেছে স্বাধীনতার গীত,
যাদের পায়ের চিহ্নেই শুরু হয় বিপ্লবের পথ।
একাত্তরের ধূপ-অগ্নি
আজো আমার মজ্জায় বজ্র হয়ে ওঠে—
দিয়ে যায় নতুন যুদ্ধের ডাক,
নতুন বিদ্রোহের তূর্যধ্বনি!

আমি বাংলার বজ্র-চিৎকার—
আমি বলি,
জনতাই আল্লাহ্‌র আমানত—
জনতাই রাষ্ট্রের শাসকের নির্মান
তোমরা কে?
শাসক?
না—
জনতার পরিশ্রমে গড়া
এক টুকরো সেবকের চাকরি মাত্র!
মুকুট পড়ে থাক,
সিংহাসন ঝলমল করুক—
জনতার একটিমাত্র গর্জনেই
সব ভস্ম হয়ে যাবে!

আমরা দাস নই—
ওরা ভাবুক!
লাঠি–গুলি–হুলিয়া?
হুঁহ্!
আমরা যে মৃত্যুকে নিয়ে খেলি
আনন্দনৃত্য করে—
আমরা অগ্নিপথের যাত্রী,
শৃঙ্খল ভাঙা আমাদের জন্ম-সংস্কার!

আমরা চাই ন্যায়ের অধিকার—
আর সে অধিকার নিতে জানি
সিংহের মতো ক্ষুধার্ত শক্তিতে।
ফ্যাসিবাদের দানব মুখোশ,
স্বৈরতন্ত্রের গলিত জোয়ার,
দুর্নীতির কাঁটার জঙ্গল—
সবকিছুকে আজ জনতার
বজ্র-মুষ্টি মাড়িয়ে দেবে ধূলায়!

এই বাংলাদেশ—
মানুষের মাটি,
মানবতার রক্তে ধোয়া সভ্যতার সূর্যোদয়।
এখানে হিন্দু–বৌদ্ধ–খ্রিষ্টান–মুসলিম
একই ধ্বনিতে গায়—
“মানুষ বড়, ধর্ম তার পথ!”
ধর্মান্ধতার অন্ধ-জ্বালা
আজই নেভে যাক আমার বজ্র-ডাকে!

আমি বাংলার বজ্র-চিৎকার—
আমি জাগাই মৃত হৃদয়,
ভাঙি কালো রাতের কারাগার,
আমি বিদ্রোহী–আমি মুক্তি–আমি জনতার জয়ধ্বনি!

আজ আমি শপথ করি—
চুরি-জুলুম-শোষণের প্রতিটি পর্বত
বজ্রাঘাতে করি চূর্ণ!
সত্য-স্বাধীনতা-মানবতার
নতুন প্রভাত ছিনিয়ে আনি!

আমি বাংলার বজ্র-চিৎকার—
গর্জে উঠি আবার,
জাগাই যুগের বুকে বিদ্রোহের আগুন,
বলেই যাই—
“আমি জনতা—আমি বিদ্রোহ—
আমি বাংলার অমর বজ্র-চিৎকার।
আমি—
বিদ্রোহ, দীপ্তি, বজ্র, অগ্নি,
আমি বাংলার চূড়ান্ত বিপ্লবী চিৎকার!
---------------------------------------
------------------------------------------


২৬-১১-২০২৫

নব স্বপ্নের যাত্রায়

 নব স্বপ্নের যাত্রায়

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
****************************************

যুদ্ধের পর যুদ্ধ ডিঙিয়ে, কত প্রভাত পেরিয়ে,
আজ রাওনাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উঠোনে
পঞ্চম শ্রেণীর শিশুরা দাঁড়ায়—
অশ্রুতে ভেজা চোখে, ভবিষ্যতের দুয়ারে কাঁপে তাদের কণ্ঠ।

বিদায়ের এই করুন বেদনা—
মনে হয় যেন আকাশ ভেঙে হু হু করে পড়ে,
শিশুরা বুক চেপে ধরে রাখে
শেষ বই-গন্ধ, শেষ সুরেলা হাসির প্রতিধ্বনি,
শেষবারের মতো দৌড়ে আসা বেঞ্চের ছায়া।

শিক্ষক—মায়ের মতো, বাবার মতো—
দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁদের পাশে,
হারুন আর রশিদ মোল্লা, শফিকুর রহমান মোল্লা, সোলাইমান মোল্লা,
ইব্রাহীম, আর শ্রদ্ধেয় মাসুম সরকার—
শিক্ষানুরাগের দীপ হাতে মশালবাহীর মতো।

তারা বলেন—
“এই বিদায় তো শেষ নয়, এত তো নব যুদ্ধের সূর্যোদয়।”
শিশুরা বোঝে না,
তাদের অবুঝ চোখ জলে ভিজে উঠে,
কিন্তু এ জলের ভেতরে লুকিয়ে থাকে
ভবিষ্যতের প্রভাতী রোদ,
নতুন পথের প্রথম আলো।

আজ যে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে—
তা পরাজয়ের নয়,
এ তো শক্তি সঞ্চয়ের শপথজল,
নিজেকে নতুন করে গড়ার দৃঢ় উচ্চারণ।

উঠোনের বাতাসেও আজ কাঁপে—
ছোট ছোট হৃদয়ের বিদায়-গান,
তবু তার মাঝেই বেজে ওঠে ভবিষ্যতের গান—
“হে শিশু, চল এগিয়ে যাও, তোমার পথই তোমার আগামীর মান।”

বিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে
ঝরেপড়া অশ্রু যেন লিখে দেয় এক স্বপ্ন-ঘোষণাপত্র—
আগামী দিনের যোদ্ধারা আজ যাত্রা শুরু করলো
নিজেদের নতুন সূর্যের দিকে,
নতুন সংগ্রামের মাঠে,
নতুন বিশ্বাসের দীপ্ত ছন্দে।

তাই আজকের এই বিদায়—
মূহূর্তের নয়, ইতিহাসের।
এই ব্যথা—শোক নয়, শক্তি।
এই অশ্রু—হতাশার নয়, নব স্বপ্নের যাত্রার প্রথম ধারা।

শুভ যাত্রা, প্রিয় শিক্ষার্থীরা—
তোমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে
উজ্জ্বল হোক আগামী দিনের সূর্য।
বিদায় তো নয়—
এ তো আগামী সূর্যের স্বপ্নযাত্রার
প্রথম পদক্ষেপ।

-----------------------------------------------------


২৬-১১-২০২৫

Tuesday, November 25, 2025

জনতার বিপ্লব

 জনতার বিপ্লব

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
***********************************

হে শাসনচক্র, শোনো আজ জনতার বজ্রধ্বনি—
অন্যায়, জুলুম, ফ্যাসিবাদের আগুনে আর ভয় নেই কোনোক্ষণই।
জনতার রক্তে জন্ম নেয় যে দীপ্তি,
সে দীপ্তির সামনে পতনের নেশায় কাঁপে সকল স্বৈরশক্তি।

জনতা যখন জেগে উঠে,
ইতিহাস বদলায় পথের মোড়ে মোড়ে—
সাধারণ মানুষের মুঠিবদ্ধ হাতেই
লিখে যায় নতুন ভোরের সোনালি গীতরেখা ঘোরে।

কিসের গুলি, মেশিনগান, কারাগার কিংবা হুলিয়া!
দমাতে পেরেছে কাকে, কখন?—
বুক পেতে দাঁড়ানো মানুষের সাহস
ঝড়ের মতো ছিঁড়ে ফেলে দমনের লৌহবরণ।

কেউ হয় শহীদ—রক্তে রাঙায় স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ,
কেউ হয় গাজী—অটল, অবিচল, অরুণোদয়ের ঘোষণা।
তবু পথ থামে না, থামে না কোন স্বপ্ন,
জনতার বিপ্লবে জন্ম নেয় নতুন দেশের নির্মাণা।

দুর্নীতিবাজ, জুলুমবাজ, দেশদ্রোহী, মবের শৃঙ্খল—
সবই ভেঙে যায় জনতার একবার উচ্চারণে।
ঐক্যবদ্ধ জনতা যখন দাঁড়ায় দুর্জয়ের মতো,
অসময়ে আলো ফোটে, শিকল ভাঙে, সত্য উঠে বিজয়-বেদনার প্রান্তরে।

জনতাই শক্তি—বিজয়ের অগ্নি-প্রতীক,
জনতাই ইতিহাসের শাসক, সময়ের প্রকৃত দিশারী।
অবশেষে জুলুম পালায়, অন্ধকার গলে যায়—
আর ন্যায়ের পতাকা উড়ে যায়
স্বপ্ন-জাগানো স্বাধীন আস্তাকুঁড়ি থেকে নতুন আকাশের দিকে ভারী।

জনতার বিপ্লব—নতুন ভোরের জাগরণ।
----------------------------------------------------------


২৫-১১-২০২৫

স্বাধীনতা এমনি আসেনি

 স্বাধীনতা এমনি আসেনি

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
********************************************

হে জাতি, শোনো বজ্রধ্বনি!
স্বাধীনতা এমনি এমনি আসে না—
এটি ছিনিয়ে আনতে হয় আগুনে,
ঝড়ের ভিতর দাঁড়িয়ে,
রক্তের নদী পাড়ি দিয়ে,
বুকের শেষ স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়ে!

