বারযাখ
আল্লাহু আল্লাহু... আল্লাহু আল্লাহু...
মৃত দেহে নীরবতা, প্রাণ ফেরে না দেহে,
রুহে ডাক পড়ে — “ইলাহী! ফিরিও আমায় সে পথে!”
নফস কাঁদে আকুতি নিয়ে, তাওবা আর্তনাদে,
কিন্তু ফেরে না জীবন আর — বারযাখে পড়ে সে।
বলে ফেরেশতা দুই — মুনকার আর নাকীর,
“রব্বুকা মান?” — ধ্বনি ওঠে গহ্বরের গহীরে।
“দীনুকা মা?” — বাজে কণ্ঠ আখিরতের দেশে,
“নাবিয়্যুকা মান?” — প্রশ্ন ওঠে আল্লাহর আদেশে।
মুমিন বলে দৃঢ় কণ্ঠে — “রব্বি আল্লাহু!”
নবী আমার — “মুহাম্মাদ ﷺ”,
দীন আমার — “ইসলামু।”
জান্নাতের সুবাস আসে, কবর হয় রওযা,
রহমতের ছায়ায় ঘেরা — নূরের আলো বওয়া।
আর কাফির কাঁপে ত্রাসে — হাসরা ও আফসোসে,
আগুনে জ্বলে গাফিরে বলা ফিরআউনের বেশে।
সকাল-সন্ধ্যায় আগুনে দাহ — আয়াতের ইঙ্গিতে,
“কাল্লা সওফা তা’লামুন” — কোরআনের বাণীতে।
ইবরাহিমের আয়াতে বলে —
আল্লাহ দৃঢ় করেন মুমিন জবান,
কবরের অন্ধকারে জ্বলে — তাওহীদের ইমান।
তুমি যদি তাওবা করো, ইস্তেগফার আনো,
রবের রহমত তখনই — রুহে সান্ত্বনা দান করে জানো।
দুনিয়া মিছে তাকাসুরে মত্ত,
ভুলে যেও না — আখিরাতের সত্য।
জীবন ক্ষণিক, মৃত্যু চিরন্তন,
বারযাখের রাতেই হবে তোমার পরীক্ষণ।
আল্লাহু আল্লাহু... আল্লাহু আল্লাহু...
ইলাহী! রহম কর আমায়...
আল্লাহু আল্লাহু... আল্লাহু আল্লাহু...
কবরের প্রশ্নে রাখো দৃঢ় আমায়...
--------------------------------------------------
No comments:
Post a Comment