Thursday, September 18, 2025

আলোর কণ্ঠধ্বনি

 আলোর কণ্ঠধ্বনি

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
**************************************

রাওনাট পঞ্চাত বাড়ির আঙিনায় জন্ম তার,
মোঃ মহসীনুল ইসলাম—জ্ঞান ও ন্যায়ের অদম্য বার।
পিতা মোঃ ওসমানগনী সরকারের ছায়ায় বেড়ে ওঠা,
সত্যের প্রদীপ হাতে রাখেন পথের দিশারী আশা।

দাখিল ১৯৮৯, আলিম ১৯৯১,
অগ্নিশিখায় দগ্ধ হলো মন, জ্বলে উঠল অন্তর-প্রাণ।
আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিস (সম্মান) ১৯৯৪,
এম.এ. আল-কুরআন ১৯৯৫—দার্শনিক অন্তর্দৃষ্টি অক্ষয়, অপ্রাণ।

ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া—জ্ঞানের ময়দান,
ধর্ম, ন্যায় ও মুক্তির তৃষ্ণায় ভরে ওঠে প্রতিটি প্রাণ।
চরসিন্দর ডিগ্রী কলেজে সহকারী অধ্যাপক হয়ে,
শিখান বিদ্রোহী আলোর পথে চলার অমলিন গীতি বয়ে।

ওয়াজে ওঠে তাঁর কণ্ঠে কোকিলার বিদ্রোহী সুর,
অন্ধকার ভাঙে, জাগে ন্যায়ের অমর নূর।
সত্যের মশাল হাতে বাঁধেন চিরন্তন নকশা,
মানবতার জন্য—আলোর কণ্ঠধ্বনি, দাওয়াহর অমৃত মমশাসা।

আঁধার জীবনের উজ্জ্বল প্রদীপ হয়ে,
শান্তির পথে মুক্তির ডাক ছড়িয়ে দেন যে মনে।
তার নূরের আলোয় দূর হয় অজানার আঁধার,
হৃদয় ভরে ওঠে ঈমানের অমর আলো চিরন্তনকার।

মানবতা জাগুক, অন্যায় পতন হোক,
মুক্তি ও ন্যায়ের শিখা জ্বলে উঠুক প্রতিটি চোখ।
মহসীনুল ইসলাম—চিন্তাবিদ, দার্শনিক, বিপ্লবী,
তার কণ্ঠে বেজে ওঠে আলোর অনন্ত প্রতিধ্বনি, তীব্রচঞ্চলী।

রাওনাট গ্রামের কৃতি সন্তান!
প্রতিটি আঁধার ক্ষণে জগে উঠ নূরের আলোয়।

প্রজ্ঞান জাগুক, অন্ধকারের গহ্বর ভেঙে,
সত্য ও ন্যায়ের রোষে জ্বলুক প্রত্যেক পাথর ঘেঁষে।
বিদ্রোহী বাতাসে নিক্ষিপ্ত হোক নির্যাতনের সঙ্গী,
মুক্তির দিশা হোক প্রতিটি হৃদয়ের অন্তঃস্থল অঙ্গী।

সত্যের পথে চলুক সাহসী পায়ের দোলা,
নির্যাতনের অন্ধকারে জ্বলে উঠুক মুক্তির আলো।

অপরাজেয় শক্তি হয়ে দাউ দাউ জ্বলে মন,
অন্যায়ের অন্ধকারে না হারায় কখনো জন।
প্রতিটি নিঃশ্বাসে জাগুক বিদ্রোহী সুর,
হক ও ন্যায়ের পথে দাওয়াহর আলো ছড়াক দূর।
------------------------------------------------------------


হত্যার মিছিল

 হত্যার মিছিল

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া, গাজীপুর
*********************************************

কি ভয়ানক চিত্র! রক্তাক্ত বাংলা, দিকে দিকে হত্যার মিছিল,
পারিবারিক দ্বন্ধ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, শত্রুতা মেখেছে প্রতিটি বিচিত্র রাস্তায়।

ঝোপঝাড়ে লুকানো অসুরী রোষ, নদী-নালা দগ্ধ ক্রন্দনে কেঁপে উঠে,
খালে-বিলে ভেসে যায় মৃতদেহ, পথের মাটিও চিৎকার করে শোকের সুরে।

জীবনের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশ্ন করে শূন্য আকাশ,
প্রত্যেক শ্বাসে ধরে রাখে মৃত্যুর অমৃত হাহাকার।
রাষ্ট্র যন্ত্র কি আছে? প্রশ্ন জাগে, নীরবতায় ডুবে,
গাছের ছায়ায় লুকানো চিৎকার, পাথরের ফাঁকে ফাঁকে মৃত্যুর তাণ্ডব।

ঝর্ণার ধ্বনি যেন চিৎকার করে সভ্যতার দুর্ভিক্ষ,
পথে-ঘাটে লেখা আছে অসুরতুল্য বর্বরতার ইতিহাস।
শহরের রাস্তায় ভেসে যায় নির্দোষের রক্তাক্ত আহ্বান,
সদ্য ঝরা প্রাণের গন্ধে ভারী নিঃশব্দ শোক।

দিকে দিকে হত্যার মিছিল ছড়িয়ে আছে,
নদীর ঢেউ, খাল-বিল, প্রতিটি কোণ ভরে হাহাকার।
পারিবারিক দ্বন্ধ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, ভীষণ শত্রুতা
সমাজের রন্ধে রন্ধে, ছড়িয়েছে অবিরাম।

মানব সভ্যতা যেন তলিয়ে গেছে অন্ধকারের হিমাংশুতে,
পথে-ঘাটে থমথমে দুঃখ, নীরব দণ্ড, মৃত্যুর তাণ্ডব।
অসুরের মত হিংস্র হত্যার মিছিল চলে চিরন্তন অভিশাপে,
জীবনের নিরাপত্তা কোথায়? খুঁজে পাই না কোনো ঠিকানা।

রাষ্ট্র যন্ত্র কি আছে? প্রশ্ন জাগে প্রতিটি নিঃশ্বাসে,
দিকে দিকে হত্যার মিছিল থামে না, চিরকাল হিংস্রতার নীরব নৃত্যে।
রাত্রির অন্ধকারে ঝরে যায় তীব্র চিৎকার,
মানব সভ্যতার দুর্ভিক্ষে, ন্যায়-ধর্মের স্তম্ভ ভেঙে পড়ে,
রক্তাক্ত বাংলা, জীবনের নিরাপত্তা কোথায়, রাষ্ট্র কি আছে—
কি ভয়ানক চিত্র! প্রশ্ন করে প্রতিটি প্রাণ।

জাহেলী যুগের দিকে কি বাংলাদেশ?
প্রশ্নটা ঘুরে ফিরে বাজে প্রতিটি শহর, প্রতিটি গ্রামে,
হত্যার মিছিলের নীরব হাহাকার, বিদ্রোহী নদী-নালার ধ্বনি,
মানুষের আশা যেন নিঃশ্বাসের সঙ্গে বিলীন।

অসুরী হিংস্রতা, অমানবিক নৃশংসতা,
পরাধীন মনুষ্যত্বের শূন্যতা, রক্তে লালিত প্রতিটি শহর—
এই রক্তাক্ত বাংলা, এই হত্যার মিছিল,
জাগায় প্রশ্ন: জীবনের নিরাপত্তা কোথায়? রাষ্ট্র কি আছে?
আর আমরা কি জাহেলী যুগের দিকে ধাবিত হচ্ছি?
----------------------------------------------------


