Sunday, September 7, 2025

মেজর জেনারেল (অব.) মনজুর রশীদ খান

 

মেজর জেনারেল (অব.) মনজুর রশীদ খান
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা

মেজর জেনারেল (অব.) মনজুর রশীদ খান
কলেমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর
-----------------------------------------------
নীল আকাশে বজ্রঝড়ের মতো জ্বলে জন্মের দীপ, গাজীপুরের আলো,
দূর্গাপুর ইউনিয়নের একডালা গ্রামে জ্বলে খান বংশের অমলিন আলো।

পিতা ডাঃ আব্দুর রশীদ খান, চিকিৎসার তীরধনুকের মতো দৃঢ়,
মা কুরছিয়া বেগম, প্রেমের সোনালি ঢেউ, হৃদয়ে বাজে অনন্য বাণী।

শিশুকালে তারাগঞ্জ এইচ এন উচ্চবিদ্যালয়ে কল্পনার বীজ বোনা,
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি স্কুলে কৃতিত্বের ফুল ফুটে ওঠে উজ্জ্বল সোনা।

ঢাকার জগন্নাথ কলেজে উচ্চমাধ্যমিকের আলো জ্বলে দিগন্তে,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করল প্রজ্ঞার অনন্তে।

১৮ এপ্রিল ১৯৬৪, পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভের প্রভাত,
১৯৬৫ সালের যুদ্ধের অগ্নিশিখায় দাঁড়ালেন সাহসের তীব্র বাত।

শিয়ালকোটের রণক্ষেত্রে ১৯৭১ সালে অস্ত্র হাতে দাঁড়ালেন দৃঢ়,
মুক্তিযুদ্ধের আড়াই বছর পাকিস্তানে কাটল শত্রুর অগ্নিবীণার তীব্র।

দেশে ফিরে ১৯৭৩ সালে মেজর পদে যোগ দিলেন দেশপ্রেমে,
বাংলাদেশ রাইফেলস ও সেনা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করলেন নির্ভয়ে।

দুটি আর্টিলারি ও পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে ছিলেন শক্ত,
১৯৮৬ সালে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হয়ে রাখলেন ন্যায্য অধিকার অমলিত।

বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানার প্রধান পদে দায়িত্ব পালন,
এরশাদ ও সাহাবুদ্দীনের সামরিক সচিব হিসেবে রাখলেন সততা ও মান।

১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে ছিলেন অগ্নি,
১৯৯৫ সালে অবসর গ্রহণ করলেন, বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের শেষ প্রভাতি।

পরিবারে তিন ভাই, তিন বোন, বড় সন্তান তিনি, গর্বের মানে,
মেঝো ভাই ও দুই বোন চলে গেছেন না ফেরার দেশে, স্মৃতির আলোই ভাসে ধ্রুব মানে।
একমাত্র জীবিত ছোট ভাই আজগর রশীদ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা,
কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, গর্বিত সমাজের নেতা অনন্ত ধ্রুবতা।
স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে রেখে গেছেন স্মৃতির দীপ্তি,
সন্তানরা উচ্চ শিক্ষিত, কানাডা প্রবাসী, পরিবারে সমৃদ্ধি।

লেখক, কলামিস্ট ও সামরিক বিশ্লেষক, কলম তাঁর তীর,
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও সংবাদে লেখেন জ্ঞানভরা স্রোতের শীর।

গ্রন্থ রচনায় উল্লেখযোগ্য:
“এরশাদের পতন ও সাহাবুদ্দীনের অস্থায়ী শাসন”,
“আমার সৈনিক জীবনঃ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ”—সৈনিক জীবনের দীপ্ত অন্বেষণ।

ধর্মীয় ও সামাজিক কাজে যুক্ত, ছিল প্রতিষ্ঠার দীপ,
তারাগঞ্জ এইচ এন উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ গভর্ণিংবডির সভাপতিত্বে অংশগ্রহণের ক্ষিপ।
দূর্গাপুর ইউনিয়ন জন্মভূমি, গর্বিত ইতিহাসের ঝর্ণা,
গাজীপুরের জনপদে আলো ছড়ায় চিরদিন অম্লান ভরা।

