Wednesday, September 3, 2025

এক নজরে “বিগ্রেডিয়ার হান্নান শাহ ”

এক নজরে “বিগ্রেডিয়ার হান্নান শাহ

কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

তারিখঃ ০৩-০৯-২০২৫ ইং

স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

*************************

১৯৪১ সালে কাপাসিয়ার ঘাগটিয়ার ভোরে জ্বলে উঠিল প্রভাতের রবি

পিতা ফকির আব্দুল মান্নানের ছায়ায় গড়িল ভালো চরিত্রের ছবি

পাহাড়ী সবুজ, বনজ পাখির কিচিরমিচিরে মিলিত হল,
শিশুর কুঁড়ির হাসিতে জাগিল গ্রামের ভোরের ঝলমল।


১৯৫৬ সালে ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে মেট্রিক উত্তীর্ণ করিল,
ঢাকা কলেজে উচ্চমাধ্যমিক, মন ভরিল জ্ঞানরশ্মি ছুঁড়িল

প্রজ্ঞা ও অধ্যবসায়ে গড়িল ভবিষ্যতের মহাসিংহাসন,
চাঁদের জ্যো
স্নায় দীপের মত উজ্জ্বল ঝলমল বিচ্ছুরন!!


১৯৬২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে প্রাপ্ত হল সে কমিশন,
মুক্তিযুদ্ধের অন্ধকারে বন্দি হলেও অটল ছিল তার সাহস মন

রক্তের বিন্দুতে স্বপ্নের দীপ প্রজ্বলিত করিল স্বদেশ,
মাটির প্রতি নিবেদিত প্রাণ, অটল সোনার সদৃশ।
নদী-নালার বুকে প্রতিধ্বনি করিল বীরত্বের ধ্বনিসদৃশ।


১৯৭৩ সালে ফিরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দান করিল,
দেশের প্রতি নিবেদিত প্রাণ, অন্ধকারে প্রজ্বলিত দীপ জ্বালিল
ক্লান্তি অতিক্রম করে সর্বশেষ ত্যাগে উজ্জ্বলিত মনন
বাংলার মাটিতে মিলিল তার বীরত্ব, ধ্রুবতারার কিরণ।
ধানক্ষেত ও গ্রামপথে ভরে উঠিল গর্বিত মন।


এরশাদ সরকারের সময় বিএডিসির চেয়ারম্যানপদে দায়িত্ব গ্রহণ করিল,
১৯৮৩ সালে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ, রাজনীতির আলো ছড়াল।
শক্তি ও নীতির ছোঁয়ায় জাতির মনোজয় করিল,
অটল বিশ্বাসে আঁকা জীবনচিত্রে প্রভা বিস্তার করিল।
শহরের রোদ-আঁধারে উজ্জ্বল করিল পথের দীপ।


ঢাকার মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নিযুক্ত হইল,
১৯৮৬-১৯৯৩ সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অবদান রাখিল।
শৃঙ্খলা, দৃঢ়তা ও মানবিকতায় প্রতিষ্ঠা করিল নাম তার,
রাজনীতির বাগানে অমল গোধূলি রঙ ছড়ায়।
রাস্তা-ঘাট, গলিঘুঁটি ও মানুষের জীবনে রেখাপাত করিল।


১৯৯১ সালে নির্বাচনে গাজীপুর-৪ আসন থেকে সংসদে পদ লাভ করিল,
পাট ও বস্ত্রমন্ত্রণালয়ে দেশের সেবা সমর্পণ করিল।
কর্মের দীপ প্রজ্জ্বলিত, সততা ও পরিশ্রমে সজ্জিত,
বাংলার জনের হৃদয়ে চিরস্থায়ী খচিত।
মাঠ-ঘাটের শূন্যতা, নদীর ঢেউ—সকল স্থলে স্থাপন করিল।


১৯৯৩-২০০৯ চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলে অংশগ্রহণ করিল,
জাতীয় স্থায়ী কমিটিতেও নেতৃত্ব প্রদানে আলো ছড়াল।
চন্দ্রমালার সদৃশ পরামর্শে পথ প্রদর্শন করিল,
দেশের রাজনীতিতে চিরকাল প্রজ্জ্বলিত থাকিল ছায়া।
বাতাস, পাখির ডাক, সকল স্থলে প্রতিফলিত হইল ন্যায়।


নাহিদ হান্নানের সঙ্গী, সন্তান শারমিন, রেজাউল, রিয়াজুল—ফুলসদৃশ আলো,
পরিবারের স্নেহ ও ছায়ায় জীবন গড়িল অনন্য ধ্বনিমালা।
ঘরের কোণে হাসির রোদ, প্রিয়জনের স্নিগ্ধ স্পর্শে পূর্ণ হল মন,
মমতার নদীতে ভেসে গেল জীবনের প্রতিটি তরঙ্গ।
বাগান, পুকুর, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরিল আনন্দ।


২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরে শেষ নিশ্বাস নিখুঁতভাবে গ্রহণ করিল,
৭৪ বছরে জীবন বটবৃক্ষের ছায়া, স্মৃতিতে চিরস্থায়ী ঝরে।
ফুল, পাখি, নদী, আকাশ—সকল প্রাকৃতিক অলঙ্কারে স্মরণ রচনা হল,
প্রকৃতির মাধুর্যে মিলিল বীরের কীর্তি, দেশ-জনতার ভালোবাসায় ধ্বনি পেল।
সবুজ ঘাসের মত মৃদু, আকাশের মত অশেষ, স্মৃতিতে স্থির থাকিল।


বিগ্রেডিয়ার হান্নান শাহ, সৈনিক, রাজনীতিবিদ, পিতা—সব মিলিয়ে অমল ধন্য,
দেশের মাটিতে নাম চিরকাল উজ্জ্বল, কাপাসিয়ার গর্ব, দীপ্তিময় ধন্য।
শীতলক্ষ্যা-ঢেউ, গ্রাম-ঘাট, ধানক্ষেতের রোদ—সব মিলিয়ে বীরের প্রতিচ্ছবি।

 ------------------------------------------------


No comments:

Post a Comment