১৮-০৯-২০২৫

আঁধারে নূরের আলো

 আঁধারে নূরের আলো

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
*****************************************

রাওনাট গ্রামের নূরানী আলো, পঞ্চায়েত বাড়ীর সন্তান,
মাওলানা মোহাম্মদ আমান উল্লাহ সরকার,
পিতা আলহাজ্ব আঃ মান্নান সরকার, মাতা মোসাঃ ময়জম বিবি,
দাদা আহম্মেদ পঞ্চায়েত, দাদী মোসাঃ আলচি বিবি,
জন্ম ০১ জানুয়ারি ১৯৭১ খ্রি., অন্তরে অমলিন দীপ্তি।

অন্ধকারের দমবন্ধা কুয়াশা ভেদ করে মিনারী,
প্রজ্বলিত আলোর ঝলক, শান্তির অমর ধারী।
তিনি যেন আঁধারে নূরের আলো,
মুক্তির ডাক দিয়েছেন ইসলামের পথে মানবের তরে।

হৃদয়ে বাজে বিদ্রোহী প্রেমের অগ্নিসুর,
ভীতি ভেঙে পড়ে, অশ্রু শুকায়, আশা জাগে ঘুর।
নফসের আঁধারে কেটে ওঠে জ্যোতির্ময় মননপথ,
প্রাণে জাগে অন্তরালের দীপ্তি, চিন্তার অমর গহ্বর।

দয়া, করুণা, মানবতার তিন প্রহরী,
ফুটে ওঠে বুকে, নিঃশ্বাসে, জীবনদর্শনের গভীর জোয়ারী।
ধ্বংসের অভিশাপ ঘেঁষেও তিনি তোলেন দীপের শিখা,
অসত্যের দেয়াল ভেঙে, সত্যের ধ্বনি ছড়িয়ে যায় বিকশিত শিখা।

প্রার্থনা, তাজকিয়া, নীরব তীর্থের নিশ্বাসে ভেসে,
জীবনের পথ আলোকিত, অন্তর শুদ্ধি, অস্তিত্বের নীড়।
মানবতার মুক্তির তরে, হঠাৎ ওঠে বিদ্রোহী সুর,
বিভাজনের অন্ধকারে, জাগ্রত করে প্রেম ও দূরত্বের দূর।

চলুন একসাথে আলোর পথে হেঁটে যাই,
নফসের অন্ধকার কাটিয়ে, সুর মিলাই।
মাওলানা মোহাম্মদ আমান উল্লাহ সরকার,
দাওয়াহর অনন্ত দীপ, আলোর অনন্ত মিনারী হয়ে ঝিকিমিকি।

হৃদয় হয়ে ওঠে মিনারী, অনন্তের মতো জ্বলে,
প্রতিটি পদক্ষেপ আলোকিত করে, অন্তরের দিগন্তে ছড়ায় দ্যুতি।
জ্ঞান, ভক্তি, ধৈর্য্যের তরে জীবনের দিগন্ত উন্মুক্ত হয়,
তীব্র দার্শনিক অন্বেষণে আলো হয়ে ওঠে পথপ্রদর্শক।

আল্লাহর নূরে ভেসে যায় হৃদয়বিজ্ঞান,
অসীম শান্তি, মুক্তি, মানবতার অন্তরের জান।
মাওলানা আমান উল্লাহ সরকার, দাওয়াহর অনন্ত দীপ,
আলোর অনন্ত মিনারী হয়ে জ্বলে, অমলিন আলো ছড়িয়ে দেয়।
-----------------------------------------------

এক নজরে মাওলানা আমান উল্লাহ সরকার

 এক নজরে মাওলানা আমান উল্লাহ সরকার

কলমেঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
********************************************************
ব্যক্তিগত পরিচয়
• নাম: মাওলানা মোহাম্মদ আমান উল্লাহ সরকার
• পিতা: আলহাজ্ব আঃ মান্নান সরকার
• মাতা: মোসাঃ ময়জম বিবি
• দাদা: আহম্মেদ পঞ্চায়েত
• দাদী: মোসাঃ আলচি বিবি
• জন্ম তারিখ: ০১ জানুয়ারি ১৯৭১ খ্রি.
• জন্মস্থান: রাওনাট, কাপাসিয়া, গাজীপুর
শিক্ষাজীবন ও প্রাথমিক কার্যক্রম
• সাবেক ছাত্র প্রতিনিধি, বেগুনহাটি ফাজিল মাদ্রাসা
• দাওয়াত তাবলীগে ১৯৮৮ সালে ৩ চিল্লা ও ১৯৯১ সালে এক চিল্লা সম্পন্ন
• সাবেক মুয়াল্লিম, বিশ্ব ইজতেমা, টঙ্গী, গাজীপুর
পেশাগত জীবন
• সহকারী অধ্যাপক (আরবি), বেগুনহাটি ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, রাণীগঞ্জ, কাপাসিয়া, গাজীপুর
• সরকারীভাবে ইমাম প্রতিক্ষণ প্রাপ্ত।
ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্ব
• খতীব: রাওনাট পশ্চিমপাড়া নূরানীয়া জামে মসজিদ, রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
• সভাপতি: ইসলামী পাঠাগার ও দাওয়াতুল হক,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

• পরিচালক: দারুল কোরআন দাওয়াতুল হক মাদ্রাসা, রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর্
• আমীর: খানকাহ আশরাফিয়া মহাম্মাদুল্লাহ হাফিজ্জী হুজুর (রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর)
• আমীর: দাওয়াত তাবলীগ জামাত, দূর্গাপুর ইউনিয়ন
• আমীর: সন্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি, রাওনাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (১৯৯৮ হতে)
• আমীর: সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল রাওনাট, ২০০৯ হতে
• প্রধান উপদেষ্টা: জামিয়া কারিমিয়া বালিকা মাদ্রাসা ও এতিমখানা, রাওনাট
• সভাপতি: তাহাফিযুল কোরআন ইসলামীক একাডেমি, বরুন পঞ্চায়েত বাড়ী মোড়

• সহ-সভাপতি: মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, কাপাসিয়া
রাজনৈতিক ও সংগঠনিক দায়িত্ব
• সাবেক সভাপতি: ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন (১৯৯৬–১৯৯৭), কাপাসিয়া
• সাবেক জয়েন্ট সেক্রেটারী: গাজীপুর ইশা আন্দোলন (জেলা)
• সাবেক সভাপতি: জাতীয় মাওলানা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, কাপাসিয়া উপজেলা
• সাবেক সভাপতি: ইসলামী ঐক্যজোট (১৯৯৬), কাপাসিয়া
• সাবেক সহ-সভাপতি: জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদ, গাজীপুর জেলা
আধ্যাত্মিক পরিচয়
• খলীফা: হযরত হাফিজ্জী হুজুর রাহ. এর অন্যতম খলীফা, শাইখুল হাদীস মাওলানা শেখ শিহাব উদ্দিন (রাহঃ), ২০১০ সাল
সংগ্রাম ও নির্যাতন
• ১৯৯৭ সালে কাপাসিয়া সন্ত্রাসীদের দ্বারা নির্যাতিত
• ২০০৫ সালে মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার, পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মিজানুল হক চৌধুরীর তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত
---------------------------------------------------------------------------------------------------------
মুক্তির ডাক
********************************
রাওনাট গ্রামের নূর, মুক্তির দিশারী,
দাওয়াহর ময়দানে আলোর অনন্ত মিনারী।
সকলের শ্রদ্ধেয় আলেমেদ্বীন,
ইসলামের খেদমতে চির অমলিন।