সৈনিক জীবনের অভিজ্ঞতা, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে পদচারণা,
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তাঁর লেখায় প্রতিফলিত অম্লান শাণা।

সেনা সদর দপ্তর ও বাংলাদেশ রাইফেলসের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন,
দুটি আর্টিলারি ও পদাতিক ব্রিগেডে রেখেছেন দক্ষতার অমলিন চারণ।

রাষ্ট্রপতি জেনারেল এরশাদ ও সাহাবুদ্দীনের সঙ্গে দায়িত্ব পালন,
ট্রুথ কমিশনের সদস্য হিসেবে সমাজের ন্যায় প্রতিষ্ঠায় অবদান।

সাহসিকতা, দেশপ্রেম ও নেতৃত্বের চিহ্ন স্থাপন করলেন অনন্য,
প্রতিটি পদক্ষেপে প্রতিফলিত হলো দেশপ্রেমের দীপ্ত জ্যোতি স্বচ্ছল অনন্য।

তারাগঞ্জ এইচ এন উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার প্রতি ছিলেন নিবেদিত,
শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দূর্গাপুরের মাঠে করেছিলেন অম্লান প্রতিপ্রতি।

সেনা জীবন, পদক্ষেপ, কৌশল ও নেতৃত্বে ছিলেন চমৎকার,
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গর্বিত, তার অবদানে জ্বলছে অমলিন নক্ষত্রকার।

দূর্গাপুরের মাঠে তিনি যেমন পদচারণা করেন দৃঢ়,
তেমনি হৃদয়ে রাখেন দেশের প্রীতি, ভালোবাসার তীর।

বিপ্লবের গর্জনে, শান্তির আলোয়, দায়িত্ব পালন করেন নিখুঁত,
অস্ত্র হাতে, কলম হাতে, ইতিহাসে রেখেছেন অমলিন ছাপ চিরন্তন।

সেনা জীবনের স্মৃতি, পাকিস্তানের শত্রু চিহ্নিত অগ্নিপথ,
বাংলাদেশে ফিরেই যোগ দিলেন মেজর হিসেবে, দেশের গর্বের চিহ্নিত সত্যপথ।

ব্রিগেডের কমান্ডার, আর্টিলারি, পদাতিকের কৌশল-সঞ্চালন,
মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হয়ে রাখলেন দক্ষতার নিখুঁত বিকাশমান।

সামরিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন, রাষ্ট্রপতি ও অস্থায়ী শাসন,
শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে ভূমিকা রাখলেন, অমলিন জনমানের প্রাণ।

রণক্ষেত্রে আগুনের ছোঁয়ায়, বজ্রের মতো বাজে তাঁর পদচারণা,
সাহসের ঝড়, হৃদয়ের তীব্র আলো, দেশপ্রেমের অমলিন ধ্রুবতারা।

সমরাস্ত্র কারখানার নেতৃত্বে রেখেছেন ন্যায় ও প্রজ্ঞার দীপ্তি,
দেশের শক্তি, সেনাবাহিনী গর্বিত, ইতিহাসে স্থাপিত অনন্য সতীপ্তি।

১৭ জুলাই রবিবার রাতে চলে গেলেন না ফেরার দেশে,
একডালা গ্রামের গর্ব, দেশের ইতিহাসে থাকবেন চিরস্মরণে।

দূর্গাপুরের সন্তান, তার নাম জ্বলছে গর্বের আলো,
স্মৃতিতে থাকবেন চিরকাল, দেশের কণ্ঠে অমলিন আলো।

মেজর জেনারেল (অব.) মনজুর রশীদ খান, সাহস, জ্ঞান ও কর্মের প্রতীক,
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও দেশের ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবেন চিরকাল অনবীক।
--------------------------------------------------------------------------------

No comments:

Post a Comment