সেদিনের প্রেক্ষাপট ছিল আগ্নেয়গিরি—
পোড়া মাটির বুকে সন্তানের চিৎকার,
রক্তে রঞ্জিত ধানখেত,
বিধবার কপালের ছাই,
আর অদম্য প্রতিজ্ঞা—
“এই দেশ ছিনিয়ে নেব, নয়তো জীবন দেব!”
সে বিপ্লব ছিল বজ্রপাত,
যা শত্রুর বুকে বিদ্যুৎ হয়ে নেমেছিল।

মনে রেখো হে জাতি—
স্বাধীনতা দয়া নয়, ভিক্ষা নয়,
এটি ইতিহাসের সবচেয়ে দুঃসাহসী ডাক,
কণের পর কণায় লেখা ত্যাগের অগ্নিলিপি।
যারা রক্ত ঝরিয়েছে,
তারা জ্বালিয়ে গেছে শিহরণ—
“জেগে ওঠো! জাগো!
স্বাধীনতা রক্ষা করতে আবার দাঁড়াও!”

তবু আজো অন্ধকার লুকিয়ে আছে কোণে কোণে—
সেই পুরোনো শকুনেরা আবার ডানা মেলে,
বর্ণচোরা গিরগিটি রং বদলায়,
মুখোশ পরে, হাসে, ফুঁসছে অন্তরে পরাজয়ের দাহ নিয়ে।
একবার ভুলে চিনলে—
ঢলে পড়বে সব, ভেঙে পড়বে জাতি,
মুছে যাবে পরিচয়, মৌলিকতা, অস্তিত্ব!

হুঁশিয়ার হে জাতি!
মীরজাফর এখনো আছে—
নতুন নামে, নতুন চামড়ায়,
মুনাফিকেরা রাতের মতো কালো,
বিশ্বাসঘাতকরা ছায়ার মতো পিছু নেয়—
তোমাকে ঘিরে রাখে, অপেক্ষায় থাকে
তোমার একটুখানি ভুলের!

তাই বলি—
জাগো হে জাগো! বজ্রের মতো জাগো!
তোমার রক্তে আগুন ধরাও,
মাটি কাঁপাও তোমার পদধ্বনিতে।
আরো তীব্র, আরো প্রবল বিদ্রোহে
তুলে ধরো মুষ্টি আকাশে—

স্বাধীনতা এমনি এমনি আসেনি,
এবারও এমনি থাকবে না!
রক্ষা করতে হলে বজ্র হও,
অগ্নি হও, বিদ্রোহী হও!
শত্রুকে চিনো, প্রতিরোধ গড়ো,
জাতিকে জাগাও, মাটিকে জাগাও!

হে জাতি—
তুমি জেগে উঠলেই
স্বাধীনতা অটুট থাকবে,
তুমি ঘুমোলেই
অবনতি নিশ্চিত!

তাই আজই শপথ নাও—
জাগব, রক্ষা করব, লড়ব!


রক্ত-ঝরা বাংলাদেশ

 রক্ত-ঝরা বাংলাদেশ

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
****************************************************

একাত্তুরের আগ্নেয়-জন্ম, হে বাংলাদেশ—
তোমার শিরায় শিরায় আজো আগুন, আজো বজ্র, আজো বিদ্রোহের শপথ।
তুমি নদীর মতো কোমল নও—
তুমি বজ্রপাতের সন্তান,
তুমি অগ্নিপাহাড়ের গর্জন,
তুমি রক্ত-ধারায় লিখে যাওয়া ইতিহাসের অমোঘ মহাধ্বনি!

যে দানবেরা একদিন চেয়েছিল তোমার কণ্ঠ ছিন্ন করতে,
ভাষা কেড়ে নিতে, স্বাধীনতা মুচড়ে ভেঙে ফেলতে—
তাদের অস্থিমজ্জা পর্যন্ত থরথর করে আজো
যখন শোনা যায়
বাঙালির বুকফাটা গর্জন— "স্বাধীনতা মানে অধিকার!"

লক্ষ শহীদের রক্ত—
এটা শুধু রঙ নয়, এটা তাণ্ডবের সংজ্ঞা!
লক্ষ মায়ের অশ্রু—
এটা শুধু ব্যথা নয়, এটা বিপ্লবের আগুন-ঘৃণা!
এই রক্তে, এই অশ্রুতে, এই আগুনে
বাংলাদেশের পতাকা শুধু উড়ে না—
পৃথিবীকে জ্বালিয়ে দিয়ে ওঠে দাঁড়ায় সত্যের মশাল হয়ে!

তবু দেখো—
জুলুম শেষ হয়নি, স্বাধীনতা পুরোপুরি আসেনি,
গণতন্ত্রের বুক চাপা পড়ে আছে অশুভ পায়ের তলায়।
দুর্নীতির পিচ্ছিল সাপেরা ছুটে বেড়ায় মন্ত্রীসভা থেকে মহল্লা পর্যন্ত,
সাম্প্রদায়িক বিষণ্ণতা ও উন্মাদনার দহন
মানুষকে ছিন্নভিন্ন করে,
প্রতিহিংসার কালো ছায়া দমবন্ধ করে
জনতার কণ্ঠকে।

কিন্তু—
এই মাটিতে দীর্ঘশ্বাস বেশিক্ষণ টিকে থাকে না।
এই মাটিতে কষ্ট জমে থাকলে
তার নিচে গোপনে জ্বলে আগুন—
এ আগুন পুড়লে শুধু গাছ নয়,
সিংহাসনও গলে যায়!!

হে বাংলাদেশ, তুমি নরম নও—
তুমি এমন গর্জন,
যার শব্দে পাহাড় থরথর করে,
নদী উন্মাদ হয়ে ওঠে,
আকাশ বিদ্যুৎ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভূমীর বুকে!

তোমার রক্তঝরা ইতিহাসে লেখা—
“অন্যায়কে ক্ষমা নয়, প্রতিরোধ!
জুলুমকে সহ্য নয়, বিদ্রোহ!”

আজো সেই রক্ত ঘুমায় না,
আজো সেই আগুন নেভে না—
শোষিতের বুকের নীরব ক্রোধ আজ এক অগ্নিঝড়,
যে ঝড়ে উড়ে যাবে
স্বৈরশাসনের শেষ চিহ্ন,
ধ্বংস হবে দুর্নীতির অট্টালিকা,
ভেঙে পড়বে প্রতিহিংসার খাঁচা,
সত্য দাঁড়াবে অগ্নিমূর্তি হয়ে!

এসো জনতা—
তোমার হাতই বিপ্লব, তোমার কণ্ঠই বজ্র,
তোমার রক্তই স্বাধীনতার শেষ ইশতেহার।
গর্জে ওঠো!
শুনিয়ে দাও পৃথিবীকে—

বাংলাদেশ কোনোদিন মাথা নোয়াবে না,
বাংলাদেশ কোনোদিন পরাজিত হবে না,
বাংলাদেশ জনতার—
এবং জনতার রক্তের আগুনেই নতুন স্বাধীনতা জন্ম নেবে!
---------------------------------------------------


২৫-১১-২০২৫

রক্ত-ঝরা বাংলাদেশ

 রক্ত-ঝরা বাংলাদেশ

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
****************************************************

একাত্তুরের আগ্নেয়-জন্ম, হে বাংলাদেশ—
তোমার শিরায় শিরায় আজো আগুন, আজো বজ্র, আজো বিদ্রোহের শপথ।
তুমি নদীর মতো কোমল নও—
তুমি বজ্রপাতের সন্তান,
তুমি অগ্নিপাহাড়ের গর্জন,
তুমি রক্ত-ধারায় লিখে যাওয়া ইতিহাসের অমোঘ মহাধ্বনি!

যে দানবেরা একদিন চেয়েছিল তোমার কণ্ঠ ছিন্ন করতে,
ভাষা কেড়ে নিতে, স্বাধীনতা মুচড়ে ভেঙে ফেলতে—
তাদের অস্থিমজ্জা পর্যন্ত থরথর করে আজো
যখন শোনা যায়
বাঙালির বুকফাটা গর্জন— "স্বাধীনতা মানে অধিকার!"

লক্ষ শহীদের রক্ত—
এটা শুধু রঙ নয়, এটা তাণ্ডবের সংজ্ঞা!
লক্ষ মায়ের অশ্রু—
এটা শুধু ব্যথা নয়, এটা বিপ্লবের আগুন-ঘৃণা!
এই রক্তে, এই অশ্রুতে, এই আগুনে
বাংলাদেশের পতাকা শুধু উড়ে না—
পৃথিবীকে জ্বালিয়ে দিয়ে ওঠে দাঁড়ায় সত্যের মশাল হয়ে!

তবু দেখো—
জুলুম শেষ হয়নি, স্বাধীনতা পুরোপুরি আসেনি,
গণতন্ত্রের বুক চাপা পড়ে আছে অশুভ পায়ের তলায়।
দুর্নীতির পিচ্ছিল সাপেরা ছুটে বেড়ায় মন্ত্রীসভা থেকে মহল্লা পর্যন্ত,
সাম্প্রদায়িক বিষণ্ণতা ও উন্মাদনার দহন
মানুষকে ছিন্নভিন্ন করে,
প্রতিহিংসার কালো ছায়া দমবন্ধ করে
জনতার কণ্ঠকে।

কিন্তু—
এই মাটিতে দীর্ঘশ্বাস বেশিক্ষণ টিকে থাকে না।
এই মাটিতে কষ্ট জমে থাকলে
তার নিচে গোপনে জ্বলে আগুন—
এ আগুন পুড়লে শুধু গাছ নয়,
সিংহাসনও গলে যায়!!