তিনি মোহাম্মদ আমান উল্লাহ সরকার,
দাওয়াহর পথে অটল, আস্থা পূর্ণ দ্বার।
পিতা আলহাজ্ব আঃ মান্নান প্রেরণার ছায়া,
মাতা মোসাঃ ময়জম বিবি দো’আয় আলো মেলল প্রার্থনা।

দাদা আহম্মেদ পঞ্চায়েত ন্যায়ের প্রতীক,
দাদী মোসাঃ আলচি বিবি করুণার সলীক।
তাঁদের উত্তরাধিকার পেলেন দীপ্ত প্রাণ,
আল্লাহর দাওয়াহয় যিনি রাখলেন মান।

মসজিদের খতীব, আরবির শিক্ষার দীপ,
কোরআনের বানী ছড়িয়ে দিচ্ছেন নীরব প্রণীপ।
মাদ্রাসা পরিচালনায় দাওয়াহর প্রেরণা,
দাওয়াতুল হক, নূরের তরঙ্গনা।

তাবলীগ জামাতে দিয়েছেন চিল্লা তিনটি,
ইস্তেমার ময়দানে উড়ালেন ধ্বজা শীর্ষ।
হাফিজ্জী হুজুরের খলীফা মহীয়ান,
শাইখ শিহাব উদ্দীনের সান্নিধ্যে পূর্ণ ইমান।

সাবেক সভাপতি ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন,
ইসলামের পতাকা উড়ালেন বিশাল চেতন।
সাবেক জয়েন্ট সেক্রেটারী গাজীপুর ইশা আন্দোলন,
দাওয়াহর ময়দানে রেখেছেন অটল সনদ।

মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণে সহ-সভাপতি,
জামিয়া কারিমিয়া বালিকা মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রধান উপদেষ্টা।
তাহাফিযুল কোরআন ইসলামীক একাডেমির সভাপতি,
নূরের তরঙ্গ ছড়িয়ে দেন দিনরাত অনন্ত।

মিথ্যা অভিযোগ, সন্ত্রাসের আঘাত,
সব সহ্য করলেন ধৈর্য্য ও তাকওয়ার সাথে।
মুহাম্মদ (সা.) এর পথ ধরে চলা,
দাওয়াহ ইলাল্লাহ—চিরন্তন বেলা।

রাওনাট গ্রামের নূর, মুক্তির দিশারী,
মোহাম্মদ আমান উল্লাহ সরকার আলোর মিনারী।
সকলের শ্রদ্ধেয় আলেমেদ্বীন,
ইসলামের খেদমতে চির অমলিন।

মহান আল্লাহ নেক হায়াত দান করুন,
তাঁর জীবন দাওয়াহর আলোয় ভরুন।
আমীন, যাকাত, সালাত, দীন প্রচারে ব্যস্ত থাকুন,
সকল মুমিনের হৃদয়ে তাঁর নাম হোক উজ্জ্বল।
-----------------------------------------------------------------

Wednesday, September 17, 2025

নদীতে ভাসছে লাশ

 নদীতে ভাসছে লাশ

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর।
--------------------------------------------------------------------
নদীতে ভাসছে লাশ, নীরব অথচ চিৎকার করে,
নারী, নর, শিশু—সব মিলিয়ে স্রোত ভাঙে হৃদয় ভরে।
এত খুন! এত গুম! এত হত্যা—
প্রতিটি লাশ যেন মানবতার মৃত্যুর প্রতিচ্ছবি।

নিরাপত্তার কুটিরে শুন্যতা,
ঘরে লুকানো আতঙ্ক, ঘুমে ভাঙা স্বপ্নের ছায়া।
চেনা মুখ, অচেনা কান্না, অজস্র ব্যথার ছায়া,
নদী শোনে না আর কারো আর্তনাদ, শুধুই বর্বরতার আগাগোছা।

পাখি আকাশে থমকে, বাতাস নিঃশব্দ,
নদী নিজেই কাঁদে, ভেসে যায় শোকের ঢেউয়ে অশ্রুবর্ষণ।
সবুজ ঘাসে মেখে রাখা স্বপ্নগুলো ছিন্ন,
মায়ের আঁচল, বাবার ছায়া, সব মিলিয়ে কালো জলে মিলায়।

স্বাধীন তবু স্বাধীন নয় জীবন,
প্রতিটি ভেসে যাওয়া দেহের মধ্যেও লুকিয়ে আছে আশা।
নদী বলে—মৃত্যুর মাঝেও জন্ম নেয় নতুন প্রেরণা,
লাশ ভেসে গেলেও মানবতার হৃদয়ে জাগে দীপ।

এ দৃশ্য হতে মুক্তি চায় জাতি,
বর্বরতার শিকড় কেটে ফেলার ডাক ওঠে গগনে।
চেনা পথ ভেঙে, অচেনা শিখরে,
নদীর ঢেউও বলে—নতুন সকাল আসে।

বাতাস কাঁপে, পাখিরা ফিরে আসে,
চলমান স্রোতের মধ্যে জন্ম নেয় নতুন প্রার্থনা।
মানবতার দীপ জ্বলে অটল,
প্রতিটি মৃত্যু শিখায়—জীবনই শেষ পর্যন্ত অমোঘ।

নদীর তাণ্ডবের মাঝেও ফুটে ওঠে গান,
অশ্রুর স্রোতের মাঝে জাগে নতুন বোধ, নতুন জীবন।
লাশের ভেসে যাওয়ায়ও ঘুমোতে দেয় না আশা,
জাতি চায় মুক্তি—এই শূন্যতার অন্ধকার ভেঙে।

অন্তহীন স্রোতে ভেসে যায় শোক,
কিন্তু জন্ম নেয় নবচেতনায় দীপের আলো।
নদী কাঁদে, নদী গর্জে, নদী বলে—
মানবতার অন্তহীন স্বপ্ন, কখনো নিঃশেষ হবে না।
-----------------------------------------


অস্তমিত সূর্য

 অস্তমিত সূর্য

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর।
--------------------------------------------------------------------
রাওনাট পশ্চিম পাড়ার মাঠে হাওয়া ঢেউ খেলে,
মরহুম আব্দুর রহিম মোল্লার স্মৃতি হৃদয় ছুঁয়ে বলে।
হাফেজ আউয়ালের ছায়ায় বেড়ে ওঠা প্রাণ বিদ্রোহী,
সাবেক নেতা, সমাজসেবক—দ্যুতি জ্বলে অন্তরবিহীন।

সকলের নিকটে গ্রহণযোগ্য, প্রীতি দীপ জ্বলে মণিক,
মৃদুভাষী চিত্তে লুকানো বিপ্লবী আগুন, অমলিন শিখা অনন্তিক।
হঠাৎ মৃত্যু—অচিন্তিত বিদায়, শূন্যতায় ঢেকে যায় ঘর,
অমলিন প্রভাতেও থমকে সূর্য, কুয়াশা জ্বলে মনজুড়ে নীর।

উদিত সূর্য একদিন, রোদে মাখা দিগন্তের খেলা,
আজ অস্তমিত আলোর রেখা ঝরে অশ্রুবিন্দুতে ভেলা।
নদী নীরব, বন নিস্তব্ধ, আকাশে ঘনধূসর শাপ,
বন্ধুত্ব, ন্যায্যতা, সমাজসেবা—ওর প্রতিফলন চিরকাল ধাপ।

