অদম্য ক্যাপটেন
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লারাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
********************************
নলগাঁও গ্রামের আঁচলে জন্ম নিলো দীপ্ত জ্যোতির আলো,
কুদরত উল্লাহ ভূঞা—বাংলার ক্রীড়াঙ্গনে যার গৌরব ঢালো।
১৯৪২ সালে কাপাসিয়া হাইস্কুলে জয়ের পতাকা তোলে,
ম্যাট্রিক পরীক্ষায় কৃতিত্ব এনে দেশের মাঠে জ্যোৎস্না রোলে।
ঢাকার ইন্টারমিডিয়েট কলেজে ১৯৪৬-এ খেলাধুলার শির,
ফুটবলের সেরা খেতাব পেলেন—বজ্রের মতো দীপ্ত অধীর।
১৯৪৮-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক জীবন দিলো আলো,
তবু সবখানে মাঠের টানে ছুটলেন, খেলার স্রোতে ভাসলো ভালো।
১৯৪১ হতে ’৪৪ অব্দি স্কুল টিমের ক্যাপটেন রূপে,
ঝড়ের মতো ছুটে যেতেন সবুজ মাঠের দোলা কূপে।
১৯৪৫-৪৬ সালে কলেজ ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পেলেন,
ঢাকার লিগে প্রথম বিভাগে দলকে নিয়ে বিজয় খেলেন।
চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব ছড়ালো আকাশের বজ্রের সুরে,
১৯৫২-তে ইউনিভার্সিটি ব্লু সম্মানে নাম খোদিত হলো দূরে।
ফুটবল-ক্রিকেট, টেনিস-হকি, ভলিবল কিংবা ওয়াটারপোলো,
সবখানেই ছড়ালেন কীর্তি—খেলোয়াড় প্রাণে গর্বের আলো।
দেশে-বিদেশে দলের নাবিক হয়ে দিলেন নেতৃত্বের দিশা,
ঝড়ের সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আনলেন বিজয়ের চিরন্তন নিশা।
বাংলাদেশ জুট মিল কর্পোরেশনে জেনারেল ম্যানেজার হয়ে,
কর্মক্ষেত্রেও ক্রীড়ার মতো সাফল্যের আলো বুকে বয়ে।
১৯৭৩ থেকে জাতীয় ফুটবল টিমের নির্বাচনে দিলেন দিশারী,
চেয়ারম্যান রূপে ছিলেন তিনি দৃঢ়, প্রাজ্ঞ, স্বচ্ছ-প্রহরী।
১৯৭৯ আগাখান গোল্ড কাপের গ্রাউন্ড কমিটিতে তারি নাম,
১৯৮০ জাতীয় পুরস্কারে জ্বললো ফুটবল-টেনিসের অবিরাম।
অদম্য ক্যাপটেন, বাংলার বুকের শালবনের মতো দাঁড়ানো,
প্রকৃতির ঝংকারে তোমার নাম আজও বজ্র-অগ্নিতে গড়া।
তুমি সূর্যের মতো আলো দাও ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি প্রভাতে,
তুমি বাংলার গৌরব, অমর স্মৃতি, চির দীপ্ত অনন্ত রাতে।
----------------------------------------------
No comments:
Post a Comment