হে বাংলাদেশ, তুমি নরম নও—
তুমি এমন গর্জন,
যার শব্দে পাহাড় থরথর করে,
নদী উন্মাদ হয়ে ওঠে,
আকাশ বিদ্যুৎ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভূমীর বুকে!

তোমার রক্তঝরা ইতিহাসে লেখা—
“অন্যায়কে ক্ষমা নয়, প্রতিরোধ!
জুলুমকে সহ্য নয়, বিদ্রোহ!”

আজো সেই রক্ত ঘুমায় না,
আজো সেই আগুন নেভে না—
শোষিতের বুকের নীরব ক্রোধ আজ এক অগ্নিঝড়,
যে ঝড়ে উড়ে যাবে
স্বৈরশাসনের শেষ চিহ্ন,
ধ্বংস হবে দুর্নীতির অট্টালিকা,
ভেঙে পড়বে প্রতিহিংসার খাঁচা,
সত্য দাঁড়াবে অগ্নিমূর্তি হয়ে!

এসো জনতা—
তোমার হাতই বিপ্লব, তোমার কণ্ঠই বজ্র,
তোমার রক্তই স্বাধীনতার শেষ ইশতেহার।
গর্জে ওঠো!
শুনিয়ে দাও পৃথিবীকে—

বাংলাদেশ কোনোদিন মাথা নোয়াবে না,
বাংলাদেশ কোনোদিন পরাজিত হবে না,
বাংলাদেশ জনতার—
এবং জনতার রক্তের আগুনেই নতুন স্বাধীনতা জন্ম নেবে!
---------------------------------------------------


২৫-১১-২০২৫

আর কত দূরে তুমি?

 আর কত দূরে তুমি?

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
***************************************
শুনো হে পৃথিবী—
এ শুধু প্রেম নয়,
এ আমার নিঃশ্বাসে লাগানো অগ্নি,
হৃদয়ের গভীরে গোপনে জ্বলা
অদেখা কোনো অনল।
শিরা-উপশিরায় তার ঢেউ,
রাত্রির নিস্তব্ধতায় বজ্রের মতো ধ্বনি—
আমি শুনি, কেউ শুনতে চায় না।
অস্থি-মজ্জায় এক ঝড়,
নিয়তির মতো নিরন্তর বয়ে যায়।
তবু সে অধরা—
হঠাৎ মনে হয় ঠিক পাশেই,
ঠিক চোখের কোণে,
ঠিক স্পর্শের দূরত্বে,
তবু ছুঁই ছুঁই ভেবে হাত বাড়ালে
মেঘের মতো মিলিয়ে যায়।
তুমি কে?
প্রশ্নটি আজো আমার বুকে ঝুলে আছে—
তালের পাতায় জমে থাকা শিশিরের মতো,
ঝরে পড়ে না, শুকিয়েও যায় না।
হৃদয়ের গভীর খাঁজে তুমি এক অনুভূতির লুকানো ব্যথা,
যা কেউ বোঝার চেষ্টা করল না কখনো।
এই শুন্যতা—
হাঁসফাঁস করা এক দূরত্ব,
যার রেখায় আমি প্রতিদিন হারাই।
তোমাকে দিয়েছিলাম এক স্বর্গীয় প্রেম,
জানতাম না, প্রেমও কখনো
এমন দীর্ঘ পথ ধরে হাঁটে।
বলো তো, আর কত দূরে তুমি?
আকাশের ওপাশে?
নাকি আমার ভেতরের কোনো অনাবিষ্কৃত গহিনে?
যেখানে শব্দ থেমে যায়,
কিন্তু তোমার নাম থামে না…
যদি জানতে,
এ হৃদয়ে আজও তুমি ঢেউ তোল,
তাহলে কি ফিরে আসতে?
নাকি দূরত্বই তোমার সত্যিকারের ঘর—
আর আমার প্রশ্নই শুধু
অসমাপ্ত কবিতার শেষ লাইন?
বলতো…
আর কত দূরে তুমি?
--------------------------------------------------
২৫-১১-২০২৫

অভিশপ্ত নেতা

 অভিশপ্ত নেতা

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
***************************************

দিকে দিকে ছায়া, শির উঁচু নেতার,
জনতার চোখে ভয়, হৃদয়ে অভিশাপের ঘা।
হাত গিলে লুট, ধ্বংসে ভরা চিত্ত,
মানবতার পথে তাদের অন্ধকারের ঘা।

মীরজাফর, মুনাফিক, বিশ্বাসঘাতকরা,
অভিশপ্ত কায়মান্দ—জনতার অভিশাপ ভারি।
সাম্প্রদায়িক, উগ্র, দেশদ্রোহী,
অর্থপাচারী, লুটেরাজ—সবই তাদের দারি।

ওরা স্বাধীনতার শত্রু, তাবেদার,
মববাদীর প্রশ্রয়, সন্ত্রাসে পূর্ণ।
জনতা চাপে, ঘুম ভেঙে,
আগুন জ্বালায়, হোক প্রলয়, হোক ঝড়পূর্ণ।

ধ্বংস হউক দুষ্টদের, কায়মান্দের দলে,
উঠুক জনতার প্রতিরোধের ঢেউ।
বিপ্লবের শঙ্খ বাজুক শহর-গঞ্জে,
অন্ধকার ছিন্ন হোক, আলো আসুক স্বপ্নে।

আজকের দুঃশাসকরা হোক ইতিহাসে,
জনতার অভিশাপ হোক প্রতিটি ধ্বনিতে।
বিদ্রোহের বাণী বয়ে উঠুক বাতাসে,
ভোরের আলো হোক দুষ্কৃতির শাস্তিতে।

মানবতার পথে জাগুক মুক্তির জোয়ার,
অভিশপ্ত নেতাদের প্রলয় হোক নিশ্চিত।
জনতার রক্তে লিখিত হোক নতুন অধ্যায়,
স্বাধীনতার পতাকা উড়ুক উঁচু আকাশে।
------------------------------------------------


২৫-১১-২০২৫

অমুসলিমদের প্রতি দায়িত্ব

 অমুসলিমদের প্রতি দায়িত্ব

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
**************************************

হে মুমিন! শান্তির দিকে জাগো, জাগো!
ইমানের নূর হাতে তুলে নাও—
অমুসলিমের হৃদয়ে রাখো মেহরবানী,
জোর নয়, জোর নয় কোনো অগ্রাসণে

ধর্মের বাঁধন ভেঙে দাও, ভেঙে দাও!
হুরমত রক্ষা করো—
প্রত্যেক প্রাণে ছড়াও আলোর নূর,
দাওয়াতের বাণী বাজাও, বাজাও!

অমুসলিমের পাশে দাঁড়াও, দাঁড়াও!
বিপদে সাহায্য বাড়াও—
হৃদয়ে বাজুক ইনসাফ,
অন্ধকার রাতও ভেঙে যায়!

উগ্রতার প্রাচীর ভাঙো, ভাঙো!
মাহববাতের সেতু বানাও—
সত্য, ন্যায়, ভদ্রতা,
আদাবের দীপ জ্বালাও!

শান্তির ডাক দাও, ডাক দাও!
শত্রু হলেও ইহসান দেখাও—
জীবন, ধর্ম, সম্পদ রক্ষা করো,
আল্লাহর নীতি বলাও!

ভুল বোঝাবুঝি, বিদ্বেষ মুছে দাও,
বন্ধুত্বের রাহ বানাও—
মুমিনের পরিচয় হলো
সৌহার্দ্য, ভদ্রতা, মানবিক দৃষ্টি ছড়াও!

হৃদয় খোলা রাখো, খোলা রাখো!
অমুসলিমের প্রতি দায়িত্ব মনে রাখো—
যেন আল্লাহর সন্তুষ্টি জাগে,
মানবতার জাহান উজ্জ্বল হয়!

ন্যায়, শান্তি, সহানুভূতি—এই তিন হাতে তুলে ধরো,
দায়িত্ব তোমার, দায়িত্ব আমার, সকলেরই, এ মানবতার পাঠশালা!