রাওনাটের মাঠে বাজে শূন্যতার বিদ্রোহী সুর,
হৃদয়ে বয়ে যায় ব্যথার নদী, বুকে জাগে স্মৃতির পুর।
স্পল্পভাসী চিত্তেও বিপ্লবী আগুন জ্বলে অমলিন,
মরহুমের প্রতিটি কাজ, বন্ধুদের মনে বেঁচে থাকে অনন্তিন।

অস্তমিত সূর্য, আলোয় রয়ে গেছে বিদ্রোহী ছাপ,
প্রাণের দ্যুতি ঝরে নদী, বন, আকাশে—শোকের নীরব ধাপ।
সমাজে, বন্ধুদের মনে, জীবনের আলো স্থির হয়ে আছে,
মরহুম আব্দুর রহিম মোল্লা বেঁচে আছে, চিরপথে অমর, অবিনাশে।

নীরব নদী, কুয়াশা, মাঠে বাজে স্মৃতির বিদ্রোহী গান,
প্রতি পদক্ষেপে প্রতিফলন, হৃদয়ে চিরকাল অম্লান।
সকলের প্রীতি, সেবা, আদর্শ বাজে বুকের ঢেউয়ে,
অস্তমিত সূর্যের আলো ছড়িয়ে আছে পথের বুকেও।

মানবতা, বন্ধুত্ব, ন্যায্যতার বিদ্রোহী ধ্বনি,
অসীম অন্ধকারে আলোর রেখা—চিরন্তন স্মৃতির ধ্রুবতারা ধানি।
হে আল্লাহ! (أَللّٰه), রহিমের নূর (نور) দিক ধরা,
মরহুমের বিদ্যুৎ দীপ্তি সমাজে জ্বলুক চিরন্তন, হে সেরা দেহদর্শন।

বিদ্রোহী অন্তর, নীরব প্রভাত—সকলের মনে বাজুক গান,
অস্তমিত সূর্যের দীপ্তি চিরকাল অমলিন, অশেষ প্রভাসমান।
-----------------------------------------

আমি কে?

 আমি কে?

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর।
--------------------------------------------------------------------
আমার নাম মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা,
রাওনাট গ্রামে মোল্লা বাড়ীর দোলা।
মৌলভী আহাদ আলী—বংশের গর্বিত আলো,
তাঁর দোয়ায় ফুটে উঠল আমার জীবনের ভালো।

পিতা আবুল হোসেন মোল্লা, ব্যাংকার সৎ-প্রাণ,
মাতা মিনারা খানম স্নেহস্রোতের দান।
তাদের কোলে পাবুর নানাবাড়ি ভোরের ঘরে,
১৯৭৮ সালে এলাম এ ধরাধামে নীরব মমতাভরে।

শৈশবে চঞ্চল আমি, খেলায় মজে থাকি,
পড়ায় অনীহা দেখে দুঃখ পেতেন মা-বাবা নাকি।
তবু তাদের কষ্ট-ভালোবাসা মমতায় ভরা,
প্রাইমারী শেষে পথ খুলল শিক্ষার সরা।

রাওনাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে দিলাম জয়,
এস.এস.সি প্রথম বিভাগে পেলাম ভবিষ্যৎময়।
কাপাসিয়া কলেজে এইচ.এস.সি’র আলো,
ভাওয়াল বদরে আলম কলেজে বি.কম, এম.কম ভালো।

ছাত্রজীবনে নাম লিখালাম রাজনীতির গান,
ক্লাস ক্যাপ্টেন হলাম ষষ্ঠ থেকে দশম মান।
কলেজ সংসদে দিলাম নির্বাচনের শপথ,
বক্তা হয়ে পেলাম ছাত্রসমাজের স্নেহরথ।

আমি বাঙালি, বাংলাদেশী, লাল-সবুজ আমার প্রাণ,
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাঁধা আমার গান।
স্বৈরতন্ত্র-ফ্যাসিবাদ করি আমি ঘৃণা,
শোষিত-বঞ্চিতের পাশে দাঁড়ানোই ধ্রুবচিন্তা।

আমরা দুই ভাই, এক বোন—পরিবারের বাঁধন,
ভাই নাজমুল এহছান মোল্লা স্মৃতির সুধা-ধান।
বোন ফারজানা আক্তার লিপি ঘরের নির্ভর,
স্নেহের আঁচল মেলে রাখেন সবার উপর।

আজ কর্মক্ষেত্রে আছি মহাখালীর কোলে,
বিবিএস ক্যাবলস পিএলসি আমার জীবনের দোলে।
চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার,
প্রেরণার দীপশিখা, সাহসের অবার।

তাঁরই সহায়তায় লিখলাম “পঞ্চ কলি” গান,
এরপর এলো “আগামীর আলো”, “উপহার” মহান।
“মুক্তির চাবি”, “স্মৃতির আলপনা”—মিলে পাঁচটি গ্রন্থ,
কাব্যের ডালি বিলাই আমি আপনজনের অন্তঃ।

আট হাজার কবিতা লিখেছি আমি এ প্রাণে,
দেশপ্রেম, ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ, মানবতার টানে।
ইচ্ছে আছে—“কাপাসিয়ার আলো” হবে প্রদীপ,
স্বদেশী তরুণ জাগুক নতুন দিনের নীপ।

আমি সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজির শত্রু কঠিন,
আমি চাই লাল-সবুজে উঠুক প্রজন্ম নবীন।
আকাশে পাখির মতো ডাকি স্বদেশ গান,
বাংলার সন্তান আমি—এটাই আমার পরিচয়-প্রাণ।
-----------------------------------------

গবরে পদ্মফুল

 গবরে পদ্মফুল

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর।
--------------------------------------------------------------------
রাওনাটের উজ্জ্বল মাঠে, বিদ্যার দীপ জ্বলে,
ছায়াপথে নেচে ওঠে মেঘের সুরে–বাতাসে।
মোঃ গোলাম মুস্তফা আকন্দ, আঃ লতিফ আকন্দের সন্তান,
সায়মন বেগমের মমতায় ভরা হৃদয় নীরব প্রান।

৩১শে আগস্ট ১৯৬৭, ভোরের রঙিন আলোয় জন্ম,
দরিদ্রতার আঁধারে ফুটে উঠল আশা, জ্ঞানের প্রদীপ।
দীর্ঘশ্রম, চোখের জল ও হিয়ারে লেখা-পড়ার গল্প,
স্বপ্ন শিক্ষক হওয়া, জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার কল্প।

কৃষিকাজের মাঠে হেঁটে খোঁজে সুখের ছায়া,
প্রকৃতির ছোঁয়ায় শিখে স্নিগ্ধতার গোপন ভাষা।
কৃষি, শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক কাজে নিয়মিত তিনি,
সমাজের কল্যাণে দোয়া প্রার্থনায় ভরে রাখেন অন্তর।

তার অমল অর্জন ও সাফল্যের আলো –
ছয় বিষয়ে লেটার মার্কস সহ,
শিক্ষকের চোখে ঝরে আনন্দের জল,
জীবনের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে জ্যোতির্ময়ী আলো।

১৯৮২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পেলেন স্বর্ণালী ফলাফল,
এই রেজাল্টের জন্য আজও কালজয়ী,
অদম্য মেধা ও শ্রমের রেকর্ড, যুগের ইতিহাসে অমর।
বর্তমানে প্রখ্যাত রসায়নবিদ, বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থায়,
দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রায় মেধা, শ্রম ও মন দিয়ে রাখেন হাত।

