সেবার প্রতীক
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
*********************************
আনুমানিক ১৯০৪ সালের আলোয় জন্মগ্রহণ,
নিয়ামত আলীর কোল ঘিরে জীবন খুঁজে স্বপ্ন।
কান্দিপারা আস্কর আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক,
ময়মনসিংহ মেডিকেল স্কুলে ন্যাশনাল পাশের গর্বিনী।
মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করলেন,
চিকিৎসার পথে হাঁটলেন, দুঃখী জনের সুখে হাসলেন।
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদে দায়িত্ব কাঁধে,
বৃটিশ শাসনের যুগে, জমিদার প্রথার সঙ্গে লড়লেন।
লম্বা বেঞ্চে মুসলমান সদস্যদের বসার ব্যস্ততা,
ডাঃ হুসেন আলী স্থাপন করলেন চেয়ারের সহজতা।
যোগেন্দ্র বাবুর নিকট থেকে জোটের শক্তিতে,
প্রেসিডেন্টশীপ আনে, জনতার স্বপ্নে অনুপ্রাণিত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ১৩৫০ বঙ্গাব্দে,
দেশে দুর্ভিক্ষ ও মহামারি, মানুষের জীবন ঝরে।
নম্গরখানা খুলে, খাদ্য দানে করলেন বন্দোবস্ত,
১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও কলেরা হাসপাতাল মঞ্জুর।
আজও টোক উপ-স্বাস্থকেন্দ্র তার স্মৃতির প্রতীক।
অশিক্ষার অন্ধকার দূর করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা,
টোক রনেন্দ্র, সরজুবালা, মাদরাসা ও প্রাইমারি বিদ্যালয় স্থাপনা।
ডাকবাংলো নির্মাণ করে সরকারি কর্মকর্তাদের সেবা,
প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন জুরি হাকিমের ন্যায়বিচার দানে অম্লান প্রেবা।
বৃটিশ সরকারের রুপ্য পদে ভূষিত,
এস.ডি.ও ও অন্যান্য পুরস্কারে সম্মানিত।
৩২ বছর নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে জনতার সেবা,
বর্তমান প্রজন্মের জন্য আদর্শ ও অনুসরণীয়।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ, ভক্তিভরে শ্রদ্ধা জানাতেন,
টোকে সফরে এসে সাক্ষাৎ।
নিঃস্বার্থ এই সমাজসেবক আলোর প্রদীপ হয়ে
২৭ মার্চ ১৯৭৫ (১৪ চৈত্র ১৩৮২ বঙ্গাব্দ) চিরবিদায় নিলেন।
জনতার হৃদয়ে অমর রইলেন,
ডাঃ হুসেন আলী, সত্যিকারের সেবার প্রতীক।
-------------------------------------------------------------
No comments:
Post a Comment