২৫-১১-২০২৫

ইসলামের আহবান

 ইসলামের আহবান

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর
***********************************

আকাশে ভেসে আসে রাব্বের বাণী,
হৃদয়ে ঝরে যায় নূরের জ্যোতি।
“ইলাল্লাহির পথে চল,” বলে কোরআনের ধ্বনি,
নির্দ্বিধায় হোক জীবন আমাদের পূর্ণ ইকবাল।

প্রতিটি শ্বাসে নামাজের সালাতের শান্তি,
মাসকিনের দিকে মেলে হৃদয়ের রাহমত।
“ইনসাফ করো, ফিকর ও কুরবানির পথে,”
সত্যের আলোয় হোক আমাদের ইকতিদার।

জিহাদ নয় রক্তের খেলা, নয় বদল বা প্রতিহিংসা,
এ যেন আত্মার ইতিমাদ, নেকীর খুশহালী।
সাদাকাহ মুছে দেয় দুঃখের ছায়া,
ভালবাসার আলো জ্বেলে অন্ধকারের ফিতনা।

রোজার ত্যাগে নীরব প্রশান্তি,
ধৈর্যের নিঃশ্বাসে জন্মায় সাবরের শক্তি।
“মানুষকে ভালোবাসো,” কোরআন বলে বারবার,
ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে বাঁধা হোক পৃথিবীর জাহান।

মুসলিম হৃদয়ে জেগে ওঠুক উম্মাহ’র আশা,
হাদিসের আলোয় দিশা হোক প্রতিটি বাশা।
ইসলামের আহবান, শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের গান,
চল পথে, চল নির্ভয়ে, আল্লাহর প্রিয়বান।

ইকবালের দীপ্তি, রাহমতের ছোঁয়া,
খুশহালী আর সাবর, হোক জীবনের কাব্যিক রোয়া।
সাদাকাহ দিয়ে মন হোক মুক্ত,
ফিতনার অন্ধকার কেটে হোক আলোর সূক্ত।
--------------------------------------------------------


২৫-১১-২০২৫

নগ্নতার আগুন

 নগ্নতার আগুন

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
***********************************

অভিশাপের পথে হেঁটে যাই, লাজ হারিয়ে আঁধারে,
নগ্নতা ডাকে শয়তানের ইশারায়।
হায়া হারালে রুহ হয় মরুভূমির শুকনো কুয়া,
জীবন শুকিয়ে যায় তৃষ্ণার্ত বালুতটে মুমিনের দয়া।
নগ্নতা—আগুন, পোড়ায় চরিত্রের সবুজ বন,
তার ধোঁয়া ঢেকে দেয় অন্তরের আকাশ, অন্ধ করে মন।

কোরআন বলে, “ফাহশা আনবে ফিতনা”—
অশ্লীলতার আগুন তুলে সে হারায় সাকিনা।
ওহে শুনো—নগ্নতা বিষধর সাপের মতো,
লাজের বাগান খেয়ে ফেলে এক রাতেই সব পাতাপ্রাপ।
মন হয় উলঙ্গ ইটের দেয়াল,
শয়তান আঁকে তার ওপর জালাল।

সত্যবাণী বলে—‘হায়া ইমানের শাখা’,
হায়াহীন হৃদয় হয় ছাইভস্মের রেখা।
ওহে শুনো—নগ্নতা বাতাসহীন জাহান্নামের ধোঁয়া,
প্রতিটি নিশ্বাসে মিশে দুঃখের ধূম্রবায়ু।
রুহানি আলো নিভে গেলে, মানুষ হয় শূন্য মরুভূমি,
সেখানে সুবহানাল্লাহর সুরও শোনা যায় ক্ষীণভূমি।

তাই লাজ-হায়াই হোক ঢাল, হোক ইমানের পর্দা,
হিজাব শুধু পোশাক নয়—জীবনের কুরআনি সুরাহ।
নগ্নতার পথে যে যায়, ভুলে যায় রবের নিয়ামত,
আলোর পথে ফিরলেই মেলে রহমতের বরকত।
------------------------------------------


২৫-১১-২০২৫

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি

 ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর
********************************************

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি—
যেন জাহান্নামের আগুনে খেলা,
হৃদয়ে নেই মহব্বত, নেই ইমানের নূর,
শুধু বাজে গুন্ডা–নফসের দোল।

“ওয়াত্তাসিমু বিহাবলিল্লাহ জয়‘আমানা ওলা তফরেক্কু”
মধ্যপথ ধরো, রাখো ধৈর্য, রাখো সহিষ্ণুতা,
আমরা ঢালি তাতে ফিতনা, শরারাত,
বাতাসে ভেসে ওঠে কিলকিল, চিৎকার, হাহাকার।

নবী বলেছেন— “আররিফক শুআ‘বাহ মিনিল ইমান”
সৌম্যতা হলো ইমানের চাবি,
কিন্তু আমরা বানাই দেখো, দেখাও,
অহংকারের খোরাক, রোষের বাজার।

ধর্মের আলো ছিল নূর,
নির্জন রাতে ভেসে ওঠা জালাল,
আমরা মিশাই তাতে হায়াতের ধোঁয়া,
পাথর দিয়ে ঢাকি আল্লাহর রহমত।

যে মানুষ চলে আখলাক আর তাকওয়া নিয়ে,
আমরা বলি— “না, এই রাস্তায় লাগবে কিলকিল।”
ফলে হারায় ইমানের নূর,
ভূলে যায় ইসলামির মূল রাহ,
শুধু থাকে ইবলিশের অহংকার।

চলো ফিরি সহজ পথে,
যেখানে রাহমত, মেহেরবানী,
হৃদয়ে জ্বলে ইমানের নূর,
কোনো হিংসা, ফিতনা, দুশ্চিন্তা নেই।

ধর্ম বাড়াবাড়ি চায় না,
ধর্ম চায় নূর, চায় সিয়ামের প্রশান্তি,
মানুষের মাঝে ছড়িয়ে মহব্বত,
এই ফল, এই হিকমত, এই বরকত।
---------------------------------------------------


২৫-১১-২০২৫

Monday, November 24, 2025

স্বদেশ প্রেম

 স্বদেশ প্রেম

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
***************************************

স্বদেশ প্রেম কেবল মাটির সঙ্গে বাঁধা নয়।
এ হৃদয়, এ প্রাণ, আলোর পথে ওঠা চোখের কথা।

যে দেশে মানুষ সত্যের পক্ষে দাঁড়ায়,
সেই দেশ আলোর ঘর, শান্ত হাওয়া বয়ে যায়।

কোরআন শিখায়—প্রত্যেক বস্তুর মধ্যে জীবন আছে।
যদি দেশকে ভালোবাসো, তার প্রতি দায়িত্ব থাকবে।

মাটি তোমার জন্মের, মানুষ তোমার আত্মার অংশ।
এগুলোকে সম্মান করো, লুটপাট নয়, ন্যায় রক্ষা করো।

প্রেম মানে গান নয়, পতাকা নয়,
প্রেম মানে চোখে চোখে সত্য দেখা,
হাতে হাতে কাজ করা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো।

যে জনতা এক হয়ে আলোর পথে চলে,
সেই দেশের জন্য আর কি চাই?
নিরাপদ জীবন, সততা, সহানুভূতি—
এটাই স্বদেশ প্রেম।

ছোট ছোট কাজের মধ্যে লুকানো এই প্রেম,
নিঃস্বার্থ দায়িত্বে, সত্যে, ন্যায়ে।
নিজেকে ভুলে দেশের কল্যাণে নিজেকে দিলে,
সেই প্রেম চিরন্তন, সেই প্রেম অমলিন।
------------------------------------------


২৪-১১-২০২৫

সংস্কৃতির গলা টিপে ধরেছে

 সংস্কৃতির গলা টিপে ধরেছে

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
****************************************

বুকের ওপর পা তুলে বসে অশুভের কাঁকড়া দল,
স্বাধীনতার বাতাস গিলে ফেলে ধোঁয়ার মতো সলসল;
মায়ের বুকে হামলে পড়ে সেই চেনা পুরোনো শকুন,
মুখে দুধ-সাদা বাণী, অন্তরে শুধু অন্ধকারের ধুন।

ইতিহাসের পাতাগুলো আজ কুঁচকে গেছে ভয়ে,
যেন কেউ লাল কালিতে লিখে দেয় অপমানেরই শোয়ে;
মুনাফিকেরা গলা পরিষ্কার করে ওঠে কূট-গলায়—
“সংস্কৃতি? ও তো পুরোনো জিনিস—রাখে কে আর খেয়াল বড়োই?”—বলে যায়।

বলেন দেখি, ভাটিয়ালির বাঁশি কি আজ জলে বাজে?
বাউলের কণ্ঠে লালনের ডাক কতটা পথেই সাজে?
নবান্নর ধান কি মেলে এখন বাজারের ভীড় ঠেলে?
নাকি রেডিমেড সভ্যতায় সব গন্ধ মরে গিয়ে ঢলে?

চৈত্রবরণের জয়ধ্বনি কি দাঁতে দাঁত চেপে হাঁফায়?
মঙ্গলযাত্রার রঙগুলো কি বিজ্ঞাপনের দেশে হারায়?
পৌষমেলার খোলা মাঠে আজ স্পিকারের ঝড়,
ছেলেটা গাইতে চাইল “ভ্রমর কইও”—মাইক চেঁচায়—“অর্ডার দে আরও জোর!”

গানের সুরে হারিয়ে যাওয়া করিম-হাসনের আর্তি,
চিত্রকরের রঙ শুকিয়ে যায় বাবুই পাখির স্মৃতি;
পালাগানে নৌকা ডোবে রাতের গভীর জলে—
দোষ কার? কেউ কি শুনবে?—সবাই ব্যস্ত নিজের চালে।

আর মীরজাফরেরা?
ওরা তো এখন ভদ্রলোক—ইউরোপীয় পারফিউম গায়ে,
পাতার আড়াল থেকে বলে, “সংস্কৃতি? সে তো গল্প, আজকাল কে আর চায়!”
কিন্তু তাদের চোখে লালচে নখ, পরাজয়েরই বংশধারা,
যে পতাকা একদিন হারিয়েছিল—আবার তুলে ধরতে চায় সারা।

তবুও—

জাগো জাগো হে বাঙালি,
এ মাটি তোমার, এ ভাষা তোমার, এ গন্ধেরই তুমি স্বজন;
সংস্কৃতি মানে পোশাক নয়—এ হল শিকড়, রক্তের সজল বন্ধন।
দাঁড়াও, বুক ঠুকে বলো—
যে দেশে নাচে বাউলসুর, ঢাক বাজে উৎসব-পথে,
সে দেশকে অশুভের হাতে তুলে দেওয়া লজ্জা—
আর লজ্জা সহ্য নয় তাতে।

জাগো, কারণ আলো অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে—
জেগে উঠলেই আবার বাঁচবে বাঙালির হাজার বছরের গৌরবময় দিগন্তে।
---------------------------------------------


২৪-১১-২০২৫

ইতিহাসে শকুনের চোখ

 ইতিহাসে শকুনের চোখ

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
*****************************************

ইতিহাসের মাথায় আজ শকুন বসে টুপি পরে,
যেন বিদ্বান–বাবু, চোখে তার গোল চশমা ঝরে।
পাতা উল্টায় গুরুগম্ভীর, মুখে হালকা বিরহ সুর,
বলতে থাকে—“এই দেশ তো ভুলেই চলে বছর–দু’চার দূর!”

