উজ্জ্বল নক্ষত্র সোহেল ভাই
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লারাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
*****************************************
ওরে নবীন প্রজন্ম! জাগো রণ হুঙ্কার তোল,
সোহেল ভাই ছিলেন বজ্রকণ্ঠ, ধ্রুবতারা অটল।
শুভ্র পূর্ণিমা আলো যেমন আঁধার করে ক্ষয়,
তেমনি ছাত্র হৃদয়ে তিনি জ্বালিয়েছেন আশার আগুনময়।
প্রলয়ের ঘূর্ণিতে তিনি ছিলেন অটল শিলা,
দুর্দম তরুণের প্রাণে ছড়ালেন দীপ্তশিখা।
ঝড়-বজ্রের মিছিলে তিনি ছিলেন পতাকা,
আলোকিত প্রাণে ফুটিয়েছেন সংগ্রামের আঁচল আঁকা।
কাপাসিয়া কলেজের কক্ষে কক্ষে ঝঙ্কার,
গর্জন তুলেছিল তাঁর কণ্ঠে বজ্রধ্বনির ঝড়।
সবুজ প্রান্তরে তাঁর পদচারণা দিত বিদ্যুতের ঢেউ,
রাজপথ কেঁপেছিল তাঁর আহ্বানে, প্রাণ জেগেছিল নাহি কভু নেউ।
সড়কের দুর্ঘটনায় ঝরল তরুণ প্রাণ,
তবুও ইতিহাসে রইল তাঁর বীরোচিত দান।
ঢাকা মেডিকেলে লড়লেন অগ্নি সাহসী যোদ্ধা,
শেষ বুকের ব্যথায় ঝরে গেল জীবন প্রদীপ ক্ষীণ হাহা।
ধানমন্ডির মসজিদে অশ্রু প্লাবনের ঢেউ,
পাইলট মাঠে জানাজায় লাখো জনতার কণ্ঠ রেউ।
লতাপাতার মাটিতে শায়িত হলো দেহ,
কাঁদল গ্রামবাংলা, কাঁদল বাতাস, আকাশ, গগন বেহে।
টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া তার গ্রাম,
আজিম উদ্দিনের সন্তান, হালিমার অনুপম ধাম।
১৯৯২–৯৩-এর বিক্ষুব্ধ ছাত্রশক্তির জয়,
তিনি ছিলেন দীপ্ত মশাল, মৃত্যুঞ্জয়ী মহিমাময়।
সভাপতি, সদস্য সচিব—সংগ্রামের জয়ধ্বনি,
হান্নান শাহ’র আস্থায় ছিলেন বিজয়ের গুণী।
নিজস্ব সুখ ভুলে রাজপথের গান,
দলমত ভুলে মানুষের পাশে দিয়েছেন প্রাণ।
ইফতারের পূর্বমুহূর্তে এলো মৃত্যুর বারতা,
কাপাসিয়া কেঁদেছিল—ভেঙে পড়ল শতকণ্ঠ ধ্বনিতা।
আদালত পাড়ায় মাতম, অশ্রু ঝরে নদীর ঢেউ,
তাঁর বিদায়ে জনতার বুক হলো শূন্য রেউ।
ওরে নবীন প্রজন্ম! শোনো ইতিহাসের ডাক,
সোহেল ভাই আলোর তারা, চির অমলীন রাক।
তুমি বকুল কুড়ানো মালা, সুবাসিত আঁধারে,
তুমি মৃত্যুঞ্জয়ী দীপ্ত শিখা, ভোরের রোদ্দুরের ধ্বজাধারে।
মহান আল্লাহ করুন জান্নাত ফেরদৌস দান,
সোহেল ভাই থাকবেন অমর, সংগ্রামের প্রাণ।
---------------------------------------------------
No comments:
Post a Comment