পাতি নেতার উৎপাত
শহর গঞ্জ গ্রামজুড়ে পাতি নেতার রাজ,
অলি গলি পাড়া-মহল্লা—সবখানেই সাজ!
মাইকে চেঁচায় দিনরাত, “আমি জনতার সেবক!”
পেছনে দেখি দখলদার, চাঁদাবাজ, চোরের দেবক!
চায়ের কাপে সভা বসে, বক্তৃতি হয় ঠাস,
বলে—“দেশটা আমিই চালাই, বাকি সবাই বাঁশ!”
কিশোর গ্যাং পিছে পিছে, উল্লাসে তারা মাত,
চুরি-ছিনতাই-রাহাজানি—সবই পায় পাঠ!
বাজারে গেলে দোকানদার কাঁপে দোতলায়,
বলে—“নেতা আসছে ভাই, টাকা লুকাও তলায়!”
মসজিদের ইমামও ডরায়, মাথায় দেয় সেলাম,
নেতা বলে—“ছবি তুলো! ইনশাআল্লাহ, আমি ইমাম!”
অফিস আদালত নিস্তব্ধ, কাগজ চলে ঘুষে,
যে বলে সত্য, সে পরের দিন যায় কারুশে!
গ্রামে খাস জমি নেই, শহরে দখলখাতা,
পাতি নেতার কৃতিত্বে, আইনও হলো পাতা।
মহল্লার মোড়ে দাদা ভাই, দাড়িয়ে বড় ভঙ্গি,
বলছে—“আমি প্যাডি লিডার, চিনবি না রে, ভঙ্গি!”
বাচ্চারা ভয়ে বলে—“দাদা আসছে, দে রে দৌড়!”
মুরগি হাঁস পর্যন্ত ভাবে—“এই লোকটা বড় ছোঁড়!”
রাতে বাজে পার্টির গান, ফুর্তি চলে ভারি,
ভোটের সময় দরজায় দান, পরে চুরি সাড়ি।
চাঁদাবাজি, দখলবাজি—সবই তার ধর্ম,
মুখে বলে—“মানবসেবা”, ভিতরে ঝড় ঝঞ্ঝা!
শেষে বলে বৃদ্ধ ঠাকুর, পুকুর পাড়ে বসে,
“দেশের নেতা পাতি হলে, জাতটা মরে হেসে!”
তবু আশা একটুখানি—ভালো মানুষ জাগে,
যেদিন সত্য উঠবে জেগে, নেতারা যাবে ভাগে!
---------------------------------------
No comments:
Post a Comment