যে রক্ত দিয়ে লেখা হলো ভাষার প্রথম দৃপ্ত নাম,
শকুন বলে—“তা ভালো, তবে একটু সংশোধন করা থাম!”
মুক্তিযুদ্ধের পাতায় গিয়ে খুঁজে আনে অন্য পথ,
“এটা নাকি অতিরঞ্জন!”—মনে মনে হাসে ফোঁস–ফোঁস শ্বস।

বইয়ের ভেতর ফেলে রাখে বাকা অক্ষর, হালকা জ্বালা,
কথা বদলে দেশে বানায় নতুন কিছু “আধুনিক” কাণ্ডকারখানা।
শহীদের ছবি ঘেঁটে দেখে—“এ তো খুবই দার্শনিক!”,
তারপর নিচে লেখে দেয়—“উনি তো ছিলেন নিয়মিত সন্দেহভাজন লোক!”

রাজাকারকে বানায় সাধু—“বেশ ভালো মানুষ ছিলেন, শুনেছি”,
যে অপরাধ দিনের মতো স্পষ্ট—তা হয় “তথ্য ভুল, দুঃখিত।”
বীরের গায়ে কালো কালি মেখে বলে—“এটা গবেষণা, বোঝো কি?”,
যে গবেষণা শুনলে সাধারণ মানুষ হাসে—“এ আবার কি বুদ্ধি!”

জাতির স্মৃতি নিয়ে এমন খেলা—এ যেন শিশুর লুডো–খেলা,
সত্যকে রেখে কোণে, মিথ্যার গায়ে মেখে দেয় মধুর মেলা।
প্রজন্ম যদি জিজ্ঞেস করে—“সত্য কোনটি? কে বুঝিয়ে দেবে?”
শকুন হাসে ঝুপঝুপ করে—“সত্য তো অনেক, বাছা! কোনটা নেবে?”

কিন্তু সত্যেরও থাকে জেদ—বালুচরে লুকোয় না সে,
একদিন হাওয়ার সাথে উঠে দাঁড়ায় দৃপ্ত, নতুন বেশে।
মিথ্যার মুখোশ খুলে পড়ে—ধপাস ছিটকে দূর–কোনে,
ইতিহাস তখন বলে উঠে—“চেনা চেহারা ফিরিয়ে দে, সোনা!”

শকুনেরা যতই নখ বসাক—আলোর পথে ফেরে দিন,
কলম যখন জ্বলে ওঠে, মুছে যায় সমস্ত মিথ্যাচার–চিন।
বেঁচে থাকবে সত্যই শুধু—রবে চিরকাল অমলিন,
ইতিহাসের চোখে তখন দেবে আলো নতুন প্রজন্ম–বীণ।
------------------------------------------------------

ইবলিশের পরিচয়

 ইবলিশের পরিচয়

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
****************************************
 ইবলিশ সেই শত্রু, আঁধারের স্বামী,
হৃদয়ে ফোঁটাই ভয়, ভ্রান্তির তামী।

আল্লাহর নাফরমানীতে আমার গর্ব ফুঁটেছে,
অহংকারে মোড়া, অগ্নি শিখা জ্বলে উঠেছে।

সাজাই মিথ্যার বেণী, ছড়াই প্রলোভনের দ্যুতি,
মানুষের পথকে বাঁধি, দিই ভুলের ভয়ঙ্কর গতি।

সৎমনের মন দহন করি, কালে-কালে,
ধোঁকার ছলেই বোনা আমার কল্পনার জালে।

কোরআন বলে, “মানুষকে প্রলুব্ধ করব আমি,
সন্তদের পথ থেকে সরাব নানাভাবে ছলচাতুরী।“

অহংকারে ভরা, আমি সেই দুষ্ট আত্মা,
সত্যের আলোতে আঁধার, নক্ষত্রহীন খাতা।

বন্ধুর মুখে আসি, শত্রুর ছদ্মবেশে,
ভালোবাসার মুখোশে ছড়াই মিথ্যার বেণী বেসে।

যারা আল্লাহর হুকুম ভঙ্গ করে, আমি তাদের পাশে,
পথভ্রষ্ট করি, মিথ্যার ছলছলে, নিঃশেষ করি আশা।

বিপথে ডাকি, প্রলোভনে বাঁধি, ভ্রান্ত করি মন,
সতর্ক হও! কোরআন বলেছে, “এ সে ধোঁকার জন।”

সাধুদের কাছে অদৃশ্য, প্রভাবশালী আমার দ্যুতি,
সচেতন হৃদয়েই হারাই, ভ্রান্তির জালে বাঁধি সব ব্যক্তি।

সত্যের আলো মেনে চল, আল্লাহর পথে দৃঢ় হও,
ইবলিশের চক্রান্ত থামবে, হবে জ্ঞানের জয়ই চিরযৌ।
---------------------------------------


২৪-১১-২০২৫

তাকওয়ার পথে

 তাকওয়ার পথে

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
****************************************************

তাকওয়ার পথে চল, হৃদয় ভরে আলোর মেলা,
নামাজে, রোজায়, করুণা প্রভুর দেখা।
ইমানের দীপ জ্বালাও, অন্ধকার সব ভাঙাও,
হে বন্ধু, আল্লাহর পথে চলো, জীবনকে আলোকিত করো।

হে প্রাণ, আল্লাহর পথে উঠো,
সত্যের দীপ জ্বালাও, পথ অন্ধকার ছুঁড়ো।

নামাজে ভরে যায় মন, রোজার ত্যাগে স্নিগ্ধ প্রাণ,
ইমানের আলোয় জ্বলে হৃদয়, অশান্তি যেন দূরিত প্রাণ।

তাকওয়া শুধু মুখের সাজ নয়, হৃদয়ে যে আলো জ্বলে,
ভয় তুচ্ছ, ন্যায় পথে চলো, পথ দেখায় প্রভুর মিলে।


তাকওয়ার পথে চল, হৃদয় ভরে আলোর মেলা,
নামাজে, রোজায়, করুণা প্রভুর দেখা।
ইমানের দীপ জ্বালাও, অন্ধকার সব ভাঙাও,
হে বন্ধু, আল্লাহর পথে চলো, জীবনকে আলোকিত করো।

নিসফারদে সহায়তা দাও, দুঃখীকে শান্তি দাও,
রিযিক ভাগ করে দাও, প্রভুর দয়া যেন সবখানে ছাও।

সত্যের পথে অদম্য হও, ধৈর্য্যশীল ও স্থির হও,
প্রভুর নাম স্মরণে রাখো, জীবন ভরে যাবে আলোকিত।

হে বন্ধু, আল্লাহর ভয়ে চলো, পাপের পথ ত্যাগ করো,
হৃদয়ের গভীরে ভর করো ভালোবাসা, অন্যায় দূরে সরো।

তাকওয়ার পথে চল, হৃদয় ভরে আলোর মেলা,
নামাজে, রোজায়, করুণা প্রভুর দেখা।
ইমানের দীপ জ্বালাও, অন্ধকার সব ভাঙাও,
হে বন্ধু, আল্লাহর পথে চলো, জীবনকে আলোকিত করো।

তাকওয়ার আলো জ্বালাও, নামাজে হৃদয় ভাসাও,
রোজার ত্যাগে হৃদয় ধুয়ে, অমল জীবনের পথ সাজাও।

প্রভুর স্মরণে শান্তি, ভরিয়ে রাখো জীবনের পাথ,
তাকওয়ার পথে চললে চির জয় হবে, অন্ধকারও হোক নিস্তব্ধ নিভৃন্ত।

তাকওয়ার পথে চল, হৃদয় ভরে আলোর মেলা,
নামাজে, রোজায়, করুণা প্রভুর দেখা।
ইমানের দীপ জ্বালাও, অন্ধকার সব ভাঙাও,
হে বন্ধু, আল্লাহর পথে চলো, জীবনকে আলোকিত করো।
------------------------------------------------


২৪-১১-২০২৫

মিথ্যা সাক্ষ্য

 মিথ্যা সাক্ষ্য

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
কাপাসিয়া,গাজীপুর
****************************************

হে মানব! শোনো অন্তরের নীরব সুর,
মিথ্যার ছায়ায় হারিও না কখনো।
সত্যের পথে ধীর, দৃঢ় পদচারণা,
এ পথেই শান্তি, এ পথেই চিরন্তন আলো।

যে জবান মিথ্যা বলে, সে নিজে দগ্ধ হয়,
অন্যায়ের অশ্রু তারই ছায়া হয়।
হৃদয় খোলো, সত্যের বাণী শোনো,
মিথ্যার আঁচল ছিঁড়ে নাও, ন্যায়ের পথে দাঁড়াও।

