হালাল রিজিক
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট, কাপাসিয়া, গাজীপুর
*********************************************
নূর-এ-রহমত নদীর তীরে হেরিনু চাঁদন,
হালাল রিজিক ঝরিছে যেন বরকতের পান।
সে স্রোতে বাজে আয়াত— “কুলু মিন তাইয়্যিবাতি,”
রিজিকে নূর, ঈমানেতে বেহেশতের সওগাতি।
বাতাসে ভাসে তাওহিদের গন্ধে মেশা ধ্বনি,
“হারাম রিজিক সয়ে না আরশের ফরমানি।”
রাসূল (সাঃ) বলিলেন— “তালাবে হালাল ফরজী,”
যে কামায় সেদিকে, পায় নূর-এ-তারাজী।
হারাম কামাই আনে জুলম, ঘুচে যায় তাওফিক,
দো’আ হয় না মঞ্জুর, শুকায় দিলের নিক।
যে খায় পবিত্র খাদ্য, পান করে হালাল,
তার জিকিরে ওঠে সুবহানার হালাহাল।
আসমানে ফেরেশতা বলে— “মাশা’আল্লাহ নূর,”
যে বান্দা আমলে হালাল, তার কদর ভরপুর।
ইলমে হালাল শেখে যারে, থাকে নফস নিয়্যত,
রিজিকে আসে বরকত, রওশনে রাহমত।
ওহে মুমিন! ঘুষ-সুদে করিও না আমল,
তাতে আসে আজাব-এ-কবর, হারাম রিজিক বিকল।
মেহনতের ঘাম মিশায়ে করো তাসবিহ ধ্বনি,
“ইন্নাল্লাহা তায়্যিব”—তাঁর বাণী অনন্ত ধ্বনি।
দেখিলাম সে নদীর ধারে, এক দরবেশ মসনদে,
বলিল— “হালাল কামাই রহমত, হারাম হক গদে।”
চোখে তার নূর, দেহে সাবর, জবানেতে শুকর,
সে বলিল— “রিজিকে হালালই জান্নাতের ফিকর।”
বয়েসে বৃদ্ধ, তবু মুখে নূর-এ-ইখলাস,
হাতে তার খেজুর, মুখে দো’আ, পরম আভাস।
বলিল— “রাহে হালাল চলে যে আবদুল্লাহ,
তাহার ঘরে নাযিল হয় বরকতে আল্লাহ।”
সেই নদীর জলে দেখি প্রতিফলন বাণী,
কোরআনের আয়াতে লেখা রহমতের কাহিনি।
“লা তাকুলু আমওয়ালাকুম বিল বাতিল”—ধ্বনি বাজে,
হারাম হক ভক্ষণকারীর নেই নাজাত সাজে।
হালাল রিজিক— নূর-এ-দুনিয়া, নাজাত-এ-আখিরাত,
এ রিজিকেই থাকে কুদরত, তাওফিক, বরকত।
হে প্রভু! দে তাওফিক, থাকি সে স্রোতের ধারে,
রিজিক-এ-হালালে ভরুক জীবন, জান্নাতের নূর সঞ্চারে!
-------------------------------------------------
২৯-১০-২০২৫
No comments:
Post a Comment