আঁধারের আলো
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
*********************************
রাওনাট গ্রামের শান্ত ধানের মাঠে,
পলান বাড়ি—মফিজ উদ্দিন পলানের দীপ্তি স্থান।
শৈশবের সকালে কণ্ঠে বাজে প্রাণের গান,
মাটির স্নিগ্ধতা, নদীর জল—সব মিলনের মান।
নুন অন্তে পান্তা ফুরাতো,
দারিদ্র্য দমাতে পারেনি তার অদম্যতা।
সংগ্রামের আঁচলে লেখা পড়া চালিয়ে গেছেন,
অতল স্পৃহার দীপ জ্বলে হৃদয়ের করাল প্রহর।
পাঠশালার দেয়াল শুনেছে তার উচ্চারিত কথা,
শিক্ষকের চোখে ফুটেছে গর্বের দীপ্তি পূর্ণলতা।
হাজার বইয়ের সঙ্গী, জ্ঞানার্জনের সাধনায়,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমকম সম্পন্ন তার অমোঘতা।
সোনালী ব্যাংকে উর্ধ্বতন কর্মকতা হিসাবে চাকুরী করেন,
পরিশ্রম ও সততার ছোঁয়ায় কর্মজীবনে দীপ্তি ছড়ায়।
তার এ দীপ্তি ছড়ায়ে যাক দিক হতে দিগন্তে,
গ্রামের মানুষ বলে—“তারকা সন্তান এ গ্রামে জন্মেছে।”
মাটির কৃপায়, শ্রমের মহিমায় গড়ে ওঠে,
মানবতার হাসি ছড়ায় সে চারিদিকে।
সে আগামীর শিক্ষা, নতুন প্রজন্মের দীক্ষা,
মুক্তির উপমা, সাধনার দৃঢ় চেতা প্রাণ।
জীবনের অন্ধকারে বাতাসে মেলায় সে গান,
সংগ্রামের ছায়ায় ফুটে ওঠে অনন্ত প্রাণ।
অচেনা আকাশের দিকে তাকিয়ে, স্বপ্ন দেখে,
প্রান্তরের সীমা ছাড়িয়ে আলো ছুঁয়ে যেতে চায়।
দুঃখের স্রোতে ভাসেও তিনি হার মানেননি,
পরিশ্রমের অগ্নিতে হৃদয় তেজে জ্বলে গেছে।
ধৈর্য্য, সহিষ্ণুতা, এবং আশা—তার চিরন্তন সঙ্গী,
নব প্রজন্মের পাথেয়, জীবন দর্শনের দিশারি।
আঁধারের মাঝে উদীয়মান অমল দীপ্তি,
রাওনাট গ্রামে পলান বাড়ির অনন্ত গর্ব।
সংগ্রাম, শিক্ষা, মানবতা ও সেবার মিলনে,
অগ্নিসদৃশ প্রতিভায় আলো ছড়ায় অনন্তপদে।
জীবন তাঁর এক দার্শনিক উপমা,
সময় ও প্রয়াসে গড়া—আলোর অমোঘ দৃষ্টি।
প্রত্যেক পদক্ষেপে ছড়ায় সে প্রেরণা,
আগামী প্রজন্মের জন্য দীক্ষা, মুক্তির আলো।
সেই দীপ্তি ছড়িয়ে যাক দিক থেকে দিগন্তে,
সাধনার চেতনায় গড়া, অদম্য প্রাণের প্রদীপ।
এই কবিতার দীপ্তি, সংগ্রাম ও অনুপ্রেরণা—
কামাল উদ্দিন আহম্মেদ পলান-এর অমল ছোঁয়ায়।
-------------------------------------------------------------
No comments:
Post a Comment