গবরে পদ্মফুলের মতো উজ্জ্বল তার পথচলা,
দরিদ্রতার অন্ধকার পেরিয়ে জ্বলে অমল দীপ ঝলমলা।
শান্ত নদী, নীরব হাওয়া, চঞ্চল পাখির গান,
প্রকৃতির অলঙ্কারে মিলেছে তার নৈসর্গিক প্রাণ।

কৃষকদের জন্য নিবেদিত, শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য তার,
মানবিক কল্যাণে উজ্জ্বল হৃদয়, সকলের কাজে দোয়া প্রার্থী।

প্রথম বিভাগের গৌরব ও অদম্য রেকর্ডে তার নাম চিরন্তন,
জীবনের সংগ্রাম, মেধা ও ভালোবাসায় ফুটে ওঠে অমল দীপ।

হে রাওনাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যা নিকেতনের প্রজ্ঞাবান,
গবরে পদ্মফুলের মতো ফুটুক চিরন্তন দীপ,
মুক্তি, ন্যায় ও জ্ঞানের পথে ছড়াক অনন্ত স্নিগ্ধ ঝাপসা,
প্রকৃতির অলঙ্কার আর মানবতার সেতু মিলিয়ে থাকুক চিরকাল।
-----------------------------------------

রাওনাট স্কুলের মেধাবী ছাত্র

 রাওনাট স্কুলের মেধাবী ছাত্র

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর।
--------------------------------------------------------------------
ওহে শুনো, ওহে শোনো, রাওনাটের বুকে
জন্মেছিল এক মেধাবী, চাঁদের আলোয় শুভ্র হেসে।
পিতা আঃ লতিফ আকন্দের কোলে লাল সূর্যের মতো উজ্জ্বল,
মাতা সায়মন বেগমের স্নেহে, বৃষ্টি ভেজা মাটির মতো কোমল।

লুঙ্গী শার্টে শিক্ষার পথে ছুটে যেত সে,
সব শ্রেণীতেই প্রথম—দীপ্যমান রশ্মি যেন উজ্জ্বল।
বরাইদ প্রাইমারী স্কুলের আঙ্গিনা পেরিয়ে
রাওনাট আদর্শ উচ্চবিদ্যা নিকেতনে উড়েছিল পাখির মতো।

নদীর জলে প্রতিফলিত আকাশের স্বপ্নের ছায়া,
হাওয়ার কণায় মিশে চিন্তার দীপ্তি।
বৃক্ষের ছায়ায় গেঁথে শপথ,
পাথরের খাঁজে দেখা পেল ধৈর্যের গান।

জীবন নদীর প্রবাহ, অনিশ্চিত, অনন্ত,
ক্লান্তি, দুঃখ, আশা—ঢেউয়ের ছন্দে ভেসে।
অধ্যবসায়, ন্যায়বিচার, নৈতিকতার দীপ্তি
প্রতিটি ধাপে ছিল আলোর নুর।

১৯৮২ সালে এস এস সি পরীক্ষার দিনে,
ছয় বিষয়ে লেটার সহ প্রথম বিভাগ—উজ্জ্বল রোদ।
দেশ জুড়ে সৃষ্টি হলো আলোড়ন, উদ্দীপনার জ্বালা,
রাওনাটের ইতিহাসে লেখা অমলিন নক্ষত্র।

চেয়েছিল শিক্ষার পূর্ণ জ্ঞান,
লেকিন দারিদ্র্যের শৃঙ্খলে বাঁধা পড়ল প্রাণ।
সংসারের হাল ধরতে, কৃষিকাজে হাত দিতে হলো,
লেখাপড়ার আলোকে হাওয়ার স্রোতে বোনা।

কৃষকের প্রতি জন্মলাগা শ্রদ্ধা, ভাবনার দীপ্তি,
মাটির গন্ধে, বর্ষার ঝরে, খেতের ধানশীষে প্রীতি।
শিক্ষা শেষে রসায়নবিদের চাকুরি,
বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থায় নিয়োজিত।

হৃদয় নদীর গভীরতা, পাহাড়ের অটল ছায়া,
ঝড়-ঝাপটা দেখেও দমে যায়নি বল।
কৃষক উন্নয়নে জাগ্রত মন,
মাটি, নদী, আকাশ—শিক্ষার শিবিরের প্রমাণ।

মোঃ গোলাম মুস্তফা আকন্দ—রাওনাটের কৃতি সন্তান,
রেজাল্টের রেকর্ড আজও অটুট,
ফুলের হাসি, বাতাসের স্রোতে ছড়িয়ে প্রাণ,
অমলিন দ্যুতি ঝলক দিল কোল আলোয়।

মেহমান মানুষের সেবা, দীন কল্যাণ,
জীবনের প্রতিটি ধাপেই আদর্শ।
আল্লাহর নুর, ফাতিহার আশীর্বাদে পথ সুপ্রকাশ,
জীবনের গল্প হয়ে উঠুক নক্ষত্র আলোকপ্রকাশ।

অমলিন দ্যুতি, নুরের জ্যোতি—প্রকৃতির আলয়,
শিক্ষা, সেবা ছোঁয়া হোক চিরন্তন।
বাতাস, নদী, পাহাড়—জীবন দর্শন,
মেঘের আঁকশিতে লেখা ধৈর্য্য, প্রেম, মানবিক সন।
-----------------------------------------


অর্ধশতবর্ষের চেয়ারম্যান

 অর্ধশতবর্ষের চেয়ারম্যান

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর।
***********************************
রাওনাটের পূর্বপাড়া, বেপারী বাড়ির আলো,
ঐতিহ্যের জলে ভেসে এলো মানুষের ভালো।
জন্ম নিলেন মহান নেতা, ডাক্তার আলীর নাম,
দূর্গাপুরের প্রান্তর ভরে গায় জনতার কাম।

পিতা মরহুম আনছার আলী, গর্বিত পরিচয়,
মাতা হনুফা বেগম—স্নেহধারায় ভরা আশয়।
রক্তের শিকড়ে জ্বলে ইতিহাসের অনন্ত দীপ,
মন্ত্রীর ফুফু, সেনাপতির দাদী—যুগের প্রণোদিত তীপ।

ফকির আব্দুল মান্নান মন্ত্রীর ফুফা ছিলেন প্রিয়,
ব্রিগেডিয়ার আসম হান্নান শাহ দাদীর মতো ইতিহাসের নিখুঁত বীজ।
সম্ভ্রান্ত মুসলিম বংশের ধ্বজা উঁচু বাতাসে,
দুইশ বিঘা জমিতে মহিমার প্রতিফলন ছড়ায় আশ্চর্যতায়।

জমিদার প্রথা না থাকলেও মানুষ ডাকতো জমিদার,
প্রজ্ঞা আর ন্যায়ের বাতি জ্বেলে রাখতেন হৃদয়ের বার।
হোমিও ডাক্তার, বেদনার সঙ্গী, মানুষের সাথী,
অসহায়দের জন্য জীবন ব্যয় করতেন অমৃতমধুর কথা।

সমাজসেবক, জনবান্ধব, পরউপকারে ছিলেন দীপ,
প্রজন্মের বুকে রইলেন চিরন্তন অনন্ত তীর্থস্মৃতি।
বৃটিশ আমল থেকে বাংলাদেশ—যুগের ছন্দে,
তিনি রইলেন সত্যের সঙ্গী, জনতার বিশ্বাসে।

