রক্তাক্ত শিক্ষক
চুপ চুপ… ওই ঘরে,
রক্ত ঝরে… ধীরে ধীরে…
চকের দাগে দুঃখ লেখা,
খাতায় জমে ব্যথার নীড়ে।
টুপ… টুপ… পড়ে ক্ষত,
ন্যায় চাওয়া! — যেন অপরাধ!
চোখে বিষাদ… বুকে ক্ষোভ,
মেরুদণ্ডে জ্বলে তিরস্কার।
চাঁদের নিচে… জেগে স্কুল,
আলো ঝরায়… নিঃশব্দ ফুল।
বইখান খুলে মুখে বলে —
“শিক্ষক আজ… রক্তে ভুল!”
ওই শুনো…! পাটাতনে ধ্বনি —
“অধিকার চাই!” — হাওয়া বয় বনি।
কেউ শোনে না… কেউ দেখে না,
বিবেক সব… পাথর খনি।
দর্পণে মুখ… সব ঘোলা,
সত্য ঢাকে… কুয়াশা জ্বালা।
বিচারকের চোখে ঘুম,
ন্যায়বিচার… পড়ে বিমূঢ়।
হে সুশীল! তোর মুখ কই?
তুই কি তোর আত্মা… হারাইছস কই?
শিক্ষকের রক্তে লাল হলো পথ,
তবু তুই চুপ… কেন হে নীরব সভ্য সমাজ?
ওই স্কুলঘরে… গন্ধ আসে ঘাম,
আঁচলে মুছে নেয় ব্যথার নাম।
ফ্যাসিবাদের নব রূপে আজ,
লেখা হয়েছে… অন্যায়ের দাম।
চুপ চুপ… ও রাত জাগে,
ন্যায় চায়… কান্না লাগে।
জাতি গড়ার কারিগর কাঁদে,
কেউ আসে না… ন্যায়ের সাধে।
ওই দেখো! মেরুদণ্ড হীন,
চলার পথে… ছায়া চিন।
লজ্জায় কাঁদে… খাতা, কলম,
রক্তে ভিজে — শিক্ষা বন!
-------------------------------------
No comments:
Post a Comment