মিথ্যা জবান শয়তানের ফিসফিসানি,
অন্যায়ের পথ খোলে অন্ধকারে।
যে সাক্ষী মিথ্যা বলে, সে আগুন হাতে ধরে,
কিয়ামতের ময়দানে লজ্জায় দগ্ধ হয়।

সত্যের কথা—মধুর, গভীর, শান্তির সুর,
মিথ্যার কথা—শূন্য, অন্ধকার, ধ্বংসের দোলা।
হৃদয়ে লিখো সত্য, পাতায় ফুটুক ন্যায়ের আলো,
মিথ্যার ছোঁয়া দূরে করো, উঁচু করো পতাকা।

উঠো! শোনো সত্যের নীরব গান,
যেখানে সত্য আছে, সেখানে হার মানে না কেউ।
মিথ্যার ছায়া উড়ে যাবে,
ন্যায়ের দীপ জ্বলে চিরন্তন আলোয় হৃদয় আলোকিত হবে।

হে মানব! জবান শুদ্ধ করো, কলম শুদ্ধ করো,
সত্য বলো—নির্ভীক, দৃঢ়, অন্তরে আলো জ্বালো।
সত্যের পথে উঁচু দাঁড়াও,
এ পথেই মুক্তি, এ পথেই আলোর সহযাত্রী হবে।
---------------------------------------------------


২৪-১১-২০২৫

কোন চেতনায় ছুটেছি?

 কোন চেতনায় ছুটেছি?

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
******************************************

হে জাতি! প্রশ্ন করি— কোন চেতনায় ছুটছ আজ?
রক্তে লেখা স্বাধীনতার পথ কি হলো বেদনার সাজ?
কোথায় সেই বজ্র-বীর্য, সেই অহংকার, সেই দীপ্ত শপথ—
যার অনলে দগ্ধ হয়ে ছারখার হয়েছিলো শত্রুর রথ?

পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে আমরা যারা হয়েছি মুক্ত,
আজ কি তাদেরই সন্তান হয়ে গেছি স্বার্থলোভে আবদ্ধ?
স্বাধীনতা কি শুধু কাগুজে শব্দ—হয়ে গেছে ক্ষয়ে?
নাকি ক্ষমতার নেশায় জাতি হারাচ্ছে মূল চেতনার স্রোতে ভেসে?

হায়! আজ দেখি দুঃসহ দৃশ্য—
ওরা কারা? যারা শ্রেষ্ঠ সন্তানদের দেয় জুতার মালা!
মুক্তিযোদ্ধার বুকে দেয় অপমানের দাহ,
স্মৃতিসৌধ ভাঙে, মিনারে আঘাত হানে,
জাতীয় সংগীতের সুরে তোলে বিষাক্ত দৃষ্টি—
বাঙালির সংস্কৃতি মুছতে চায়,
শত্রুর মতো ছুঁড়ে ফেলে স্বাধীনতার ইশতেহার!

ওরা কোন মীর জাফর? কোন বিশ্বাসঘাতের বংশধর?
যাদের বুকে মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনলেই জ্বলতে থাকে ঘৃণার ঘোর?
জাতি কি এখনো তাদের চেনে না?
চেনে না সেই বিষাক্ত মুখ—
যারা মাঝে মাঝে বন্ধু সাজে,
আর পেছন থেকে ছুরি মারে শিকড়ে, শেকড়ে, ইতিহাসে?

হে জাতি! শুনো—
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ফলক যারা ভাঙে,
স্বাধীনতার মানচিত্র যারা মুছে দিতে চায়,
তারা স্বাধীনতার বন্ধু নয়—
তারা জাতির ভবিষ্যৎ শত্রু!

জাগো বাঙালি! আবারও জাগো—
রক্তে পাওয়া স্বাধীনতা আজ নিরাপদের প্রশ্নে!
এ প্রজন্ম কি রাখবে তার দায়িত্ব?
নাকি লোভ-অভ্যাসে হারাবে জাতির আত্মার দীক্ষা?

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ অবক্ষয়ে—
এই অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে চাই বজ্র-বিক্রমে দাঁড়ানো,
চাই অগ্নি-জাগরণ, চাই শপথের তলোয়ার—
যে শপথে বলবে জাতি—
“স্বাধীনতা হারাবো না!
দেশের মান লুটতে দেবো না!
শহীদের রক্ত অশ্রদ্ধা করতে দেবো না!”

চলো জাগি আবার—
নজরুলের অগ্নিশিখা বুকে ধরে,
স্বাধীনতার রক্তলেখার শপথ নিয়ে—
চলো দাঁড়াই সেইসব বিশ্বাসঘাতের বিরুদ্ধে
যারা আজও ইতিহাসে বিষ ঢালে!

চলো জাতি!
এই প্রশ্নের উত্তর দেই—
আমরা স্বাধীনতার যোগ্য কি না!
চলো প্রমাণ করি—
এই দেশ, এই মান, এই স্মৃতি—
আমরাই রক্ষা করবো!

জাগো বাঙালি—
মুক্তির চেতনায় আগুন জ্বালো—
আজও যুদ্ধ, আজও সংগ্রাম—
স্বাধীনতার মান রক্ষারই পরাক্রম-ঘোষণা!
------------------------------------------------------


২৪-১১-২০২৫

Sunday, November 23, 2025

কে নিরপেক্ষ?

 কে নিরপেক্ষ?

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
********************************************

বলতো কে নিরপেক্ষ?
ছাত্র জনতা! শিক্ষক! অধ্যাপক!
ডাক্তার! উকিল! ব্যারিস্টা! সাংবাদিক!
সরকারি! বেসরকারি! চাকুজীবি!
বণিক! শিল্পী! কলাকুশলী! আম জনতা!
সবাই চাটুকার! সবাই দলে বাঁধা!

হা—সত্য কোথায়?
হা—দেশ প্রেম কোথায়?
মুখে হাসি! চোখে মায়া!
অন্তরে শূন্যতা! হৃদয়ে আগুন!

পত্রিকার পাতা রঙিন মিথ্যে!
রাস্তায় ঝাঁপ দেয় লোভের ঢেউ!
শিক্ষক শেখায় নিজের দলের খেলা!
ছাত্র শিখে চাটুকারীর গান!

হে জনতা! চোখ খুলে দেখো!
দলে বাঁধা সব চিঠি! সব চাটুকার!
সত্যের মুখ চেপে যায়!
মিথ্যার রাজ্যে মরিছে নিরপেক্ষতার সোহাগ!

হৃদয়ের বালিয়াড়ি কাঁপে!
দেশের শিহরণে ঝরে ব্যথার জলধারা!
কেউ বলে না—“প্রাণপ্রিয় দেশ!”
কেউ করে না—সৎ প্রেমের শপথ!

বলতো কে নিরপেক্ষ?
এই শূন্য দেশে!
যেখানে শাসক-শিশুর হাসি এক!
মিথ্যা-সত্যের লড়াই রক্তঝরা!
সবাই বন্দী! সবাই দলে বাঁধা!
সবাই চাটুকার! কেউ স্বাধীন নয়!
----------------------------------------------


২৩-১১-২০২৫

সাংবাদিক যখন রাজনৈতিক চাটুকার

 সাংবাদিক যখন রাজনৈতিক চাটুকার

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
********************************************

হে সংবাদিক! কোথায় হারালে তুমি স্বাধীন দৃষ্টি,
যেখানে জনমানুষের কান্না, সেখানে আর নেই তৃষ্ণা?
কলমে আগুন, কথায় বিদ্রোহ—আজ ধোঁয়া কুয়াশার চাদরে মিশে,
রাজনীতির কণ্ঠে বাঁধা, চাটুকারির রঙে রঙিন হয়ে।

শহর-গ্রামের প্রতিটি কোণে,
তোমার পায়ের ছাপ মুছে গেছে ভয়ানক চাপে,
শব্দগুলো সাজানো, সত্যের ছায়া হারালো,
রাজনীতির প্রশংসায় কলম নাচে, জনগণের চিৎকার মুছে যায়।

একদিন তুমি বাজিয়েছিলে স্বাধীনতার শঙ্খ,
আজ সেই শঙ্খ নিঃশব্দ, চাপে বাঁধা,
মিথ্যার নাচনায় কলম ঢেলে,
সত্যের আলো অন্ধকারে হেরেছে, নিঃশব্দে।

কিন্তু মনে রেখো—জনগণ তোমার চোখে তাকায়,
শুধু খবর নয়, তারা খোঁজে স্বপ্নের আলো,
চাটুকারির সিংহাসন যত উঁচু,
সত্যের কণ্ঠ চিরজাগ্রত, অদম্য, অবিচল।

সাংবাদিক! চাও কি চিরকাল চুপ থাকা?
কিম্বা আবার বাজাও কলমে বিদ্রোহের শঙ্খনাদ,
যেন নদীর মতো নির্ভীক জল বয়ে যায়,
চাটুকারির কালি কখনো তোমার পথ বন্ধ করতে পারবে না।
------------------------------------------------


২৩-১১-২০২৫

নেতা সে বুক উঁচিয়ে

 নেতা সে বুক উঁচিয়ে

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর
************************************

যদি হও তুমি সাহসী, কেন পিছু তাকাও হে!
চিতা কভূ নয়, পিছু তাকায় শিকারী ধরার প্রত্যয়ে।

জেতে হবে সম্মুখে, শত বঞ্চিতের স্বপ্ন ধরায়,
তুলতে বিজয়ী নিশানা, পর্বতের চূড়ায় উড়ায়!