দূর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দীর্ঘ অর্ধশতক,
ইতিহাসে লিখলেন ন্যায়, প্রজ্ঞা ও মানুষের শক্তি অটলক।
একবার হেরেছিলেন মাত্র, হাবিবুল্লাহ সরকারের কাছে,
তবু হৃদয়ে জনতার ভালোবাসা অমোঘ আঁচে।

"নানা" সম্বোধনে বাজতো হৃদয়নাদের সুর,
মানুষের আঁধারে তিনি আলোর প্রতিটি ছাপের দূর।
অর্ধশতবর্ষের চেয়ারম্যান—ইতিহাসের অনন্ত দৃষ্টি,
প্রজ্ঞা আর ন্যায়ের সমন্বয়ে সৃষ্টি করলেন মানবিক কৃষ্টি।

মেহমানদারী ছিল প্রাণের অন্তরের গান,
উপহার দিতেন হৃদয় দিয়ে, অতিথির স্বপ্নের মান।
উপার্জনের সিংহভাগ জনতার কল্যাণে ব্যয়িত,
জীবনের প্রতিটি ক্ষণ ছিল মানবতার অনন্ত বিনীত।

সৎ, যোগ্য, জ্ঞানী—অতুলনীয় মহান,
জনগণের হৃদয়ে রয়ে গেলেন ইতিহাসের অম্লান।
তাঁর মৃত্যুতে জাতি হারালো অমূল্য ধন,
অশ্রুভেজা প্রার্থনায় কাঁদলো সকলে মন।

এমন মানুষ যুগে যুগে জন্মে না,
শূন্যতায় দেশ পেল অনন্ত বেদনার ঝঞ্ঝা।
কিংবদন্তি নেতা, উপমাহীন তিনি,
জনগণের স্মৃতিতে চিরদিন আলো জ্বেলে রইল।

ইতিহাসের পাতায় লেখা কীর্তিগান,
প্রজন্মের বুকে বাজে সেই অনন্ত সুরের তান।
পরউপকারী জীবনে তিনি ছিলেন মহীয়ান,
দূর্গাপুরের গর্ব, রাওনাটের প্রাণ।

কবির প্রার্থনা—আল্লাহ্ দিন জান্নাতের ঠিকানা,
চিরশান্তির আসনে থাকুক তাঁর আনুগানা।
ইতিহাসের আলোকবর্তিকা—নেতার মহাকাব্য,
ডাঃ মোহাম্মদ আলী—জনতার চিরস্মরণীয় অধ্যায়।
--------------------------------------------------------------------

Tuesday, September 16, 2025

কৈশোরের ভুল

 কৈশোরের ভুল

রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
*********************************
কৈশোরের মন অগ্নিশিখা, বিদ্রোহী, অস্থির,
ভুল পথে হেঁটে ভেঙে যায় আশা, জ্বলে চেতনার পিশির।
বন্ধুর প্রলাপে বিষ, মায়ায় বাঁধা যায় অন্তর,
ভুল পদক্ষেপে পড়ে হারায় স্বপ্ন, নিঃশেষে ঢেকে যায় আকাশ-দূর।

প্রথম প্রেমের মোহে বিভোর, হৃদয় ভাঙে বারবার,
ভুল বোঝাপড়ায় নিঃশ্বাস আটকে যায়, কষ্টের আগুন জ্বলে অন্তর ধার।
মাদক মোহ, অশান্তি ঝড়ে, বেদনার নদী বয়ে যায়,
কিশোরী মন বিদ্রোহী, নৈতিকতার দীপকে আঁধারে ঢেকে যায়।

চিৎকার করে অন্তঃকণ্ঠে, “আমি নিজেরই পথিক!”,
ভুল করলেও শেখে, শক্তি গড়ে, সত্যের সঙ্গে মেলায় তীক্ষ্ণ তিক্তিক।
শিক্ষকের বাণী বাজে বাতাসে, কঠিন, মিষ্টি নয়,
অভিজ্ঞতা দেয় প্রাচীর শক্তি, মন গড়ে ধ্রুব সত্যের কায়।

ভুলের ছায়া কাটিয়ে যায় প্রজ্বলিত চেতা,
অন্ধকারে ঝড় বয়ে আনে নতুন আলো, নতুন আশা দেখা।
হায়, ভুলে ভরা দিন, শিক্ষা বোনা রাত্রি,
জীবনের আকাশে ঝড় বয়ে আনে প্রভাতের মিষ্টি শাস্ত্রী।

কাঁদে, হেসে, লড়ে, শেখে, চেনে জীবন সত্য,
ভুলকে শত্রু নয়, শিক্ষক করে চেতনার দীপ অমৃত।
শেষে সে দাঁড়ায়, অচেনা পথে স্বাধীন,
ভুলের অভিজ্ঞতা দিয়ে গড়ে তোলে প্রাণের প্রাসাদ অগাধ বিন্দু।

কিশোরের মন বিদ্রোহী, শক্তি ও ন্যায়ে পূর্ণ,
ভুলকে ভুলই রাখে, তবে শেখায় সত্য ও নৈতিক শৃঙ্খল অম্লান।
ভুলের অগ্নি পুড়িয়ে তৈরি করে চেতা,
নতুন দিনের বীজ বোনা, শক্তির সাথে ধ্রুব প্রতিজ্ঞা।

ভুলে ভরা কৈশোরের রাত, শেখায় অচেনা পথ,
বিদ্রোহী মন কাঁপে, গড়ে তোলে জীর্ণ অভিজ্ঞতার সুর।
শেষে সে জানে, ভুলের অভিজ্ঞতা শক্তি,
বিদ্রোহী হৃদয় চায়, ন্যায়ের জন্য তুফান উন্মুক্তি।

মানুষের পথে কষ্ট, ত্রুটি ও বিপ্লব মিলায়,
ভুল না করলেই শিখা ওঠে না, চেতনা সদা জ্বলায়।
জীবন তার দীপক, ভুল তার বাতি, বিদ্রোহ তার প্রভা,
কৈশোরের অগ্নিশিখা ঝরে না, শেখায় চিরন্তন গাথা।
-------------------------------------------------------------


১৬-০৯-২০২৫

কাপাসিয়ার নতুন গর্ব

 কাপাসিয়ার নতুন গর্ব

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
*********************************
কান্দানিয়ার মাটির বুক ফুঁড়ে উঠলো এক প্রদীপ,
ইদ্রিস আলীর সন্তান সে—অবিচল, অদম্য, অমিত দীপ!
সুপ্রিম কোর্টের অঙ্গনে তারই নাম আজ ধ্বনিত,
ন্যায়ের মন্দিরে বাজে সুর—ইকবাল শেখ অম্লান প্রণীত।

শোষিত বঞ্চিত জনতার, সংগ্রামের অগ্নিশিখা,
অভিজ্ঞতায়, নিষ্ঠায়, প্রজ্ঞায় ভরা তার ইতিহাসিকা।
আইনের প্রাঙ্গণে তিনি অটল অগ্নিবাণ,
অন্যায়ের পথে ছুঁড়ে দেন বজ্রের মতো আহ্বান।

১৭ মার্চের প্রজ্ঞাপন—গৌরবের বিজয়গাথা,
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে উঠলো তার মহাথা।
বললেন তিনি গর্বভরে—“ন্যায়ের তরে প্রাণ দেবো,
সত্যের মশাল হাতে নিয়ে শৃঙ্খল সব ভাঙবো।”

