রাওনাট স্কুলের মেধাবী ছাত্র
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর।
--------------------------------------------------------------------
ওহে শুনো, ওহে শোনো, রাওনাটের বুকে
জন্মেছিল এক মেধাবী, চাঁদের আলোয় শুভ্র হেসে।
পিতা আঃ লতিফ আকন্দের কোলে লাল সূর্যের মতো উজ্জ্বল,
মাতা সায়মন বেগমের স্নেহে, বৃষ্টি ভেজা মাটির মতো কোমল।
লুঙ্গী শার্টে শিক্ষার পথে ছুটে যেত সে,
সব শ্রেণীতেই প্রথম—দীপ্যমান রশ্মি যেন উজ্জ্বল।
বরাইদ প্রাইমারী স্কুলের আঙ্গিনা পেরিয়ে
রাওনাট আদর্শ উচ্চবিদ্যা নিকেতনে উড়েছিল পাখির মতো।
নদীর জলে প্রতিফলিত আকাশের স্বপ্নের ছায়া,
হাওয়ার কণায় মিশে চিন্তার দীপ্তি।
বৃক্ষের ছায়ায় গেঁথে শপথ,
পাথরের খাঁজে দেখা পেল ধৈর্যের গান।
জীবন নদীর প্রবাহ, অনিশ্চিত, অনন্ত,
ক্লান্তি, দুঃখ, আশা—ঢেউয়ের ছন্দে ভেসে।
অধ্যবসায়, ন্যায়বিচার, নৈতিকতার দীপ্তি
প্রতিটি ধাপে ছিল আলোর নুর।
১৯৮২ সালে এস এস সি পরীক্ষার দিনে,
ছয় বিষয়ে লেটার সহ প্রথম বিভাগ—উজ্জ্বল রোদ।
দেশ জুড়ে সৃষ্টি হলো আলোড়ন, উদ্দীপনার জ্বালা,
রাওনাটের ইতিহাসে লেখা অমলিন নক্ষত্র।
চেয়েছিল শিক্ষার পূর্ণ জ্ঞান,
লেকিন দারিদ্র্যের শৃঙ্খলে বাঁধা পড়ল প্রাণ।
সংসারের হাল ধরতে, কৃষিকাজে হাত দিতে হলো,
লেখাপড়ার আলোকে হাওয়ার স্রোতে বোনা।
কৃষকের প্রতি জন্মলাগা শ্রদ্ধা, ভাবনার দীপ্তি,
মাটির গন্ধে, বর্ষার ঝরে, খেতের ধানশীষে প্রীতি।
শিক্ষা শেষে রসায়নবিদের চাকুরি,
বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থায় নিয়োজিত।
হৃদয় নদীর গভীরতা, পাহাড়ের অটল ছায়া,
ঝড়-ঝাপটা দেখেও দমে যায়নি বল।
কৃষক উন্নয়নে জাগ্রত মন,
মাটি, নদী, আকাশ—শিক্ষার শিবিরের প্রমাণ।
মোঃ গোলাম মুস্তফা আকন্দ—রাওনাটের কৃতি সন্তান,
রেজাল্টের রেকর্ড আজও অটুট,
ফুলের হাসি, বাতাসের স্রোতে ছড়িয়ে প্রাণ,
অমলিন দ্যুতি ঝলক দিল কোল আলোয়।
মেহমান মানুষের সেবা, দীন কল্যাণ,
জীবনের প্রতিটি ধাপেই আদর্শ।
আল্লাহর নুর, ফাতিহার আশীর্বাদে পথ সুপ্রকাশ,
জীবনের গল্প হয়ে উঠুক নক্ষত্র আলোকপ্রকাশ।
অমলিন দ্যুতি, নুরের জ্যোতি—প্রকৃতির আলয়,
শিক্ষা, সেবা ছোঁয়া হোক চিরন্তন।
বাতাস, নদী, পাহাড়—জীবন দর্শন,
মেঘের আঁকশিতে লেখা ধৈর্য্য, প্রেম, মানবিক সন।
-----------------------------------------
No comments:
Post a Comment