মাসুম সরকার—নেতা সে বুক উঁচিয়ে,
বলবে জনতার কথা, দুঃখী মানুষের কাহিনী,
সত্য ও ন্যায়ের ঝর্ণা বইবে তার অন্তরে।

সে দাঁড়ায় অন্ধকারের বিপদে,
মাদক, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, অস্রবাজির ধ্বংসগতি!
খুন, গুম, ধর্ষণ, দখলবাজির নিকষ ছায়া—
তার সাহসে ভেঙে যায়, চূর্ণ হয় প্রতিটি দুষ্টাচার।

কিসের হিমেল, কিসের তপ্ত—সবই যেন সিগ্ধময়,
প্রতিটি পদক্ষেপে তার ঝড়ে উড়ে যায় মিথ্যার বর্জ্য।

সে কভূ হয় না নত শির,
দুর্গমগিরি, কান্তার মরুর মাঝি।
লঙ্গিতে জানে উত্তাল সমুদ্র, অন্ধকার রাত,
তবুও ভয় নয়—তার বুক উঁচিয়ে, জনতার আশা ঝলমল।

মাসুম সরকার—যিনি শোনেন চিৎকার, কান্না, করুণার শব্দ,
দান করেন সাহস, জ্ঞানের আলো, ও ন্যায়ের পথে নেতৃত্ব।

শ্রদ্ধা তার প্রতিটি নিঃশ্বাসে,
প্রতিটি পদক্ষেপে লুকিয়ে আছে সত্য ও ন্যায়,
এক অমর প্রতীক—বুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে,
অন্ধকারের সব শক্তি চূর্ণ করে,
জনতার স্বাধীনতার দীপ জ্বালিয়ে।

শ্বাসে শ্বাসে বয়ে চলে জনতার স্বপ্ন,
চোখে চোখে জমে থাকে নিঃসঙ্গদের আশা।
মাসুম সরকার—নেতা সে বুক উঁচিয়ে,
দৃঢ় চেতনায় জাগ্রত,
যেন প্রতিটি বাঁধা ভেঙে, স্বাধীনতার গান গায়!
----------------------------------------------


২৩-১১-২০২৫

আবেগের উত্তেজনায়

 আবেগের উত্তেজনায়

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
*****************************************

আবেগের উত্তেজনায় মানুষ ভেসে যায়—
অচেনা নদীর ঢেউয়ের মতো নিঃশব্দে,
রাতের আকাশে ছড়িয়ে অজানা শ্বাস।

মিছিলে মিছিলে ছুটছে তারা,
নেতার পিছু, বাতাসে মিশে যায় শূন্যতা,
সন্তান-স্ত্রী-পিতার মুখ দূরের আলো হয়ে জ্বলছে স্মৃতিতে।

দলের স্লোগান—
মন্ত্রমুগ্ধ শব্দের মতো
বুকের ভেতর গেঁথে রাখে মানুষকে,
কিন্তু ফেলে দেয় মরুভূমির মতো জীবন।

কত তরুণ হারায় পথের ধুলোয়,
কত জীবন নিভে যায় রক্তে ভিজে থাকা শহরের ছায়ায়,
কেউ চাঁদাবাজির গলিতে,
কেউ সন্ত্রাসের অরণ্যে,
মিথ্যার কুহেলি ঢেকে দেয় সত্যের আলো।

উত্তেজনার আগুন—
দেশকে শীতল বিষে ঢেকে দেয়,
গুম-হত্যার কালো রাত্রি জন্ম দেয় নিস্তব্ধ অগ্নির।

হে পথহারা কর্মী,
এ কি তোমার জীবন?
অন্ধ আবেগের ভাঙা নৌকায় ভেসে যাওয়া?
সন্তান-স্ত্রী-পিতার চোখ অচেনা হয়ে গেছে কি?

শোনো—
নীরবতার ভেতর রয়েছে পথ,
মানুষ হয়ে থাকার একমাত্র দায়—
আলো খুঁজে নেওয়া নিজের অন্তর থেকে।

অবশেষে, দেশের জন্য দাঁড়ানো—
হল নীরব, চুপচাপ,
কিন্তু চিরন্তন।

যে আলো জ্বেলে,
সেই বোধের দীপ
পাথরের মতো নিস্তব্ধ,
মানুষকে আবার তার মানুষি স্মরণ করায়।
---------------------------------------------------


২৩-১১-২০২৫

ভোটার যদি অন্ধসমর্থক হয়

 ভোটার যদি অন্ধসমর্থক হয়

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
*****************************************

ওহে ভোটারগণ, শোনো আজ জাগরণের ডাক—
তোমরা যদি অন্ধসমর্থক হও, হারাবে জাতির স্বপ্নের ফাঁক।
একটি ভোট শুধু কাগজ নয়,
এ এক জাতির প্রভাত-সূর্য, নতুন দিনের অগ্নিমন্ত্র হৃদয়ময়।

সে সূর্য যদি সোনালী আলোয় না জ্বলে,
দিবস ডুবে যাবে অন্ধকার অনলে।
অযোগ্য নেতার ছায়ায় দেশ হবে ক্ষত-বিক্ষত—
উঠবে দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, দখলবাজের দুষ্ট শক্ত।

সন্ত্রাসী, সেন্ডিকেট, গুমহত্যা— যাবে ছড়ায়ে,
দেশবিরোধী ছায়া পড়বে এ প্রিয় মাতৃভূমির গায়ে।
সত্যকে গলা টিপে মারবে অপশক্তি,
অন্যায় হবে রাজা, নিপীড়ন হবে নিত্য দিনের বৃত্তি।

তাই দলকানা নয়— বিবেক হোক তোমার পথের প্রদীপ,
যে প্রার্থী ন্যায়বোধে দৃঢ়, তার হাতেই দাও আমানতের সঠিক নসীব।
কারণ ভোটারের সিদ্ধান্তেই জাতি গড়ে, জাতি ধ্বসে,
একটি ভুলেই প্রজন্ম হারায়, ভুলের বোঝা বয়ে চলে বসে।

ওহে ভোটারগণ, জাগো!
জাতির জন্য ভোট দাও, দুর্নীতিবাজের জন্য নয়—
আবেগ নয়, বিবেক হোক তোমার হাতিয়ার,
তোমার ভোটেই বদলাবে দেশ, উঠবে নতুন ভোর এবার।
-------------------------------------------------


২৩-১১-২০২৫

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

 মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
*******************************

হে স্বাধীনতার দীপ্ত জ্যোতি—
তুমি চির অবিনশ্বর, অমলিন আগুনের আলো!
তোমার হাত ধরেই জাগে বাংলার প্রাণ,
গর্জে ওঠে লাল-সবুজের বিজয়ের কালো।

কে রুখিবে তোমার পথ?
এই মাটিতে শহীদের রক্তের নীলাম্বরী শপথ—
যাকে ছাড়া স্বাধীনতার অস্তিত্ব কল্পনাই করি না,
তিনি বাঙ্গালির বুকের কম্পন, মুক্ত আকাশের প্রার্থনা।

যে রাতে ছিলো শৃঙ্খলের ছায়া,
সে রাত চূর্ণ করে ভোরের আলোয় উঠে দাঁড়ায় মায়ের মাইয়া ছায়া!
দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধারা, স্যালুট তোমাদের—
তোমাদের রক্তে লেখা হয়েছে বাংলার আকাশ ডানার।

লক্ষ শহীদের আত্মবলিদান—
আমাদের পতাকায় জ্বলে জীবন্ত জ্বালান,
লাল-সবুজের প্রতিটি বিন্দু আজও বলে,
“স্বাধীনতার দাম স্বাধীন রক্তেই চলে!”

যারা এ চেতনাকে অস্বীকার করে,
তারা নহে কখনো স্বাধীন বাংলার প্রতিনিধি রে—
তাদের নয় মুক্তির গান, নয় বিজয়ের ধ্বনি,
বাংলার মানচিত্রে তাদের নেই কোনো পরিচয় ধ্বনি।

আমার সোনার বাংলা—
তুমি আমাদের প্রাণের স্পন্দন, হাজার বছরের শেকড়!
তোমার বুকেই জন্ম নেয় আমার প্রতিবাদ, আমার বিদ্রোহের মেকড়।
নজরুলের ঢঙে আজ বলি—

জেগে উঠো হে বাঙালি!
দাবায়ে রাখতে পারে নি, পারিবে নাকো কোনোদিনই—
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের বজ্র-শপথ,
এই মাটিই আমাদের পথ, রক্তে রাঙা শৌর্যের রথ।

যতদিন গাইবে বাংলার সন্তান—
"আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি”—
ততদিন মুক্তির আগুন নিভিবে না,
ততদিন বাঙালি থাকবে বিজয়ের আলোকধারায় হাসি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা—
চির অমর, চির বিপ্লব, চির স্বাধীনতার ভাষা!


২৩-১১-২০২৫

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

 মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
*******************************************

হে অগ্নিজ্যোতি! হে স্বাধীনতার শিখা!
তোমার চেতনায় কাঁপে পদ্মা, গর্জে আকাশ—
লাল-সবুজে আঁকা মুক্তির রথ,
শহীদদের রক্তে লেখা বিজয়ের ভাষা!