বাংলাদেশের প্রথম গৌরব ফকির শাহাবুদ্দিন,
তারই পথ ধরে আজ কাপাসিয়ার নতুন দিন।
গাজীপুরে আনন্দের ঢেউ, বাজে সাফল্যের শঙ্খ,
জনতার কণ্ঠে ধ্বনি ওঠে—“ন্যায়ের পথে অটল থাক।”

হে কবির প্রিয় বন্ধু, এডভোকেট ইকবাল শেখ,
তুমি ন্যায়ের বজ্রকণ্ঠ, আঁকো সাহসের পথরেখ।
তোমার দীপ্ত অঙ্গীকারে কাঁপুক অন্যায়ের দুর্গ,
কাপাসিয়ার নবগৌরব তুমি—বাংলার অনন্ত দ্যুতি অর্ঘ্য।

আমাদের প্রার্থনা—আল্লাহ দান করুন দীর্ঘায়ু,
ন্যায়ের পতাকা হাতে তুমি হও যুগের দিশারু।
তোমার আগুন-শিখা ছড়াক সর্বত্র অটল সত্য,
ইকবাল শেখ—কাপাসিয়ার নতুন গর্ব, ন্যায়ের অবিচল ব্যুৎপত্তি!
-------------------------------------------------------------

মেধাবী ফুটবলার

 মেধাবী ফুটবলার

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
*********************************
রাওনাট গ্রামের পঞ্চায়েত বাড়িতে জন্ম নিল এক দীপ্ত প্রাণ,
হাবিবুল্লাহ সরকারের ছোট ভাই, জীবনের ধ্রুব ত্রাণ।
ছদিক উল্লাহ সরকারের বড় ছেলে, নামের সঙ্গে ভার ভরা,
মোঃ খোদেনেয়াজ সরকার—চেতনার আলোয় দীপ্ত অম্লান।

রাওনাট স্কুল মাঠেই সূচনা তার শৈল্পীক ফুটবলের,
পায়ের ছন্দে মেলে প্রজ্ঞার ঢেউ, মননে সৃষ্টির উৎসবের।
মিডফিল্ডে তার দখল যেন নদীর নীরব স্রোত,
প্রতিপক্ষের চোখে ছায়া, কিন্তু তার পাসে জ্বলন্ত আলো।

ড্রিবলের নাড়ি, যেমন মেসির নান্দনিক ছন্দ,
প্রতিটি বাঁক, প্রতিটি ফ্লিক—চেতনার প্রকাশ অম্লান।
গোলের পথে দৌড় নয় কেবল,
মনের গভীরতা, ধৈর্য ও প্রজ্ঞার ছোঁয়া।

মাঠে চঞ্চল, ছন্দময়, খেলায় দারুণ উদ্দীপনা,
কিন্তু বাস্তব জীবনে শান্ত—নম্র, ভদ্র, রিজার্ভড মনের দীপ্তিময় ব্যাকরণ।
লেখাপড়া, চাকরি—কোনো কিছুই তাকে আটকাতে পারে না,
ফুটবল যেন তার আত্মার নৃত্য, পায়ের ছন্দে জীবনের ছোঁয়া।

তার এক উপকার, আমাকে কর্মজীবনের সূচনা করেছিল,
তার ত্যাগের স্মৃতি আজো হৃদয়ে অমলিন হয়ে জ্বলছে।
প্রতিটি পাসে মিলে যায় ভাবনার স্রোত,
মাঠের বাতাসে ভাসে মানবতার নীরব নোট।

মিডফিল্ডার সে, কেবল খেলোয়াড় নয়,
চেতনার দীপ্তি, জীবন দর্শনের আলো ছড়ায় হৃদয়।
পরিবারের গর্ব, গ্রামের অহংকার,
রাওনাটের পঞ্চায়েত বাড়িতে ফুটে ওঠে তার পরিচয় অমলিন ধার।

মাঠে তার পায়ের নৃত্য, মেসির মতো নান্দনিক,
প্রতিটি ছন্দে মেলে মানবিকতার গূঢ় প্রতীক।
শৃঙ্খলা, সততা, ধৈর্য্য—তিনটি তার ত্রয়ী,
প্রতিটি ড্রিবলে মিলে যায় চেতনার গোপন রথী।

মোঃ খোদেনেয়াজ সরকার—নাম নয়, চেতনার আলো,
গ্রামের ছেলে নয় কেবল, জীবন-প্রজ্ঞার নিদর্শন এক প্রদীপ।
মেধার আলোয় ভরা জীবন, অদম্য সাধনার অমলিন দীপ্ত,
মাঠের উচ্ছ্বাস ও বাস্তব জীবনের শান্তির মিলনে পূর্ণ।
-------------------------------------------------------------

জনপ্রিয় মেম্বার

 জনপ্রিয় মেম্বার

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
*********************************
রাওনাট পশ্চিম পাড়ার মাটিতে জন্ম,
ভূইঁয়া বাড়ীর ধ্রুবতারা—জনতার প্রিয় মেম্বার।
পিতাঃ দানিজ আলী ভূঁইয়া, গর্বময় পুরুষ,
যার শিক্ষা জ্বেলে রেখেছে তার হৃদয়ের সূর্য।

বারবার নির্বাচিত, আস্থা হাতে ধরে,
প্রতিটি পদক্ষেপে জাগে ন্যায়ের পবিত্র প্রেরণা।
সংসদের প্রাঙ্গণে ধ্রুবতারার পদধ্বনি,
ধৈর্য ও প্রজ্ঞার আলো করে সব অন্ধকার ঘনি।

জনপ্রিয় মেম্বার মিজানুর রহমান ভূইয়া,
মিষ্টভাষী, সততার মূর্তপ্রতীক,
কিন্তু বিপ্লবী চেতা জাগ্রত প্রতিটি দিক,
গরীব দুঃখী মানুষের আস্থাভাজন ঠিকানা।

নামাজী, প্রভূভীরু, ধার্মিক এক প্রাণ,
প্রকৃতির নিয়মে, মানুষের ন্যায়ে অঙ্গীভূত মান।
যথন যে ডাক দেয়, তার ডাকেই সাড়া দেয়,
প্রজাদের আহ্বানে তার হৃদয় সদা খোঁজে ভরে।

কোনও অপশক্তি তাকে হারাতে পারেনি,
দুর্ভাগ্য, ষড়যন্ত্র বা সময়ের খেলা—সবই অবহেলিত।
শিশুকাল থেকে হৃদয়ে ভরা মানবতা,
মাটির গন্ধে শিখেছেন সত্য ও করুণা।

সময়ের বাঁকে বাঁকে, প্রজন্ম আসে যায়,
তবু মিজানুর রহমান ভূইয়ার কীর্তি থেকে যায় অমল, অক্ষয়।
কোনও ভোটে সে একবারও হারেনি,
জনতার আস্থা তার শক্তি, প্রতিটি দিন নতুন স্বপ্নে ভরা।

প্রজাদের জন্য ত্যাগ, নীতি ও করুণা,
এভাবেই তিনি হয়ে উঠেছেন চিরন্তন মেম্বার।
প্রতিটি ভোট, প্রতিটি বিশ্বাসের ছাপ,
জনতার হৃদয়ে লেখা অমল চিহ্নের আবহাপ।

সমাজের অন্ধকারে দ্যোতক তিনি,
রাওনাট পশ্চিম পাড়ার গর্ব, অনন্ত স্নিগ্ধ ঝনি।
হৃদয়ের কণায় কণায় প্রতিটি মানুষের পাশে,
প্রজাদের সুখ-দুঃখে ছড়ায় আশা ও আলো রাশে।

