অধ্যাঃ একেএম মাজহারুল ইসলাম
- মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লাঅধ্যাঃ একেএম মাজহারুল ইসলাম
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
*****************************************
হে বিশ্ব শুনো, গর্জন করো কাপাসিয়ার বুকে,
অধ্যাপক একেএম মাজহারুল ইসলাম—জ্ঞানজ্বালে পূর্ণ সূচে।
‘সোসাইটি অব অ্যাপ্লাইড এনথ্রোপলজি’র দীপক জ্বলে প্রভাতে,
‘পেল্টো অ্যাওয়ার্ড’ তার হাতে এলো নৃবিজ্ঞানের মহিমাতে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি,
প্রায়োগিক নৃবিজ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত দেশমাতৃকার শোভা গুণী।
শ্রেণীকক্ষের বাইরে গড়লেন জ্ঞানের মহাসমুদ্রের ভেলা,
প্রকল্পে প্রকল্পে আলোর দিশা—সত্যের রশ্মি মেলে ওমেলা।
ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লাইড এনথ্রোপলজির নির্বাহী পরিচালক রূপে,
জাতি-জগৎ পেয়েছে জ্ঞান, আলোর মশাল তার হাতে সূচে।
ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচও, সেভ দ্য চিলড্রেন, ব্র্যাকের প্রকল্পে তিনি,
জনস্ হপকিন্স, ইউএনডিপি, আইসিডিডিআর, বি—সবখানে গবেষণার চিহ্ন রত্ন তিনি
।
জাতীয়-আন্তর্জাতিক জার্নালে ছাপা ৩৫টি নিবন্ধ অমূল্য,
১৮টি বইয়ের ভাণ্ডার, বৈজ্ঞানিক ৩টি বই—চির অমল্য।
বই ও জ্ঞান মিশে গেছে মহাসাগরের তীরে,
বাংলাদেশ সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাজও করেছেন গৌরবে ঘিরে।
তিনি কেবল প্রফেসর নন, বিশ্বজনের প্রেরণার সাথী,
আমেরিকান নৃবিজ্ঞান সমিতি, মেডিকেল নৃবিজ্ঞান, এশিয়াটিক সোসাইটিতেও তার গাঁথি।
পিতার গৌরব ছড়িয়ে আছে শিকড়ে শিকড়ে,
চিনাডুলি বাগিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মোশারফ হোসেন রাজু—যাঁর
রক্তধারায় গড়লেন জীবনের রেখা।
মাতার মহিমা অম্লান, সুফিয়া বেগম,
কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক,
সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ—
তাঁর আশীর্বাদে বেড়ে ওঠা আজকের এই গৌরবময় সন্তান।
ওহে কাপাসিয়া! জাগো তুমি, বাজাও বিজয়ের ঢোল,
সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ আজ বলে—গর্বের ফুল, গৌরবের চিহ্ন সকলে ঢোল।
শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, শুভেচ্ছা মেলে অনন্ত গগনে,
অধ্যাপক একেএম মাজহারুল ইসলাম—প্রেরণা নবীন প্রজন্মের প্রাণে।
-------------------------------------
No comments:
Post a Comment