দেখো! হাতে পিস্তল, বুকের ভিতর তুফান,
বীরেরা দাঁড়ায়—শপথে লেখা চির অমর গান।
যে স্বপ্নে তারা জাগে,
যে রাত শৃঙ্খল ভেঙে দেয়,
তার প্রতিটি ধ্বনি আজও বাজে আকাশে!

হাজার প্রাণের আত্মত্যাগ—
লাল রঙের প্রতিটি বিন্দুতে বিজয় স্পন্দিত,
সবুজে ভরা মাঠে বাজে শহীদদের চিত্কার,
মুক্ত বাংলার মর্যাদা গর্জন করে,
বিপ্লবের শ্লোগান বয়ে চলে নদী, পাহাড়, আকাশ!

হে বাঙালি! জাগো—
এখনই সময় আত্মসমর্পণের নয়!
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তোমার হাতের তরোয়াল,
শব্দে, পদে, রক্তে বাজুক বিপ্লবের গান!

যারা আমাদের চেতনাকে মুছে দিতে চায়,
তাদের পথ বন্ধ করো—
লাল-সবুজের পতাকায় জ্বলুক প্রতিটি বিন্দু,
শহীদদের আত্মার স্পন্দনে বেঁচে থাকুক চির অমলিন মর্যাদা!

আমার সোনার বাংলা—
তুমি শুধু মাটি নয়,
তুমি বিদ্রোহ, তুমি মুক্তি, তুমি চিরন্তন অহংকার।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চিরজাগ্রত, চির বিপ্লবী,
চির স্বাধীনতার অমোঘ প্রতীক!

জেগে উঠো হে বাঙালি!
লাল-সবুজে বাজুক বিজয়ের গর্জন—
এই মাটি আর মুক্তির সঙ্গী হোক চিরকাল!
------------------------------------------


২৩-১১-২০২৫

ভোটের গুরুত্ব

 ভোটের গুরুত্ব

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
************************************
জাগো হে স্বাধীন জনতা! তোলে আওয়াজ শঙ্খধ্বনি,
ভোটের অধিকারে জ্বলে উঠুক মুক্তির দীপের জ্বানি।
শৃঙ্খল ভাঙার গান যে গাইলে বহুদিন ধরে,
আজ সেই শক্তি তোমার হাতে—ভোটের কাগজ ঘরে ঘরে!

গণতন্ত্রের বুকে লেখা— “মানুষই সবার রাজা”,
জনতার শক্তি ছাড়া কোনো সিংহাসন নয় তাজা!
একটি ভোট—তরবারি যেন, অত্যাচারীর বুকে লাজ,
একটি ভোট—আলোর মশাল, অন্ধকারে আনে সাজ।

হে দুর্জয় নাগরিক! তোর ভোটেই বদলায় দেশ,
মিথ্যার মুখোশ খুলে ফেলে সত্যের বজ্র-উপদেশ।
যে করে অন্যায় দম্ভে—তাকে ভাঙার তোরই ডালি,
ভোটের চিহ্নে রেখে যা দাগ, আধিপত্য সব হয় খালি।

নাই ভয়ে, নাই বাধায়—ভোটাধিকার তোর রণজয়,
এ অধিকার রক্ষা করতে জীবন দিলো কত সহস্র!!
আজ তোর হাতে সে তপস্যা—বুকে রাখিস অমূল্য স্নেহে,
ভোটের মেঘে জাগুক গর্জন, বজ্রের মতো মহাস্মেহে।

যে ভোট দেয় না, সে নীরবে দেশের প্রতি করে অপরাধ,
নাই দায়িত্ব, নাই জাগরণ—বুঝে না স্বাধীনতার সাধ।
তাই বলি—জাগো রে শোনো! ওঠো রে সত্যের দুয়ারে—
ভোট দাও নৈতিকতায়, আনো নতুন ভোরের পাঁয়োনারে।

গর্জে উঠুক মানুষের কণ্ঠ—
“হক আমার! অধিকার আমার!”
ভোটের শক্তি আসমানে তোলে
দেশের গৌরব, ভবিষ্যৎ সুন্দর।

হে জনতা! ভোটই তোমার বজ্র, তোমার তূর্য, তোমার জয়—
ভোট দাও ন্যায়-শান্তিতে, গণতন্ত্র হবে অমর-অজেয়!
-----------------------------------------


২৩-১১-২০২৫

সৎ স্বামী সদা কিপটা

 সৎ স্বামী সদা কিপটা

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
**********************************************

সৎ স্বামী সদা কিপটা! হায়, কত করুণ ব্যথা তার মনে!
চোখে অশ্রু ঝরে নদীর মতো, ভাঙে হৃদয় তার ঘরে।

“তুমি কি কচুটা করেছো?”—শোনে প্রতিদিন অভিযোগের তীর,
না আছে বাড়ী, না আছে গাড়ী, নেই ধন-সম্পদের কিছুই পরী।

চাকরি করে সে, পিয়নও ব্যস্ত, ঘরে আনন্দ কোথায় আসে?
দেখে তারা খুশি, হাসে—কিন্তু তার ঘরে নিঃশব্দ অশ্রুস্রোত বাজে।

নিজের জন্য কিছু নেই, পরিবারের জন্যও নেই তো প্রলয়,
বললে “টাকা নেই”—হৃদয় ভাঙে, অশ্রু ঝরে অমল ধোয়ার মতো।

সন্তানের চাহিদা অমেটা, ঝগড়া ঘরে দহন করে প্রতিদিন,
সৎ স্বামী সদা কিপটা, নিঃশব্দ, চোখে অশ্রু, মুখে অদৃশ্য অগ্নিপিন।

সুদ, ঘুষ, উপরি টাকা—কিছুই খায় না সে,
লুটপাট, দুর্ণীতি—জগৎ তার কাছে নিষ্ঠুর খেলা মাত্র।

(পল্লব – গভীর নাট্য আবহ)
নিরবে কাঁদে সে, ঘরের কোণে অশ্রুমালা ঝরে,
মর্যাদা হারানো অবিভাবক, সংসারের ছায়া ঘিরে।

সন্তানের হাসি অম্লান, স্বপ্ন ভাঙে ধূলিমাখা পথে,
তার চোখে শুধু করুণার ছায়া, মন ভেসে যায় নিঃস্বার্থ তীরে।

প্রতিদিনের ক্ষুধা, অভাবের আগুনে পুড়ে যায় দেহ,
কিন্তু সে নিরবে সহ্য করে, হৃদয়ে আঁকা শুধু করুণার রেখা।

ঘরের দেয়ালও শোনে সব, কষ্টের হাহাকার বয়ে যায়,
অশ্রুমালা মুছে না কেউ, প্রতিটি আঘাত তার মনে দগ্ধ ছায়া।

সৎ স্বামী সদা কিপটা, জীবন বয়ে চলে ধীরে,
প্রতিটি অশ্রু—তার জীবনের একেকটি নীরব দুঃখচিহ্নেরে।

হে পৃথিবী, দেখো তার করুণা, নিস্পৃহতায় ভরা হৃদয়,
যেখানে অর্থ নেই, মর্যাদা নেই, শুধু মানবিক দুঃখের অমল আলোয়।
------------------------------------------


২৩-১১-২০২৫

যিলযাল

 যিলযাল

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
**************************************

হে মানব, শোনো ইয়িলযিল’এর হাহাকার,
পাহাড় ভেঙে, নদী ছুটে যায়, বাতাসে বজ্রের গর্জন আকার।
আল্লাহু আকবার, কেঁপে ওঠে দুনিয়ার সব তল,
ভয় নয়, শিক্ষা নয়, ইমান’ই জাগায় প্রাণের কল।

ধরতি কেঁপে ওঠে, ঝরছে পাহাড়ের রক্ত,
রাহিম আল্লাহ’র দয়া, ক্ষয় নয়, শিক্ষা শুধু সতর্ক।
কাঁপন শিখায় মানুষের অন্তরে সাবর ও তাকওয়া,
দোয়া ধরো, সালাত ধরো, রহমতের আলো ছড়াও ধারা।


আকাশ ফেটে পড়ে বজ্র, যিলযিল শব্দে তুফান,
ধ্বংস নয়, প্রেরণা, তাওবা’র আলোই প্রাণ।
হে মানব, দুঃসাহস নয়, সতর্কতা ধরো অন্তরে,
আখিরাত’র প্রেরণা মনে রাখো, দুনিয়ার লোভ ত্যাগে করো ধীরে।

শোনো! জমিন কেঁপে ওঠে, নদী চূর্ণ, পাহাড় ভাঙে,
ভয় নয়, শিক্ষা নয়, তবে ইমান শক্তি জাগে।
ইলাহি শক্তি প্রমাণ দেয়, শাস্তি নয়, আহবান,
হৃদয়ে জাগুক আলোর দীপ্তি, সাবর ও দয়া হোক প্রাণ।

হে মানব, কাঁপন কেবল শব্দ নয়, আল্লাহর ইশারা,
ভয় নয়, শিক্ষা নয়, তাওবা ও তাকওয়া’র প্রেরণা পায় অন্তরকারা।
যিলযিল’এর ঝাঁকুনিতে জীবন জানে ক্ষণিকের সত্য,
ভূমি, পাহাড়, নদী, আকাশ, সবই শিখায় আল্লাহর রহমত।
------------------------------------------------------------


২৩-১১-২০২৫