বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ
দারদিয়া গ্রামে জন্ম, ২৩ জুলাই ১৯২৫,
শীতলক্ষ্যা নদীর ধারায় সোনার শিশির ভেজ।
ঢাকা কলেজের পথে হাঁটা, ১৯৪৪ সালের আলো,
অর্থনীতির জ্ঞানে উদিত, ১৯৫৩-এর সোনালি ভালো।
আইনের পথে পা, ১৯৬৪, ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনে,
শৃঙ্খলিত শাসনের বাতাসে গেঁথে দিলেন মন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৬-এর বেলা,
দলের বিজয়ী সূর্যোদয় যেন আলোর দোলা।
১৯৭০ সালের নির্বাচন, জনগণের বিশ্বাসে পূর্ণ,
মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে, মুজিবনগর সরকারের ধ্বর্ণ।
১৯৭১-এর মার্চে পলায়ন, ভারতে আশ্রয় নিলেন,
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে, স্বাধীনতার বাণী দিলেন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২–১৯৭৪ অর্থমন্ত্রী,
দেশের সোনার চাষে, তার পরিকল্পনা ধনশক্তি।
সংবিধান প্রণয়নে তার হাত, গণতন্ত্রের কলমে,
নির্ভীক ও নির্লোভ, জাতির চেতনায় যম।
পৃথিবীর অন্ধকারে, ৩ নভেম্বর ১৯৭৫,
কারাগারের শৃঙ্খলে, মিলল শেষ বেদনার ঝড়ে।
তার আত্মত্যাগে বাঙালি জাতি পেল স্বাধীনতার গান,
প্রকৃতির মতো বিশুদ্ধ, অমলতার অমর চিহ্নspan।
শ্রীমুখে হাসি, হৃদয়ে দেশপ্রেমের আলো,
তাজউদ্দীন আহমদ, জাতির তরে চির অমল।
No comments:
Post a Comment