যেখানে যুদ্ধে ধ্বংসের ছায়া, সেখানে তিনি দ্যোতক,
জনতার বিশ্বাসে অমর, প্রেরণার উৎস জ্যোতক।
প্রত্যেকটা সংকটে তার চেতনায় জ্বলে আলো,
প্রজাদের সেবায় প্রতিটি দিন হয়ে উৎসবময় বলো।

মিজানুর রহমান ভূইয়া—মাটির সন্তান, আকাশের আলো,
জনতার হৃদয়ে চিরন্তন প্রদীপ, অবিস্মরণীয় প্রতীক।
তার জীবন, ত্যাগ, সততা ও সাহসের গল্প,
সব প্রজন্মকে করে উদ্দীপ্ত, ভরা আশা ও প্রেরণার মলয়।
-------------------------------------------------------------


আঁধারের আলো

 আঁধারের আলো


কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
*********************************
রাওনাট গ্রামের শান্ত ধানের মাঠে,
পলান বাড়ি—মফিজ উদ্দিন পলানের দীপ্তি স্থান।
শৈশবের সকালে কণ্ঠে বাজে প্রাণের গান,
মাটির স্নিগ্ধতা, নদীর জল—সব মিলনের মান।

নুন অন্তে পান্তা ফুরাতো,
দারিদ্র্য দমাতে পারেনি তার অদম্যতা।
সংগ্রামের আঁচলে লেখা পড়া চালিয়ে গেছেন,
অতল স্পৃহার দীপ জ্বলে হৃদয়ের করাল প্রহর।

পাঠশালার দেয়াল শুনেছে তার উচ্চারিত কথা,
শিক্ষকের চোখে ফুটেছে গর্বের দীপ্তি পূর্ণলতা।
হাজার বইয়ের সঙ্গী, জ্ঞানার্জনের সাধনায়,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমকম সম্পন্ন তার অমোঘতা।

সোনালী ব্যাংকে উর্ধ্বতন কর্মকতা হিসাবে চাকুরী করেন,
পরিশ্রম ও সততার ছোঁয়ায় কর্মজীবনে দীপ্তি ছড়ায়।
তার এ দীপ্তি ছড়ায়ে যাক দিক হতে দিগন্তে,
গ্রামের মানুষ বলে—“তারকা সন্তান এ গ্রামে জন্মেছে।”

মাটির কৃপায়, শ্রমের মহিমায় গড়ে ওঠে,
মানবতার হাসি ছড়ায় সে চারিদিকে।
সে আগামীর শিক্ষা, নতুন প্রজন্মের দীক্ষা,
মুক্তির উপমা, সাধনার দৃঢ় চেতা প্রাণ।

জীবনের অন্ধকারে বাতাসে মেলায় সে গান,
সংগ্রামের ছায়ায় ফুটে ওঠে অনন্ত প্রাণ।
অচেনা আকাশের দিকে তাকিয়ে, স্বপ্ন দেখে,
প্রান্তরের সীমা ছাড়িয়ে আলো ছুঁয়ে যেতে চায়।

দুঃখের স্রোতে ভাসেও তিনি হার মানেননি,
পরিশ্রমের অগ্নিতে হৃদয় তেজে জ্বলে গেছে।
ধৈর্য্য, সহিষ্ণুতা, এবং আশা—তার চিরন্তন সঙ্গী,
নব প্রজন্মের পাথেয়, জীবন দর্শনের দিশারি।

আঁধারের মাঝে উদীয়মান অমল দীপ্তি,
রাওনাট গ্রামে পলান বাড়ির অনন্ত গর্ব।
সংগ্রাম, শিক্ষা, মানবতা ও সেবার মিলনে,
অগ্নিসদৃশ প্রতিভায় আলো ছড়ায় অনন্তপদে।

জীবন তাঁর এক দার্শনিক উপমা,
সময় ও প্রয়াসে গড়া—আলোর অমোঘ দৃষ্টি।
প্রত্যেক পদক্ষেপে ছড়ায় সে প্রেরণা,
আগামী প্রজন্মের জন্য দীক্ষা, মুক্তির আলো।

সেই দীপ্তি ছড়িয়ে যাক দিক থেকে দিগন্তে,
সাধনার চেতনায় গড়া, অদম্য প্রাণের প্রদীপ।
এই কবিতার দীপ্তি, সংগ্রাম ও অনুপ্রেরণা—
কামাল উদ্দিন আহম্মেদ পলান-এর অমল ছোঁয়ায়।
-------------------------------------------------------------


পথপ্রদর্শক

 পথপ্রদর্শক

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
********************************************

রাওনাট পঞ্চাত বাড়ীর গর্ব, কাপাসিয়ার কৃতি সন্তান,
জন্ম ১৯৬০ সালে, জ্ঞানের অমল ধ্যান।
পিতা আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন সরকারের ছায়ায় গড়া,
মাতা হনুফা খাতুনের মমতায় চরিত্র অমলিনী বোনা।

B.A., B.Ed., LLB-এর জ্যোতি হাতে,
শিক্ষা ও ন্যায়ের দীপশিখা আলোকিত করে হৃদয়ের বাতাসে।
ভাওকাদী স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসাবে প্রথম পদে,
পাবুর গালস স্কুলে প্রধান শিক্ষক হয়ে সমাপ্ত কর্মজীবন শ্রেষ্ঠ।

শ্রেণিকক্ষে বসে পাঠাতেন কাব্য ও চিন্তার আলো,
অক্ষরের নদীতে ভাসাতেন মানবতার অমল ধারা।
প্রখ্যাত বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক, জ্ঞানের অনল দীপ,
শব্দে শব্দে বাঁধতেন ছাত্র-ছাত্রীদের চিন্তার নীড়।

প্রধান শিক্ষকের মর্যাদা, মানবিক গুণে পূর্ণ,
শিক্ষা আর সাহিত্যের আলোয় ভরা তার জীবন চিরন্তন।
অক্ষরের স্রোতে বাঁধতেন দার্শনিক চিন্তার তরী,
করুণার হাত ধরে খুঁজতেন মানবতার অমলিনী।

রাওনাটের ছেলে, সাহিত্যের চিরদীপ,
শব্দের জ্যোতিতে আলোকিত করতেন জীবনের বিভূতি।
শ্রদ্ধার মুকুট মাথায়, কলমে অমল দ্যুতি,
বাংলা সাহিত্যের দীপালী, শিক্ষার পথপ্রদর্শক অমলিন।

অনলবর্ষি বক্তা, প্রজ্ঞার অগ্নি ছড়িয়ে,
জীবনের পথে প্রেরণার দীপ জ্বেলে অমলিন তরে।
অক্ষরে অক্ষরে, ছন্দে ছন্দে চিন্তার প্রলেপ,
ছাত্র-ছাত্রীদের হৃদয় বানায় জ্ঞানের অনন্য গৃহ।

পিতার আদর্শে বাঁধা, মাতার মমতায় মোড়ানো,
প্রতিটি পদক্ষেপে শিক্ষা ও ন্যায়ের দীপ্তি ভাসানো।
ভাওকাদী থেকে পাবুর গালস, কর্মজীবনের ধারায়,
জ্ঞান, সাহিত্য ও মানবতার স্রোত বয়ে গেছে অবারিত আকাশে।

রাওনাট পঞ্চাত বাড়ীর গর্ব, কাপাসিয়ার কৃতি সন্তান,
বাংলা সাহিত্যের দীপালী, শিক্ষার অমল প্রতীক তুমি।
-------------------------------------------------